লুকিয়ে থাকা এক যুবক
উত্তরাখণ্ডের জিম করবেট ন্যাশনাল পার্ক। ওয়াচ টাওয়ারে লুকিয়ে একটি যুবক। পাশ দিয়ে যেতে যেতে অনেকের চোখেই পড়ছেন। কৌতূহল জাগছে তাঁদের মনে, কেন লুকিয়ে যুবকটি? কী কারণ? ঘটনা হল, যুবকটি যখনই টাওয়ার থেকে বেরনোর চেষ্টা করছেন, তখনই একটি হাতি তাঁকে দেখে তেড়ে আসছে। যুবকটি ভয়ে উঠে পড়ছেন টাওয়ারে। এইভাবেই কেটে যায় প্রায় চার ঘণ্টা। একটা সময় তাঁর ভয় মুছে যায়। শুধু কি তাই? ধীরে ধীরে হাতির প্রতি জন্মায় অদ্ভুত ভালবাসা। এই যুবক হলেন বিবেক মেনন। ওয়াইল্ডলাইফ ট্রাস্ট অফ ইন্ডিয়ার সহ-প্রতিষ্ঠাতা। ঘটনাটি কয়েক দশক আগের।
হাতির দেশ কেরলে জন্ম বিবেক মেননের। জীবনের বেশকিছু সময় কাটিয়েছেন হিমালয়ের কোলে। ছাত্রজীবনে ট্রেক করতে ভালবাসতেন। ওই সময় থেকেই পাহাড় জঙ্গলের সঙ্গে গড়ে ওঠে তাঁর বন্ধুতা। জঙ্গলে ঘোরার সময় পাখি এবং বন্যপ্রাণীদের খুব কাছ থেকে দেখেছেন। বুঝেছেন— অকারণে এরা কারও ক্ষতি করে না। এই পৃথিবীতে ওদেরও বাঁচার অধিকার আছে, ঠিক যতটা অধিকার আছে মানুষের। একটা সময়ের পর হাতির প্রতি বিশেষ দুর্বল হয়ে পড়েন বিবেক মেনন। অত বড় প্রাণী, কিন্তু বড় নিরীহ। কারণ ছাড়া রাগ প্রকাশ করে না। এই প্রাণীটির অস্তিত্ব বিপন্ন। দাঁত-সহ এর শরীরের বিভিন্ন অংশ খুব দামি। সেই কারণে পড়তে হয় চোরাশিকারিদের আক্রমণের মুখে।
যায় প্রাণ।
বিবেক মেননের মনে মনে ক্ষোভ জন্মায় চোরাশিকারিদের প্রতি। তখনই বন্যপ্রাণী সংরক্ষণের বিষয়টি বিশেষভাবে তাঁকে ভাবায়। শুরুতে চোরাশিকারিদের হাত থেকে বাঁচাতে তিনি পাখি ও ছোটখাটো প্রাণীদের নিজের ঘরে আশ্রয় দেন। তবে এইটুকুতেই তিনি থামতে চাননি। বড় কিছু করার কথা ভাবছিলেন। বিশেষত হাতির জন্য। কী করা যায়, দিন-রাত ভাবতে থাকেন।
দাঁতে দাঁত চেপে লড়াই
১৯৯৮ সালের ১৬ নভেম্বর। স্মরণীয় এক দিন। বিবেক মেননের নেতৃত্বে গঠিত হয় তিন সদস্যের একটি দল। নামকরণ করা হয়, ওয়াইল্ডলাইফ ট্রাস্ট অফ ইন্ডিয়া (ডব্লিউটিআই)। ভারতের দ্রুত ক্ষয়িষ্ণু বন্যপ্রাণী রক্ষা ও সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে। একটি ঘরে বসেছিল তাঁদের বৈঠক। শুরুতে তিনজন পাঁচ হাজার টাকা করে দেন। কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে তাঁরা ঝাঁপিয়ে পড়েন। যদিও কাজ খুব সহজ ছিল না। এসেছে নানারকম বাধা। তবে তাঁরা দাঁতে দাঁত চেপে