প্রতিবেদন : রাজ্য সরকার ধানের সহায়ক মূল্য বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। গত মরশুমে রাজ্য সরকার চাষিদের কাছ থেকে কুইন্টাল পিছু ২,১৮৩ টাকা দামে ধান কিনেছিল। এবার তা ১১৭ টাকা বাড়িয়ে ২,৩০০ টাকা করা হয়েছে। ধান চাষিদের সুবিধার জন্য প্রতিটি জেলাতেই ক্রয়কেন্দ্র বাড়ানো হচ্ছে। এছাড়া প্রত্যন্ত এলাকা থেকে ধান সংগ্রহ করার জন্য মোবাইল ভ্যানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। গ্রামে গিয়ে চাষিদের থেকে খাদ্য দফতর সরাসরি ধান কিনবে। আগামী মরশুমে ধান কেনার জন্য স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলিকে আরও সক্রিয়ভাবে নামানো হচ্ছে। এছাড়া বেনফেড, নাফেড, কনফেড-এর মতো সংস্থাগুলিও ধান কিনবে। ধান ভেঙে চাল করার জন্য রাইসমিলগুলির কাছ থেকেও আবেদনপত্র নেওয়া হচ্ছে। অনলাইনে আবেদন করতে হবে।
আরও পড়ুন-ক্যানসার চিকিৎসায় দিশা দেখাচ্ছে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড
আগে খোলা বাজারে ধানের দাম বেশি থাকত। চাষিরা ক্রয়কেন্দ্রে না গিয়ে ফড়েদের ধান বিক্রি করত। অধিকাংশ জেলা ধান কেনার টার্গেট পূরণ করতে পারত না। কিন্তু, গত বছরও ধানের দাম সরকার বেশি দেওয়ায় অধিকাংশ জেলা ধান কেনার টার্গেট ছুঁয়ে ফেলেছে। ধান কেনার ক্ষেত্রে পূর্ব বর্ধমান জেলা এক নম্বরে রয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে হুগলি রয়েছে। সামনের মরশুমে প্রতিটি জেলাতেই ধান কেনার টার্গেট বাড়ানো হয়েছে। অনেক সময় ফড়েরা অন্যের নথি দিয়ে ক্রয়কেন্দ্রে ধান বিক্রি করে। তারা সেটা যাতে করতে না পারে তার জন্য বায়োমেট্রিক ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। নাম নথিভুক্ত হওয়ার পর চাষিদের আঙুলের ছাপ দিতে হবে। তবে এবার থেকে বর্গাদাররাও ক্রয়কেন্দ্রে ধান বিক্রি করতে পারবেন। তবে তাঁদের জমি সংক্রান্ত স্ব-ঘোষণাপত্র দিতে হবে।
আরও পড়ুন-দাবা অলিম্পিয়াডে জোড়া সোনা ভারতের
সরকার ধানের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়ায় চাষিরা খুশি। কৃষিক্ষেত্রে সব জিনিসের দাম বেড়ে গিয়েছে। সারের দাম আকাশছোঁয়া। এবছর অনেক জমিতে দু’বার ধান রোপণ করতে হয়েছে। ধানের দাম না বাড়ানো হলে চাষিরা সমস্যায় পড়তেন। মূল্যবৃদ্ধির জন্য চাষিদের নাভিশ্বাস উঠেছে। সরকার দাম বাড়িয়ে সঠিক পদক্ষেপ নিয়েছে। তবে সব চাষি যাতে ক্রয়কেন্দ্রে ধান বিক্রি করতে পারে সেটা দেখা দরকার। বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে চাষিদের ক্রয়কেন্দ্র থেকে ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হয়। ধানে ধুলো রয়েছে বলে চাষিদের সমস্যায় ফেলার প্রবণতা রয়েছে, এমনই দাবি ধান চাষিদের। এইসব প্রবণতা বন্ধ করতে আরও কড়া হচ্ছে প্রশাসন।