সংবাদদাতা, নন্দীগ্রাম : একেই বলে শূন্য থেকে, হিরো হওয়া। একসময়ের ভিক্ষুক, এখন সফল মাছ ব্যবসায়ী। পাঁচজনের অনুপ্রেরণা নন্দীগ্রামের সোনাচূড়া গ্রামের জয়দেব মুনিয়ান। ৫৫ বছরের জয়দেবের জীবনকাহিনি সিনেমার চিত্রনাট্যের মতো। ছোটবেলাতেই মা-বাবাকে হারিয়েছেন। আত্মীয়দের কাছে আশ্রয় পেলেও ঠিকমতো খাবার জুটত না। গ্রামে ভিক্ষে করেই দিন চলত। একটু বড় হতেই ১০-১২ বছর বয়সে কলকাতায় মাছের দোকানে হেল্পার হিসেবে কাজ শুরু করা।
আরও পড়ুন-কৃষিভিত্তিক শিল্পে ২৩০০ কোটি বিনিয়োগ
সেখান থেকেই মাছ ব্যবসার খুঁটিনাটি শিখে ফেলেন। সেই মাছ-দোকানমালিক কাজের উৎসাহ দেখেই জয়দেবকে স্বনির্ভর হওয়ার পরামর্শ দেন। ওই মালিকের কাছ থেকে পাওয়া ২৮ টাকা নিয়ে শুরু করেন মাছের ব্যবসা। কলকাতায় ব্যবসা করে আয়ের মুখ দেখেন। পরে বেশ কিছু অর্থ জমিয়ে কলকাতার পাট চুকিয়ে সোনাচূড়া গ্রামে ব্যবসার সিদ্ধান্ত নেন। সেই শুরু। স্টল বানিয়ে বা দোকান পেতে নয়, সাইকেলে চেপে, কখনও পায়ে হেঁটে গ্রাম থেকে গ্রামে মাছ ফেরি করে বিক্রি করতেন জয়দেব। তার দৌলতে গ্রামে ছয় বিঘা জমি কিনেছেন। বসবাসের বাড়িটি পাকা করেছেন। বিয়ে দিয়েছেন দুই মেয়ের। তাঁর লড়াইয়ে পাশে দাঁড়িয়েছে মৎস্য দফতরও। পেয়েছেন মাছ ফেরির মোটরবাইক ও ইনসুলেটেড বক্স। আর তাতেই ব্যবসা বেড়েছে। নন্দীগ্রাম ১ ব্লক মৎস্য অধিকর্তা সুমনকুমার সাহু জানান, সামান্য পুঁজি নিয়েও মাছচাষ বা ব্যবসায় নেমে সাফল্য অর্জন করা যায়। জয়দেব মুনিয়ান তার বড় উদাহরণ।