সংবাদদাতা, কাঁথি : রাজ্যের বিরোধী দলনেতার (Suvendu Adhikari) বিরুদ্ধে গত কয়েকদিনে কাঁথি থানায় জামিন-অযোগ্য ধারায় চারটি অভিযোগ দায়ের হয়েছে। তার ভিত্তিতে আলাদা আলাদাভাবে তদন্ত শুরু করে দিল পুলিশ। এই মামলাগুলোয় বিরোধী দলনেতাকে জিজ্ঞাসাবাদ করার আগে, জেলা পুলিশ একেবারে তৈরি হয়েই নামতে চাইছে। এর জন্য প্রয়োজনীয় তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহের কাজ শুরু হয়েছে। অভিযোগের দিন ঘটনাস্থলের বিভিন্ন ফুটেজও সংগ্রহ করছে পুলিশ। অভিযোগগুলোর পুনর্নির্মাণও হতে পারে বলে জেলা পুলিশ সূত্রে প্রকাশ।
আরও পড়ুন – গ্যাস সিলিন্ডার নিয়ে পথে মহিলারা
উল্লেখ্য, কাঁথিতে ভোটের প্রচারে বেরিয়ে ভোটারদের হুমকি ও ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগ উঠেছে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) বিরুদ্ধে। তাঁর বিরুদ্ধে তিনজন ভোটার আলাদাভাবে গত ১৭ ফেব্রুয়ারি কাঁথি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। তারই ভিত্তিতে জামিন-অযোগ্য ধারায় (আইপিসির ৩৪১, ৩৪, ৫০৬ ও ৫০৯ ধারা) এফআইআর করে তদন্ত শুরু করে দিয়েছে কাঁথি থানার পুলিশ। বিরোধী দলনেতার সঙ্গে থাকা সিআরপিএফ রক্ষীদের বিরুদ্ধেও অভিযোগ জানিয়েছেন তিনজন। পুলিশ সূত্রে প্রকাশ, এই তিন অভিযোগকারী হলেন ১০ নম্বর ওয়ার্ডের আঠিলাগড়ির কানাই প্রধান, পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের গুরুনানক সরণির জারিনা খাতুন এবং ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মনোহরচকের অভয়া মাইতি। ১৮ ফেব্রুয়ারি কাঁথি থানায় বিরোধী দলনেতা ও তাঁর দেহরক্ষীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন কাঁথি শহর তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি কমলেন্দু পাহাড়িও। ওইদিন ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে প্রচারে বেরিয়ে বিরোধী দলনেতা ও তাঁর নিরাপত্তারক্ষীরা তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী সুপ্রকাশ গিরি-সহ কয়েকজন তৃণমূল কর্মীকে মারধর করেন বলে কমলেন্দুর অভিযোগ। বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য উচ্চ আদালতে যাওয়ার আগে, জেলা পুলিশ এই চারটি মামলার বিষয়ে আটঘাট বেঁধেই এগোতে চাইছে। কারণ উচ্চ আদালতের রায়ের কিছু রক্ষাকবচ রয়েছে। জেলা পুলিশ সুপার অমরনাথ কে বলেন, চারটি মামলার বিষয়ে পুলিশ আগে প্রাথমিক তথ্যপ্রমাণ জোগাড় করছে। তারপর আমরা আদালতের দ্বারস্থ হব। আদালতের নির্দেশ মতোই পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।