লড়াই করে গেছেন। বেশ কয়েকটি বন্যপ্রাণী বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছিল দুষ্টু চক্র। বিবেক মেনন এবং তাঁর সহযোদ্ধারা বুঝতে পারেন এবং বিক্রি আটকে দেন। এইভাবেই তাঁরা অনেক শত্রু তৈরি করে ফেলেছিলেন। যদিও কেউই কেশাগ্র স্পর্শ করতে পারেনি। মূলত তাঁদের উদ্যোগে, শুরুর দিকে দিল্লিতে ৩০০ কেজি বাঘের হাড়, আটটি বাঘের চামড়া এবং ৬০টি চিতাবাঘের চামড়া বাজেয়াপ্ত করা হয়। এইভাবেই তাঁরা করেছেন আরও অনেক কাজ। ধীরে ধীরে কাজের খবর ছড়িয়ে পড়ে সারা পৃথিবীতে। ওয়াইল্ডলাইফ ট্রাস্ট অফ ইন্ডিয়া বন্যপ্রাণী সংরক্ষণের ক্ষেত্রে দারুণ ভূমিকা পালন করে। সর্বত্র পরিচিত হয়।
আরও পড়ুন: বুকফাটা আর্তনাদ, বিক্রমের দেহ নিয়ে মায়ের দাবি বিচার
পড়তে পারেন হাতির ভাষা
বহু বছর ধরে ‘ইন্টারন্যাশনাল ফান্ড ফর অ্যানিমেল ওয়েলফেয়ার’-এর সিনিয়র উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করছেন বিবেক মেনন। ঘুরেছেন পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে। নিবন্ধ লিখেছেন বহু বিখ্যাত জার্নালে। প্রকাশিত হয়েছে তাঁর কয়েকটি বই। তিনি পড়তে পারেন হাতির ভাষা। হাতিও যেন তাঁর ভাষা বুঝতে পারে। দুই পক্ষের মধ্যে রয়েছে আশ্চর্য বন্ধন। সম্পর্কটা পারস্পরিক। বিবেক মেনন হাত বুলিয়ে দেন হাতির গায়ে। আদর করেন। খাইয়ে দেন দুধ। হাতি অনুভব করে ভালবাসা। প্রত্যুত্তরে শুঁড় বুলিয়ে দেয় বিবেক মেননের মাথায়, গায়ে।
বন্যপ্রাণীদের কথা ভেবে ওয়াইল্ডলাইফ ট্রাস্ট অফ ইন্ডিয়া ছাড়াও বিবেক মেনন তৈরি করেছেন আরও কয়েকটি সংস্থা— ট্রাফিক ইন্ডিয়া— একটি বন্যপ্রাণী বাণিজ্য পর্যবেক্ষণ নেটওয়ার্ক, এনজিও সৃষ্টি— দিল্লিতে পরিবেশ রক্ষার জন্য প্রতিষ্ঠিত একটি সংস্থা, দিল্লি বার্ড ক্লাব, ভেনু মেনন অ্যানিমেল অ্যালাইজ ফাউন্ডেশন। এমন একটি পৃথিবীর ছবি তিনি কল্পনা করেছিলেন, যেখানে বন্য গাছপালা এবং প্রাণীর ব্যবসা পরিবেশগত সিস্টেমের অখণ্ডতাকে ক্ষতিগ্রস্ত না করে স্বাভাবিকভাবে পরিচালিত হবে। ট্রাফিক ইন্ডিয়া শুরু থেকে সেটাই করার চেষ্টা করেছে। বিবেক মেনন তাঁর সহকর্মী সংরক্ষণবাদী অশোক কুমারের সঙ্গে এই বন্যপ্রাণী বাণিজ্য পর্যবেক্ষণ নেটওয়ার্ক সহ-প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। অবৈধ কাজকর্ম এবং চোরাশিকার বন্ধ করা ছিল সংগঠনের মূল উদ্দেশ্য। এই সংগঠনের অবৈধ আন্তর্জাতিক হাতির দাঁতের ব্যবসার বিরুদ্ধে লড়াই করে।
