বিজেপির মধ্যপ্রদেশে পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগ পরীক্ষায় জালিয়াতি ফাঁস, ধৃত ১২

বলিউডের ‘মুন্না ভাই’ সিনেমার কায়দায় আসল প্রার্থীদের হয়ে একাধিক ভুয়া পরীক্ষার্থী (যাদের ‘সলভার’ বলা হয়) পরীক্ষায় বসেছিলেন।

Must read

প্রতিবেদন: ফের প্রশ্নের মুখে বিজেপিশাসিত রাজ্যগুলির নিয়োগ পরীক্ষার বিশ্বাসযোগ্যতা। আবারও পরীক্ষা-জালিয়াতির ঘটনা। ২০২৩ সালের মধ্যপ্রদেশ পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগ পরীক্ষায় জালিয়াতির ঘটনা এবার প্রকাশ্যে এসেছে। বলিউডের ‘মুন্না ভাই’ সিনেমার কায়দায় আসল প্রার্থীদের হয়ে একাধিক ভুয়া পরীক্ষার্থী (যাদের ‘সলভার’ বলা হয়) পরীক্ষায় বসেছিলেন। তাঁরা সাফল্যের সঙ্গে সমস্ত পর্যায় উত্তীর্ণ হয়ে যখন বাহিনীতে যোগ দেওয়ার মুখে, তখনই এই প্রতারণা ধরা পড়েছে।

আরও পড়ুন-বেটিং অ্যাপে নিষেধাজ্ঞার দাবি, কেন্দ্রের ব্যাখ্যা চায় সুপ্রিম কোর্ট

মধ্যপ্রদেশের গোয়ালিয়রে কনস্টেবল জিডি নিয়োগের পরীক্ষা হয়েছিল ২০২৩ সালে। এতদিন পর চাকরির নিয়োগপত্র দেওয়ার সময় এই জালিয়াতির ঘটনা সামনে এসেছে। মোরেনা, শেওপুর এবং শিবপুরীর পাঁচ প্রার্থীর বিরুদ্ধে জালনথি জমা দেওয়া এবং তাঁদের হয়ে অন্য ব্যক্তিকে পরীক্ষায় বসানোর অভিযোগ উঠেছে। নিয়োগ প্রক্রিয়ার সময় তাঁদের আধার কার্ডের ইতিহাস খতিয়ে দেখার পরেই এই অসঙ্গতি ধরা পড়ে যায়। মধ্যপ্রদেশ স্টাফ সিলেকশন বোর্ডের কাছ থেকে সমস্ত রেকর্ড পাওয়ার পর অভিযুক্তদের পরীক্ষার আবেদনপত্রে দেওয়া ছবি এবং হাতের লেখার অমিল পাওয়া গিয়েছে। তদন্ত কমিটির অভিযোগের ভিত্তিতে কাম্পু থানায় পাঁচ প্রার্থীর বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা দায়ের করা হয়েছে। কনস্টেবল জিডি নিয়োগ ২০২৩-এর লিখিত পরীক্ষা মধ্যপ্রদেশে ২০২৩ সালের ১৬ অগাস্ট থেকে ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয়েছিল। নির্বাচিত প্রার্থীদের যে তালিকা প্রকাশ করা হয় তার মধ্যে শেওপুরের দীপক সিং রাওয়াত, সবলগড় মোরেনার উমেশ রাওয়াত, নারওয়ার শিবপুরীর হাক্কে রাওয়াত, জৌরা মোরেনার ইমরান এবং পোরসা মোরেনার বিবেক ছিলেন। নিয়োগের আগে তাঁদের আধার কার্ডের ইতিহাস পরীক্ষা করে দেখা যায় যে লিখিত পরীক্ষার আগে ও পরে একাধিকবার তাঁদের বায়োমেট্রিক তথ্য আপডেট করা হয়েছে। তদন্তকারী দল জানতে পেরেছে যে ২০২৩ সালের জুলাই মাসে লিখিত পরীক্ষার আগে আধারে একজন ভুয়ো প্রার্থীর ছবি আপডেট করা হয়েছিল। আগস্ট-সেপ্টেম্বরে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার অল্প সময়ের পর প্রার্থীরা আবার তাদের বায়োমেট্রিক ডেটা আপডেট করেন। তদন্ত কমিটি যখন মধ্যপ্রদেশ কর্মচারী বোর্ডের কাছে নথি চেয়েছিল, তখন দেখা যায় যে পরীক্ষার আবেদন পত্রে থাকা ছবি এবং হাতের লেখা বর্তমান রেকর্ডের সাথে মিলছে না। তাতে স্পষ্ট হয়ে যায় যে প্রার্থীরা তাঁদের আধার কার্ডের বায়োমেট্রিক ডেটাতে সলভারের ছবি আপডেট করে এবং অন্য কাউকে দিয়ে পরীক্ষা দেওয়ানোর মাধ্যমে নিয়োগ পরীক্ষায় প্রতারণা করেছেন। প্রতারণা নিশ্চিত হওয়ার পর ১৪তম ব্যাটালিয়ন ভিসবলের ডেপুটি ইন্সপেক্টর রঘুনন্দন শর্মা কাম্পু থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। ফলস্বরূপ, মোরেনার তিনজন, শিবপুরীর একজন এবং শেওপুরের একজন— এই পাঁচ প্রার্থীর বিরুদ্ধেই মামলা রুজু করা হয়েছে এবং অভিযুক্তদের খোঁজা শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যেই আসল ও ভুয়ো পরীক্ষার্থী মিলিয়ে ১২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

Latest article