আশঙ্কাই সত্যি হল। সোমবার বাজার খুলতেই বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত তেলের (fuel price) দাম ২ শতাংশের বেশি বাড়ল। একদিকে বিশ্বের অন্যতম তেল ভান্ডারে মার্কিন আঘাত। পাল্টা গুরুত্বপূর্ণ তেল পরিবহনের প্রণালী বন্ধ করে দেওয়া নিয়ে ইরানের হুঁশিয়ারি। তার প্রভাব সোমবারই স্পষ্ট তেলের বাজারে। অস্থির এশিয়া এমনকী ইউরোপের শেয়ার মার্কেটও।
সোমবার বাজার খুলতেই দেখা যায়, আমেরিকার মূল তেল (fuel price) বিপণন সংস্থা ব্রেন্ট এবং ডব্লিউটিআই উভয়েই জানুয়ারি থেকে এখনো পর্যন্ত সর্বোচ্চ ধার্য করেছে তেলের দাম। সেক্ষেত্রে ব্রেন্ট বাড়িয়েছে ২.২% এবং ডব্লুটিআই-এর বৃদ্ধি হার ২.১%। বিশেষজ্ঞদের অনুমান, কতটা দীর্ঘস্থায়ী হবে পশ্চিম এশিয়ার অশান্ত পরিস্থিতি, সেই অনিশ্চয়তা থেকেই প্রাথমিকভাবে এই বৃদ্ধি।
আরও পড়ুন-আমেরিকার নাগরিকদের জন্য জারি ভ্রমণের নতুন নির্দেশিকা
ইরানের তিন পরমাণু কেন্দ্রে মার্কিন আঘাতের পর ইরানের তরফ থেকেও হরমুজ প্রণালী বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত এক রকম পাকা হয়ে গিয়েছে। বিশ্বের নবম তেল উৎপাদনকারী দেশ ইরান, যারা প্রতিদিন ৩.৩ মিলিয়ন ব্যারেল তেল উৎপাদন করে। যুদ্ধ বিধ্বস্ত ইরান একদিকে তেল সরবরাহে অক্ষম হবে। অন্যদিকে তারা হরমুজ প্রণালী বন্ধ করার সিদ্ধান্ত পাকা করলে মধ্যপ্রাচ্য থেকে বিশ্বে তেল সরবরাহ বাধার মুখে পড়বে।
ইজরাইল-ইরান যুদ্ধের পরিস্থিতিতে তেলের দাম বৃদ্ধি নিয়ে সতর্ক করেছিল বিশ্বের বড় ব্যাংকগুলি। তার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ ছিল গোল্ডম্যান স্যাচ। গুরুত্বপূর্ণ জলপথ হরমুজ প্রণালী বন্ধ হলে এবং তা যদি একমাসও বন্ধ থাকে তবে ১০ শতাংশ পর্যন্ত তেলের দাম বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করেছিল গোল্ডম্যান। তবে ছয়মাস ইরান থেকে তেল পরিবহন বন্ধ থাকলে ফের তেলের দাম কমারও ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। সেক্ষেত্রে মার্কিন তৈল পরিষদক সংস্থাগুলি সেই বাজার দখল করার ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে।
শেয়ার বাজারেও পতন দেখা দিচ্ছে। নাসডাক ফিউচারস-এর সূচক পড়েছে ০.৭ শতাংশ পড়েছে। বাজার খুলতেই এশিয়ার মার্কেটে একাধিক সংস্থার শেয়ারের দাম পড়েছে। সূচকও নিম্নগামী। জাপানের টোকিওর নিককেই ইনডেক্স ০.৬ শতাংশ পড়েছে। সিওল পড়েছে ১.৪ শতাংশ। ভারতের শেয়ার বাজারেও পতন শুরু হয়েছে। আজ, সোমবার ‘রেড জোনে’ খোলে শেয়ার বাজার। সেনসেক্স পড়েছে ৭৫১ পয়েন্ট। ২২৩ পয়েন্ট পড়েছে নিফটিও। যুদ্ধের আবহে শেয়ার বাজারের পতন হলে ব্যাপক ক্ষতি হবে সাধারণ মানুষেরই।