লঙ্কা চা-এর প্রেমে মজে মন্ত্রী থেকে সঙ্গীতশিল্পী

Must read

সৌমেন মল্লিক: লঙ্কা (Lanka Tea) খেয়ে অনেকেই ঝালে কাবু। কিন্তু এই লঙ্কা দিয়েই তৈরি ঝাল ঝাল চায়ের প্রেমে পড়েছেন মন্ত্রী থেকে সঙ্গীতশিল্পী হয়ে আমজনতা সকলেই। আশ্চর্য লাগল এটা সত্যি। এই সত্যি জানতে গেলে আপনাকে আসতে হবে টালিগঞ্জ নেতাজিনগর ফিউচার ফাউন্ডেশন স্কুলের উল্টোদিকে ঋষি অরবিন্দ পার্কে। ৯৮ নং ওয়ার্ডের এই জায়গায় এলেই দেখতে পাবেন ‘লঙ্কা চা’য়ের স্টল। স্টলের ভিড়ে নজর কাড়বে এই অভিনব চায়ের দোকান। দোকানের মালিক কাশীনাথ সূত্রধর। বাড়ি ১১৩ নং ওয়ার্ডে সোনালি পার্কে। তাঁর হাত ধরেই মানুষ রোজই অভিনব এই চায়ের স্বাদ পাচ্ছেন। বিকেল পাঁচটা থেকে রাত দশটা দোকান খোলা। ভিড় লেগেই আছে।

আরও পড়ুন-পলাশের টানে পাহাড়পুরে

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদর্শে অনুপ্রাণিত কাশীনাথের মূলধন সততা। তিনি বলছেন, দোকানের উপরই নির্ভর করেই চলে তাঁর সংসার। মেয়েকে ওকালতি পাশ করিয়েছেন। স্ত্রী, ছেলে, নাতি নিয়ে তাঁর সংসার। দোকানে পাওয়া যায় প্রায় ৪০ রকমের দেশি-বিদেশি চা। দাম ৩০ থেকে শুরু করে ৫০০ টাকা পর্যন্ত। মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস প্রায়ই আসেন চা (Lanka Tea) খেতে। সঙ্গীতশিল্পী থেকে সাধারণ মানুষ, আসেন অনেকেই। তাঁর দাবি, এই অভিনব লঙ্কা চা ভারতবর্ষের কোথাও মেলে না। খাঁটি দার্জিলিং চায়ের সঙ্গে চাইলে শ্রীলঙ্কা, আফ্রিকার চাও পেয়ে যাবেন। আগামী দিনে গোটা দেশে এই চা ছড়িয়ে পড়ুক, ইচ্ছে কাশীনাথের।
এরপরই কাশীনাথ ফাঁস করলেন লঙ্কা চায়ের নেপথ্যে কারিগরের নাম। মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসই এই চায়ের আবিষ্কর্তা। এই স্টলের পাশাপাশি এখানে রয়েছে আরও ছ’টি দোকান। সেখানে স্ন্যাকস থেকে তেলেভাজা, মেলে সবই। এই স্টল চালিয়ে সংসার চলে সাতটি পরিবারের। এভাবেই গরিব পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। তাঁর উদ্যোগেই তৈরি হয়েছে এই স্টলগুলি। স্টলগুলির নামকরণের পিছনে রয়েছে মন্ত্রীর ভাবনা। নামগুলি হল, ‘অভিনব পেয়ালা’, ‘রুচির রসদ’, ‘রসনা’, ‘বিশেষ আহার’। তবে সবকিছুকে ছাপিয়ে আপাতত নজর কাড়ছে কাশীনাথের লঙ্কা চা।

Latest article