ভেবেছেন মাছেদের কথাও
গত এক যুগ ধরে ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অফ নেচার-এর এশিয়ান এলিফ্যান্ট স্পেশালিস্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান হিসেবে বিবেক মেনন হাতিদের প্রতি সহনশীল হওয়ার বিষয়ে বিভিন্ন সরকারকে পরামর্শ দেওয়ার কাজ করে চলেছেন।
বৃহৎ স্তন্যপায়ী প্রাণীদের জন্য ‘রাইট অফ প্যাসেজ’ সুরক্ষিত করার প্রধান লক্ষ্য নিয়ে ভারত সরকার এবং শীর্ষস্থানীয় বিজ্ঞানীদের সঙ্গে ওয়াইল্ডলাইফ ট্রাস্ট অফ ইন্ডিয়া ভারতের ২৯ হাজার এশিয়ান হাতির জন্য ১১টি রাজ্য জুড়ে ১০১টি কার্যকরী করিডোর চিহ্নিত এবং জরিপ করেছেন। বায়োডাইভারসিটিতে ২০২৩ সালের একটি গবেষণা অনুসারে, করিডোরগুলি হল বনের ছোট স্ট্রিপ, যা বনের দুটি বড় অংশকে সংযুক্ত করে; একটি অবিচ্ছিন্ন দ্বি-মাত্রিক আড়াআড়ি কাঠামো, যা প্রাণীর আবাসস্থলের দুই বা ততোধিক পূর্বে সংযুক্ত এলাকাকে আন্তঃসংযোগ করে। এগুলো প্রাণীদের ছত্রভঙ্গ করতে, তাদের বিচ্ছিন্ন হওয়ার ঝুঁকি কমাতে এবং বাসস্থান পুনর্বাসনকে সহজ করে তোলে।
গবেষণায় দেখা গিয়েছে, কীভাবে নৃতাত্ত্বিক চাপ, সড়ক ও রেলপথের উন্নয়ন এবং জলবিদ্যুৎ প্রকল্পগুলো এই করিডোরগুলিকে বাধাগ্রস্ত করছে। কৃষক সম্প্রদায় একাধিক বনকে ফসলের জমিতে পরিণত করায় সমস্যা আরও বেড়েছে। অনেক সময় হাতির শাবক বনের বাইরে বেরিয়ে যায়। সুযোগ নেয় বন শিকারিরা। বিবেক মেনন এবং তাঁর সহকর্মীরা বনের বাইরে বেরিয়ে যাওয়া হাতির শাবকের বনে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে বিশেষ উদ্যোগী হয়েছেন। বন্য প্রাণীদের পাশাপাশি বিবেক মেনন ভেবেছেন মাছেদের কথাও। ভারতে বন্যপ্রাণী সুরক্ষা আইন, ১৯৭২-এর অধীনে প্রথম মাছ হিসেবে সুরক্ষিত তিমি-হাঙরকে রক্ষা করার জন্য তিনি জোর প্রচার চালান। বেআইনি মঙ্গুজ হেয়ারব্রাশের ব্যবসা, বাঘ-সহ ২৭৫টিরও বেশি বন্যপ্রাণী সামগ্রী আটকে সরকারকে সহযোগিতা করেন। বিভিন্ন প্রাণীর হাড়, ভালুকের পিত্ত, প্যাঙ্গোলিনের অবৈধ বাণিজ্য রোধ করার চেষ্টা করেন। সংগঠনের সাফল্য তাঁকে যথেষ্ট তৃপ্তি দেয়।
পরামর্শদাতা ও প্রশিক্ষক
