সংবাদদাতা, বসিরহাট : দুর্গাপুজোর আনন্দের রেশ ধরেই শুরু হতে চলেছে আলো আর প্রাণের উৎসব শ্যামাপুজো। বসিরহাট মহকুমার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী স্বরূপনগর ব্লকের বিথারি গ্রামের চক্রবর্তী পরিবারের খয়রা কালীপুজো বহু প্রাচীন। মোঘলসম্রাট আকবরের সভায় হিন্দুশাস্ত্রে পণ্ডিত ছিলেন গোপাল সার্বভৌম। তিনি ছিলেন তান্ত্র মতে দীক্ষিত। প্রায় ৬০০ বছর আগে সম্রাটের নির্দেশে অবিভক্ত বাংলাদেশের চাঁদড়া গ্রামের জমিদারবাড়িতে যাচ্ছিলেন।
আরও পড়ুন-কুৎসা না করে আগে ছবি দেখুন
বর্তমান মন্দিরের পিছনে বাঁওড়ের পাশে স্বপ্নাদেশ পেয়ে মায়ের জোড়া মৃন্ময়ী প্রতিমা তৈরি করে তান্ত্রিক মতে পুজো করেন। দৈবাদেশ হয়, যেন একটি মূর্তি বিসর্জন দেওয়া হয় ও আর একটি মূর্তির স্থায়ীভাবে নিত্যপুজো হয়। প্রায় দুশো বছর আগে দক্ষিণেশ্বরে মা ভবতারিণী মন্দিরের প্রতিষ্ঠাতা তথা জানবাজারের রানী রাসমণির জামাতা মথুরামোহন বিশ্বাস ছিলেন এই বিথারি গ্রামের বাসিন্দা। তাঁরই উদ্যোগে একবার শ্রীরামকৃষ্ণ দেব এসে পুজো করেন বলে জনশ্রুতি। রানীর উদ্যোগে সেখানে হয় পাকা মন্দির ও প্রস্তর প্রতিমা নির্মাণ। সেই শুরু নিত্যপুজোর। এখনও পুরনো রীতি মেনে কাহার সম্প্রদায়ের মানুষরা মন্দির পরিষ্কারের দায়িত্বে। পাশের জেলেপোতা এলাকার মুসলমান জেলেদের থেকে প্রাপ্ত খয়রা ইলিশ দিয়ে ভোগ রাঁধা হয়। তাই মায়ের নাম খয়রাকালী।