জয়েশের এক অঙ্গে নতুন জীবন পেলেন চার মুমুর্ষু

এক পথ দুর্ঘটনায় মাথায় গুরুতর চোট পেয়েছিলেন জয়েশ। অ্যাপোলো হাসপাতালের চিকিৎসকরা প্রাণপণ চেষ্টা করেও তাঁকে বাঁচাতে পারেনি।

Must read

প্রতিবেদন : এক অঙ্গ নতুন জীবন দান করল চার মৃত্যু পথযাত্রীকে। নিজের জীবন প্রদীপ নিভে গেলেও দমদমের কাশিপুরের বছর ২৫-এর যুবক জয়েশ লক্ষ্মীশঙ্কর জয়সওয়াল চার মুর্মুষুর দেহে প্রাণ সঞ্চার করে গেলেন।
এক পথ দুর্ঘটনায় মাথায় গুরুতর চোট পেয়েছিলেন জয়েশ। অ্যাপোলো হাসপাতালের চিকিৎসকরা প্রাণপণ চেষ্টা করেও তাঁকে বাঁচাতে পারেনি। ধীরে ধীরে ব্রেন ডেথের দিকে চয়ে যান জয়েশ। বুধবার ভোররাতে জয়েশের ব্রেন ডেথ হয়। চিকিৎসকরা জয়েশের পরিবারের সদস্যদের বোঝান মরণোত্তর অঙ্গদানের গুরুত্ব।

আরও পড়ুন-ভারতীয় বিমানবন্দরে তুর্কি সংস্থার উপস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন

এরপর জয়েশের পরিবারের সম্মতিতে তাঁর যকৃৎ বসানো হয় ৬৫ বছরের এক প্রৌঢ়র দেহে। ফুসফুস প্রতিস্থাপন করা হয় ২২ বছরের এক তরুণীর দেহে। জয়েশের একটি কিডনি এদিন অ্যাপোলো হাসপাতালে ৩৬ বছরের এক তরুণীর দেহে বসানো হয়েছে। অন্য কিডনিটি গ্রিন করিডর করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে এসএসকেএম হাসপাতালে। সেখানে ৪৭ বছরের এক মহিলার দেহে প্রতিস্থাপন করা হয়েছে কিডনিটি। শুধু কিডনি-যকৃৎ নয়, নিজের চোখের কর্নিয়া দিয়েও এক দৃষ্টিহীনের চেখের আলো ফিরিয়ে দিয়েছেন জয়েশ। দিশা আই হাসপাতালে সংরক্ষণ করা হয়েছে কর্নিয়া। জয়েশের পরিবার জানিয়েছে, জয়েশের অঙ্গে যাঁরা নতুন জীবন পেল, তাঁদের মধ্যেই বেঁচে থাকুক আমাদের ছেলে। তাঁর চোখে বিশ্ব দেখুক অন্যরা।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, সঠিকভাবে অঙ্গদান করা গেলে দিনে ছ’হাজার মানুষকে নতুন জীবন দেওয়া যেত। মরণোত্তর অঙ্গদানের প্রয়োজনীয়তা বাড়লেও এখনও খামতি রয়েছে সচেতনতায়। কিডনি যকৃৎ এর প্রতিস্থাপন বেড়েছে ঠিকই, তবে হার্ট-ফুসফুসের প্রতিস্থাপন সম্ভব শুধুমাত্র বেন ডেথ হলেই।

Latest article