প্রতিবেদন: একাধিক দামি সামগ্রীর ক্ষেত্রে জিএসটি বৃদ্ধির সুপারিশ করা হয়েছিল। এক্ষেত্রে ১৫০০০ টাকার উপরে যে জুতোর দাম রয়েছে সেখানে জিএসটি বাড়িয়ে ১৮ শতাংশ থেকে ২৮ শতাংশ করার সুপারিশ করা হয়েছিল। ২৫,০০০ টাকার উপরে যে ঘড়ির দাম সেখানেও জিএসটি বৃদ্ধির সুপারিশ করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন-ট্রেনের ধাক্কায় নিহত কর্মরত গ্যাংম্যান, বিক্ষোভ রেলকর্মীদের
তৃণমূল কংগ্রেস-সহ বিরোধীদের দাবির চাপে জীবনবিমা পলিসির উপর জিএসটিতে বড়সড় ছাড় ঘোষণা করতে বাধ্য হয়েছে কেন্দ্র। প্রবীণদের জন্য স্বাস্থ্যবিমার প্রিমিয়ামে পুরোপুরি জিএসটি ছাড় মিলবে। পাশাপাশি জীবনবিমার টার্ম পলিসি থেকেও উঠতে চলেছে জিএসটি।
শনিবার জিএসটি কাউন্সিল গঠিত মন্ত্রী পরিষদের বৈঠকে একাধিক পণ্যে জিএসটির হার বদলের সিদ্ধান্ত হয়েছে। পাশাপাশি জিএসটির হার বাড়ানো হচ্ছে কয়েকটি বিলাসবহুল পণ্যের উপর। সূত্রের খবর, সেখানে ২৫ হাজারের বেশি মূল্যের হাতঘড়ির করের পরিমাণ বাড়িয়ে ২৮ শতাংশ করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। আপাতত ২৫ হাজারের বেশি মূল্যের ঘড়িতে ১৮ শতাংশ কর নেওয়া হয়। ১৫ হাজার টাকার বেশি দামি জুতোতেও একই হারে জিএসটি বাড়ানো হবে।
আরও পড়ুন-গরিব মানুষই মূলত দেশের করদাতা, ধনীরা দেয় মাত্র ৩ শতাংশ, সমীক্ষা রিপোর্টে দাবি
তবে একইসঙ্গে একাধিক নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যে জিএসটি কমানোরও প্রস্তাব দিয়েছে জিএসটি কাউন্সিল গঠিত মন্ত্রী পরিষদ। প্রস্তাব অনুযায়ী, ২০ লিটার জলের জারের জিএসটি ১৮ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করার প্রস্তাব রয়েছে। আবার ১০ হাজার টাকার কমদামি বাইসাইকেলের জিএসটিও ১২ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হবে। সরকার পরিবেশবান্ধব এই বাহনের বিক্রিতে উৎসাহ বাড়াতে চাইছে। জীবনবিমার উপর জিএসটিতে ছাড় দেওয়ায় কেন্দ্রের কোষাগারে চাপ পড়তে পারে। বছরের মাঝপথে সেটা হলে রাজস্ব ঘাটতির পরিমাণ বাড়তে পারে। সেই ঘাটতি মেটাতেই এবার বিলাসবহুল জুতো এবং ঘড়িতে কর বাড়ানোর সিদ্ধান্ত।