বিবেক মেনন দীর্ঘদিন ভারতীয় বনরক্ষী, রেঞ্জার এবং আধা-সামরিক বাহিনীকে নানারকম পরামর্শ ও প্রশিক্ষণ দিয়েছেন। যাতে চোরা শিকারিদের সহজেই চিহ্নিত করা এবং ধরা যায়। যদিও তাঁর মনে হয়েছে বেআইনি কার্যকলাপ সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করা অসম্ভব। তবে কমানো যেতে পারে। তিনি আরও মনে করেন, বনরক্ষীরা বেআইনি বাণিজ্য বন্ধ করার জন্য লড়াই করছেন। এঁদের অবশ্যই উপযুক্ত প্রশিক্ষণ দেওয়া উচিত। বেআইনিভাবে অনেকেই হাতির দাঁতের অবৈধ ব্যবসা করছেন। এঁদের চিহ্নিত করা প্রয়োজন।
তাঁর মতে, পশু কল্যাণের জন্য আন্তর্জাতিক তহবিল অনুসারে, শস্য অভিযান এবং সম্পত্তি ধ্বংস হল হাতি-মানুষের সংঘর্ষের প্রধান কারণ। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ভারতে মানুষের সঙ্গে সংঘর্ষে বছরে প্রায় ১০০টি হাতি মারা যায়। জায়গার অভাবে সমস্যা আরও বেড়েছে। হাতি একটি বড় এবং বুদ্ধিমান সামাজিক প্রাণী। তার চলার পথে যা কিছু পড়ে, সব ধ্বংস করে। তাই তার চলার পথ মসৃণ রাখতে হবে। তার জন্য হাতি করিডোর তৈরি করা অবশ্যই প্রয়োজনীয়। মনে রাখতে হবে, এই পৃথিবী হাতিরও আবাসস্থল। তারা যাতে শাবকদের নিয়ে সহজেই উত্তর ভারত থেকে দক্ষিণ ভারতে যেতে পারে, সেটা আমাদের দেখতে হবে।
হাতি করিডরের ম্যাপ
ওয়াইল্ডলাইফ ট্রাস্ট অফ ইন্ডিয়ার উদ্যোগে হাতি করিডরের ম্যাপ তৈরি হয়েছে। বিবেক মেননের পরিচালনায়। সেই ম্যাপ প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে কোন কোন পথ দিয়ে হাতি সহজেই যাতায়াত করতে পারে। সেখানে যেন মানুষের জন্য ঘরবাড়ি অফিস কাছারি তৈরি না হয়। আরও কিছু হাতি করিডরের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেন বিবেক মেনন। তিনি বলেন, হাতির করিডর সুরক্ষা চারটি উপায়ে করা যেতে পারে। প্রথম মডেল, উত্তর-পূর্বের সম্প্রদায়ের মডেল, যা গত দুই দশক ধরে চলছে। মডেলটি হল, যে সম্প্রদায়ের মানুষের এলাকার উপর দিয়ে হাতির করিডর গিয়েছে, সেই সম্প্রদায়ের মানুষদের পথের দিকে বিশেষ দৃষ্টি দিতে হবে। যাতে সহজেই হাতি চলাচল করতে পারে। এর জন্য ওই সম্প্রদায়কে কিছু সুবিধা এবং পুরস্কৃত করতে হবে, যাতে তারা উৎসাহ পায়।
দ্বিতীয় মডেলটি হল, সরকারকে জমি অধিগ্রহণ করতে হবে এবং রৈখিক অবকাঠামো প্রশমনের জন্য চাপ দিতে হবে।
তৃতীয়টি হল, এমন একটি সম্প্রদায় তৈরি করা যারা হাতির গতিবিধির উপর নজর রাখার জন্য প্রশিক্ষিত। উদাহরণস্বরূপ, কাজিরাঙায়, অল্পবয়সি ছেলেদের দল আছে, যারা সদা সতর্ক রয়েছে। তারা রাস্তায় গাড়ি থামায়, যাতে হাতি পার হতে পারে।
