সংবাদদাতা, হুগলি : হুগলি জেলায় তৃণমূলের (TMC) আগামী মিশন ২১ জুলাই শহিদ স্মরণে সমাবেশ। পঞ্চায়েত ভোট মিটেছে শান্তিতে। হুগলি জেলায় কিছু জায়গায় বিরোধীদের সন্ত্রাস আর প্ররোচনার পরেও মানুষ ভোট দিয়েছে শান্তিতে। হুগলি জেলায় মোট ভোট পড়েছে প্রায় ৬৭ শতাংশ। আরামবাগে যেহেতু চারটি বিধায়ক বিজেপির সেই কারণে নিজেদের ক্ষমতা প্রদর্শন করতে গিয়ে সিপিএম দলের সঙ্গে হাত মিলিয়ে কিছুটা অশান্তি পাকিয়েছিল বিরোধীরা। কিন্তু রাজ্য পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনী কড়া হাতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছে। বিরোধীরা কিছুটা হিংসার কথা বললেও হুগলি জেলায় বিভিন্ন জায়গায় বিরোধী দলের প্রার্থীরা নিজেরাই জানিয়েছিলেন, ভোট হয়েছে শান্তিতে। মানুষ নিজের ভোট নিজেই দিয়েছে। ভোটের লাইনে প্রথম ভোট দেওয়া যুব থেকে ১০০ বছরের প্রবীণ ব্যক্তিরা ভোট দিয়েছেন শান্তিতে। এক কথায়, হুগলি জেলায় ভোট প্রক্রিয়া মিটেছে শান্তিতেই। আর বাম আমলের ভোট পরবর্তী হিংসার ছবিও এখন অতীত। ভোট মিটে যাওয়ার পরেও হুগলি জেলায় কোথাও কোনও হিংসার ঘটনা সামনে আসেনি। এতে খুশি হুগলি জেলার মানুষ। বহু মানুষ সরাসরি জানিয়েছেন এত শান্তিতে ভোট হবে এটা হয়তো তাঁরা ভাবতেও পারেননি। তাই ভোটের পরেও শান্ত স্বাভাবিক হুগলি জেলার পরিবেশ। আরামবাগে বেশ কয়েকটি বুথে বিরোধীরা ভোট বানচাল করতে সন্ত্রাস সৃষ্টি করেছিল। সেই দাবি নিয়ে কয়েকটি বুথে পুনর্নির্বাচন দাবি করেছে তৃণমূল। এছাড়া সমস্ত জায়গায় শান্তির পরিবেশ বিরাজমান। এখন শাসক-বিরোধী দুই শিবিরে দেখা যাচ্ছে ভোট গণনার দিনের জন্য এজেন্ট নির্বাচন করতে ব্যস্ত। তবে উন্নয়নকে হাতিয়ার করে জয়ের ব্যাপারে সব জায়গায় আশাবাদী শাসকদলের প্রার্থীরা। আর পঞ্চায়েত ভোট এখন অতীত। এবার শাসকদল তৃণমূলের মিশন ২১ জুলাই কলকাতায় শহিদ স্মরণে সমাবেশ। আর সেই সমাবেশ সফল করতে ইতিমধ্যেই ভাবনা শুরু তৃণমূল শিবিরে। ভোট মিটতেই হুগলি জেলার তৃণমূল (TMC) কর্মী-সমর্থকরা সোশ্যাল মিডিয়া থেকে শুরু করে সব জায়গায় শহিদ দিবসের প্রচার শুরু করে দিয়েছেন। বিভিন্ন এলাকায় দেওয়াল লেখা থেকে ব্যানার লাগানো শুরু সব কিছু। পঞ্চায়েত ভোট মিটতেই তৃণমূলের প্রস্তুতিও শুরু।
আরও পড়ুন- রাজ্যসভার ভোটের প্রস্তুতি শুরু করল তৃণমূল কংগ্রেস