প্রতিবেদন : তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে রাজনৈতিক মোকাবিলা ও কৌশলে না পেরে নিজের ব্যর্থতা ঢাকতে ব্যক্তি আক্রমণের পথ বেছে নিয়েছে শুভেন্দু অধিকারী। মৌলিক সব প্রশ্ন এড়িয়ে আবোল-তাবোল বকতে শুরু করে। এবার তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক ও মুখপাত্র কুণাল ঘোষ চারটি প্রশ্ন করেছেন শুভেন্দুকে।
আরও পড়ুন-কুটির শিল্পের উপর জোর দিলেন মুখ্যমন্ত্রী
বৃহস্পতিবার তৃণমূল ভবনে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কুণাল ধুয়ে দিয়েছেন বিজেপিকে। তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের আবেগ ও তাঁদের ডেডিকেশনকে কাজে লাগিয়ে বছরের পর বছর দলে ও প্রশাসনে পদ এবং ক্ষমতা ভোগ করেছে অধিকারী প্রাইভেট লিমিটেডের মালিক শুভেন্দু নিজে ও তার বাবা, ভাইরা। তৃণমূলের কতগুলি পদে ছিল তারা? জবাব দিক শুভেন্দু। তাদের আত্মীয় ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন কী চাকরি করেন, কোথায় করেন তার তালিকা দিক শুভেন্দু। চাকরি নিয়ে স্বজনপোষণ হয়েছে কি না বলুক। নারদের যে ভিডিওর ভিত্তিতে এজেন্সি বাড়ি থেকে ফিরহাদ হাকিম ও প্রয়াত সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে তুলে নিয়ে গিয়েছিল, একই ভিডিওতে শুভেন্দুকেও দেখা গিয়েছে টাকা নিতে। তাহলে সিবিআই ওকে কেন গ্রেফতার করেনি? সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেনের চিঠি ঠিক না ভুল? কাঁথিতে সুদীপ্ত সেনের টাকায় লগ্নি করেছে কি করেনি? বড় বড় কথা না বলে এগুলির উত্তর দিক শুভেন্দু।
আরও পড়ুন-বিশ্বভারতীর ছায়া শিবপুরে
কুণাল দলের তরফে পুলিশকে অনুরোধ করেছেন, একজন নেতার হোমোসেক্সচুয়ালিটির বিষয়টি জেনে ফেলায় তার দেহরক্ষীকে মার্ডার করার তথ্য মিলছে। আত্মহত্যা বলে যাকে চালানো হয়েছে। শুভেন্দু তৃণমূলের দু’জন সিনিয়র নেতাকে বলেছিল, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে সরিয়ে দিক তাহলে ও তৃণমূলে ফিরবে। বিজেপির নবান্ন অভিযানে সুকান্ত-শুভেন্দুর থেকে দিলীপ ঘোষ যে পরিণত রাজনীতিকের মতো আচরণ করেছেন তাও বলেছেন কুণাল। শুভেন্দু তো পালিয়ে গিয়েছে কর্মীদের রাস্তায় ফেলে। বাংলার শুভবুদ্ধিসম্পন্ন জনসাধারণের প্রতি তাঁর আবেদন, নবান্ন অভিযানের নামে যারা তাণ্ডব চালিয়েছে, এদের দেখলেই ধরিয়ে দিন পুলিশে।