প্রতিবেদন: ভক্ত এবং দর্শনার্থীদের সুবিধার জন্য পুরির জগন্নাথ মহাপ্রভুর মন্দিরে যে র্যাম্প তৈরির পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল, সেবায়েতদের আপত্তিতে তা বাতিল করা হল। পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করার ক্ষেত্রে কিছু টেকনিক্যাল সমস্যার কথা বিবেচনা করেই আপাতত পিছিয়ে এল মন্দির কর্তৃপক্ষ। তবে নতুন বছরের প্রথম দিন থেকেই মন্দিরে ভিড় সামলানোর জন্য চালু হচ্ছে নতুন নিয়ম। অবশ্য মঙ্গলবার পুরনো বছরের শেষদিনে এবং বুধবার নতুন বছরের প্রথমদিনে লক্ষ লক্ষ সাধারণ দর্শনার্থীর জন্য কিছু বিশেষ পরিবর্তন করা হচ্ছে মন্দিরের নিয়মে। এই দু’দিন কেবলমাত্র সিংহদ্বার দিয়েই মন্দিরে প্রবেশ করতে পারছেন ভক্তরা। বের হওয়ার জন্য বাকি ৩টি দ্বার। মন্দিরের সেবায়েত বা তাঁদের পরিবারের সদস্যদের প্রবেশ বা বের হওয়ার ক্ষেত্রে অবশ্য কোনও বিশেষ নিয়ম রাখা হয়নি।
আরও পড়ুন-তৃণমূল ২৮, উচ্ছ্বাসের মাঝে বাংলা জুড়ে আজ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন
৩১ ডিসেম্বর এবং ১ জানুয়ারি মন্দিরে দর্শনার্থী সমাগম প্রতিবছরই ভেঙে চলেছে আগের বছরের রেকর্ড। আইনশৃঙ্খলার অবনতি রুখতে মোতায়েন করা হয়েছে ৬০ প্ল্যাটুন পুলিশ। অর্থাৎ ভিড় সামলাতে নেমে পড়েছেন প্রায় দেড় হাজার পুলিশ কর্মী। সজাগ দৃষ্টি রাখছেন ১০ জন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এবং ৩৩ জন ডিএসপি। মন্দিরের মধ্যে ছিনতাই রুখতেও করা হয়েছে দুটি বিশেষ সেল। মূল রাস্তায় বেশ কিছুদিন আগে থেকেই দেওয়া হয়েছে অস্থায়ী ব্যারিকেড।
পুনর্গঠনের পরে নতুন রূপ পেয়েছে মহাপ্রভুর মন্দির। পূর্বদিকে সিংহদ্বার, পশ্চিমে ব্যাঘ্রদ্বার, উত্তরে হস্তিদ্বার এবং দক্ষিণে ঘোড়াদ্বার। প্রতিটি দ্বার দিয়ে লাইনে দাঁড়িয়ে সুশৃঙ্খলভাবে দর্শনার্থীদের প্রবেশ এবং বের হওয়া শুরু হয়ে গিয়েছে বেশ কয়েকদিন আগেই। এবার শুরু হওয়ার পালা ৬টি পৃথক ব্যারিকেডের মধ্যে দিয়ে মন্দিরে প্রবেশ। মহিলা, পুরুষ, বৃদ্ধ এবং বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন দর্শনার্থীদের জন্য আলাদা লাইন। মন্দির চত্বরে র্যাম্প নির্মাণের পরিকল্পনাটাও অনেকটা এই আইডিয়া থেকেই। পুরুষ, মহিলা, বৃদ্ধ-বৃদ্ধা এবং প্রতিবন্ধীরা আলাদাভাবে র্যাম্পে উঠে গর্ভগৃহে দর্শন পাবেন মহাপ্রভুর। ব্যবস্থাটা অনেকটা বড় মাপের ভিক্ট্রি-স্ট্যান্ডের মতো। কিন্তু প্রশ্ন ওঠে, কারও সাহায্য ছাড়া বয়স্ক ভক্ত বা বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন দর্শনার্থীদের পক্ষে তা কি আদৌ সম্ভব? এই কঠিন বাস্তবের কথা চিন্তা করেই আপাতত বাতিল সেই পরিকল্পনা।