বড় পর্দা থেকে পার্টির বড় পদে

বাংলা চলচ্চিত্রজগতের একসময়ের প্রথম সারির নায়িকা। সময়ের হাত ধরে গ্ল্যামার ওয়ার্ল্ড থেকে রাজনীতির জগতে এসে নিজেকে মিশিয়ে দিয়েছেন বাংলার আমজনতার সঙ্গে। তারই স্বীকৃতি হিসেবে এবার পেলেন তৃণমূলের লোকসভার ডেপুটি লিডারের গুরুদায়িত্ব। সেই উত্তরণের অনুভূতির কথা ‘জাগোবাংলা’কে শোনালেন শতাব্দী রায়। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন সুদেষ্ণা ঘোষাল

Must read

সিনেমা জগৎ থেকে সংসদীয় দলে গুরুদায়িত্ব, সুদীর্ঘ যাত্রাপথ, দল লোকসভার ডেপুটি লিডারের দায়িত্ব দিয়েছে আপনার অনুভূতি—
শতাব্দী : আমি কৃতজ্ঞ নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে। ধন্যবাদ লোকসভার দলনেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। শীর্ষ নেতৃত্ব আমার উপরে আস্থা এবং ভরসা রেখেছেন। রাজনীতি টিম ওয়ার্ক। একার পক্ষে করা যায় না।
লোকসভায় সতীর্থ সাংসদদের জন্য কোনও বার্তা?
রাজনীতিতে সর্বোপরি ‘আমি’ নয় ‘আমরা’ এই ভাবনা নিয়ে চলতে হবে। কাজ করতে হবে। দলের সুনাম রক্ষায় সমস্ত সাংসদকে সম্মিলিত হয়ে কাজ করতে হবে। অভাব-অভিযোগ থাকবে, কিন্তু আলোচনার মাধ্যমে মেটাতে হবে। তবেই দল সমৃদ্ধ হবে।

আরও পড়ুন-জোটের বৈঠকে অভিষেক

সিনেমা জগৎ থেকে রাজনীতির ময়দান, অনেক ঝড়-ঝাপটা সামাল দিয়েছেন কীভাবে?
প্রথমদিকে গ্ল্যামার জগৎ থেকে মাঠে ময়দানে মানুষের মধ্যে গিয়ে কাজ করতে, খাপ খাওয়াতে অসুবিধে হত। কিন্তু বীরভূমবাসীকে যেদিন থেকে আপন করে নিয়েছি, তাঁরাও আমায় কাছে টেনে নিয়েছে। ভাবনা বদলে গেছে দ্রুত। রাজনীতিতে যোগ দিয়ে একান্ত মনে একশো শতাংশ নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করেছি। এই বিশ্বাস নিয়ে কাজ করেই সাফল্য এসেছে। তার ফল পেয়েছি।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাংসদদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকের পরে নতুন দায়িত্ব পেয়েছেন, নেত্রী কোনও বিশেষ উপদেশ অথবা নির্দেশ দিয়েছেন?
মুখ্যমন্ত্রী কোনও নির্দেশ দেননি। তবে অভিষেকের সঙ্গে ফোনে কথা হয়। এরপর অভিষেক, কাকলিদি এবং আমি তিনজনে আলোচনায় বসি। লোকসভায় স্ট্রাটেজি ঠিক করা হয়। এটা টিম ওয়ার্ক। কারণ আলোচনা ছাড়া কোনওকিছুই সম্ভব নয়। অভিষেক আমাদের দলনেতা। রাজনৈতিক বিচক্ষণতা, বুদ্ধি, দূরদৃষ্টি লোকসভায় দলের পজিটিভ ভাইব্রেন্ট তৈরি করবে বলে আমরা নিশ্চিত।
লোকসভার ডেপুটি লিডার হওয়ার পর বীরভূমের উন্নয়ন নিয়ে কোনও বিশেষ কাজ করার পরিকল্পনা?
বীরভূমে তারপীঠের কালীমন্দির, একান্ন পীঠের রেপ্লিকা গড়ার স্বপ্ন মুখ্যমন্ত্রীর। পর্যটকদের জন্য অবশ্যই তা খুব আকর্ষণীয় স্থান হয়ে উঠবে। এই কাজ বাস্তবায়িত করতে হবে। উন্নয়নের পাশাপাশি আর্থিক সমৃদ্ধি পাবেন বীরভূমের মানুষ।

আরও পড়ুন-সুযোগ নষ্ট, ড্র ডায়মন্ড হারবারের

বীরভূমের উন্নয়নে প্রথম কীভাবে কাজ করেছেন?
রামপুরহাট প্রথম জিতে ছ–ফুকো রেল প্রকল্প দিদির জন্যই সম্ভব হয়েছে। তাঁর সহযোগিতায় এই রেলপ্রকল্প হয়েছে। তারপর রাজনৈতিক জীবনে পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি।
সিনেমা জগতের গ্ল্যামার মানুষের কাছে পৌঁ​ছতে বাড়তি সুযোগ করে দিয়েছে৷

Latest article