চতুর্থটি হল, গ্রাম স্থানান্তর করা। এটা সেখানেই করতে হবে, যেখানে মানুষ হাতি করিডরের মাঝখানে বসতি স্থাপন করেছে। এর ফলে দেখা দিচ্ছে সমস্যা। চলার পথে হাতি বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে। ক্ষুব্ধ হয়ে মানুষকে হত্যা করছে এবং ফসল ধ্বংস করছে। গ্রাম স্থানান্তর করা হলে এই সমস্যা দূর হয়ে যাবে। প্রসঙ্গত, প্রায় কুড়ি বছর আগে যখন বিবেক মেনন এবং তাঁর দল অনাথ হাতি-বাছুরদের উদ্ধার ও পুনর্বাসন শুরু করেছিল, যাতে তাদের বনের মধ্যে পুনরায় স্থানান্তরিত করা যায়, তখন অনেকেই এই ধারণাটিকে আমল দেয়নি, বরং নিরুৎসাহিত করেছিল। কিন্তু সংরক্ষণবাদী বিবেক মেনন এবং তাঁর দল অধ্যবসায়ের ফলে অন্তত পঞ্চাশ শতাংশ সাফল্য পেয়েছিলেন। বর্তমানে সেই হার অনেকটাই বেড়েছে। সেই সময় যারা তাঁকে নিরুৎসাহিত করেছিল, প্রশ্ন তুলেছিল তাঁর কাজ নিয়ে, তাঁদের অনেকেই পরবর্তী সময়ে বিবেক মেনন এবং তাঁর দলের ভূয়সী প্রশংসা করেছে। পৃথিবীর বহু প্রতিষ্ঠান সংবর্ধিত ও পুরস্কৃত করেছেন বিবেক মেননকে।
কাজের স্বীকৃতি
২০০১ সালে তিনি ‘ভারত ও এশিয়ায় হাতির শিকার এবং আইভরি ট্রেডের মনিটরিং’ বিষয়ক একটি প্রকল্পের জন্য হুইটলি পুরস্কার পান। বন্যপ্রাণী করিডর স্থাপনে তাঁর কাজকে স্বীকৃতি দিতেই এই পুরস্কার। ২০১৭ সালে তিনি আরজি সামসার লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড গ্রহণ করেন।
২০২০ ভারতের সুপ্রিম কোর্ট সিগুর মালভূমিকে একটি হাতি করিডর হিসাবে চিহ্নিত করেছিল, ওই অঞ্চল দিয়ে প্রায় ৬৩০০ এশিয়াটিক হাতির চলাচল দেখে। এর পিছনে ছিল বিবেক মেননের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। হুইটলি ফান্ড ফর নেচার লক্ষ করেছিল, কীভাবে বন্যপ্রাণী এবং মানুষ, উভয়ের কথা ভেবে বিবেক মেনন একটা নতুন পথ বের করেছেন। বিবেক মেননের কাজ সারা বিশ্বে তরঙ্গ সৃষ্টি করেছে। তাঁর ডাক পড়ে বিভিন্ন সভায়। তিনি ঘণ্টার পর ঘণ্টা বক্তৃতা দেন। নন্দিত-বন্দিত হন সারা বিশ্বে। ছড়িয়ে পড়ে নাম। আসতে থাকে আরও অনেক পুরস্কার ও সম্মাননা।
এত কাজ। এত সাফল্য। তবু থেমে নেই তিনি। বন্যপ্রাণীদের সুরক্ষার কথা প্রতি মুহূর্তে ভাবেন। শয়নে স্বপনে জাগরণে। যতদিন চলবে শ্বাস-প্রশ্বাস, ততদিন তিনি থেকে যাবেন বন্যপ্রাণীদের বন্ধু হয়ে। বিশেষত হাতির বন্ধু হয়ে।