প্রতিবেদন: অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় ভাঙা হাড় প্লাস্টার করার আগে সেট করার জন্য রোগীকে চেপে ধরে সেই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হয়। এতে অনেক রোগী ব্যথায় অজ্ঞান হয়ে যায়। তাই এবার থেকে এই ধরনের সমস্যা এড়াতে নতুন নিয়ম নিয়ে এল স্বাস্থ্য দফতর। এসএসকেএম হাসপাতালে অর্থোপেডিক বিভাগে এবার থেকে কারোর হাত-পা প্লাস্টার করার আগে তাকে অজ্ঞান করে নেওয়া হবে। পাশাপাশি পরীক্ষা করে দেখা হবে ওই ব্যক্তির রক্তচাপ বা হৃদযন্ত্রের কোনও সমস্যা আছে কিনা।
আরও পড়ুন-বাড়ল সমুদ্রসাথী প্রকল্পে নাম নথিভুক্তকরণের সময়সীমা
সোমনাথ পণ্ডিত হাসপাতালে আগামী ২৬ জুন থেকে হাত-পা জোড়া এবং প্লাস্টার করার কাজ শুরু হচ্ছে। সপ্তাহে দুদিন সেখানে এই পরিষেবা দেওয়া হবে। উপস্থিত থাকবেন অর্থোপেডিক পোস্ট গ্রাজুয়েট ট্রেনিরা এবং অ্যানস্থেসিস্ট ট্রেনিরা। তাদের তত্ত্বাবধানে থাকবেন অধ্যাপক পদের একজন অর্থোপেডিক সার্জন।
এসএসকেএম হাসপাতাল সূত্রে খবর, অনেক সময় দেখা যায় হাত-পা ভেঙে গেলে তা প্লাস্টার করার আগে চিকিৎসকরা চেপে ধরে তা সেট করে নেন। এতে অনেকে ভয় পেয়ে গিয়ে কিংবা ব্যথায় চিৎকার করতে শুরু করেন তখন অনেকেরই মানসিক সমস্যাও যেমন হয় তেমন হৃদরোগে আক্রান্ত থাকলে সে অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন। তাই এই সব ঝুঁকি এড়াতে এবার থেকে হৃদযন্ত্রের পরীক্ষা করে অজ্ঞান করে তারপরেই প্লাস্টার করা হবে। প্রসঙ্গত জানা গিয়েছে, এবার থেকে এসএসকেম হাসপাতালের খানিকটা চাপ কমাতে শম্ভুনাথ পণ্ডিত হাসপাতালে বড় অস্ত্রপচারের জন্য বেশ কিছু রোগীকে এসএসকেএম থেকে পাঠানো হবে।