উৎসবের বাকি একমাস, তুঙ্গে কুমোরটুলির প্রস্তুতি

তাই এখন দম ফেলারও ফুরসত নেই কুমোরটুলির শিল্পীদের। প্রতিমাশিল্পী থেকে শুরু করে ডাকের সাজ, শোলার সাজ কিংবা গয়নাশিল্পী; সকলেরই ব্যস্ততা তুঙ্গে।

Must read

প্রতিবেদন : আসছে উৎসবের মরশুম। আর একমাস পরই দুর্গোৎসবে মাতবে কলকাতা-সহ সারা বাংলা। আলোর রোশনাইয়ে সাজবে গোটা রাজ্য। তাই এখন দম ফেলারও ফুরসত নেই কুমোরটুলির শিল্পীদের। প্রতিমাশিল্পী থেকে শুরু করে ডাকের সাজ, শোলার সাজ কিংবা গয়নাশিল্পী; সকলেরই ব্যস্ততা তুঙ্গে। ইতিমধ্যেই কলকাতা ও রাজ্য পুলিশের আওতাধীন পুজো কমিটিগুলির সঙ্গে পুজোর বৈঠক সেরেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সরকারের তরফে উদ্যোক্তাদের জন্য ১ লক্ষ ১০ হাজারের অনুদান ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তার সঙ্গে রয়েছে বিদ্যুতে ৮৫ শতাংশ ছাড়। এর জেরে এবার রাজ্যে আরও বাড়তে চলেছে দুর্গোৎসবের বাজার। কুমোরটুলির মৃৎশিল্প সাধন পালের কথায়, আগেরবারের চেয়েও প্রতিমার বায়না এবারে বেশি। জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে, কর্মচারীদের মজুরিও বেড়েছে। কিন্তু প্রতিমার অর্ডার বৃদ্ধি পাওয়ায় পুষিয়ে যায়। আবার গয়নাশিল্পী বাবু পালের মতে, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পুজো কমিটিগুলির জন্য সরকারি অনুদান চালু করায় নতুন পুজোর সংখ্যাও বেড়েছে। আমাদের মতো শিল্পীদের পসারও ব্যাপকহারে বেড়েছে।

আরও পড়ুন-নবান্নে ‘ডিজিটাল কন্ট্রোল রুম’, পুলিশের নজরদারি ২৪x৭

কার্যত ২০১১ সালে তৃণমূল কংগ্রেসের সরকার গঠনের পর থেকেই বাংলার দুর্গোৎসব বিশ্বমঞ্চে সমাদৃত হয়েছে। দুর্গাপুজোর ৮০-৯০ হাজার কোটি টাকার বাজারের উপর দাঁড়িয়ে বিরাট অর্থনৈতিক পরিকাঠামো। কুমোরটুলির শিল্পীদের পাশাপাশি শহরের বিভিন্ন পুজো উদ্যোক্তারাও তা একবাক্যে স্বীকার করছেন। ফোরাম ফর দুর্গোৎসব-এর চেয়ারম্যান পার্থ ঘোষ যেমন জানাচ্ছেন, ধর্মের চেয়ে এখন দুর্গাপুজোয় ব্যবসাটাই আসল। প্রান্তিক মানুষের প্রায় সারা বছরের রুজি-রোজগারের পাশাপাশি পুজোর এই হাজার হাজার কোটির ব্যবসায় উপকৃত হয় ছোট-বড় সমস্ত ব্যবসায়ী। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগেই আজকে বাংলার দুর্গাপুজোর এই বিরাট ব্যাপ্তি।

Latest article