অরুণাচল প্রদেশের সড়ক সুড়ঙ্গে থাকবে ক্ষেপণাস্ত্র মজুতের ব্যবস্থা

Must read

প্রতিবেদন : সীমান্ত এলাকায় দেশের সুরক্ষা সুনিশ্চিত করতে বিশেষ প্রস্তুতি নিচ্ছে কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, জরুরি পরিস্থিতিতে দ্রুত ব্যবহারের জন্য প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা (এলএসি) সংলগ্ন এলাকায় নির্মীয়মাণ সড়ক-সুড়ঙ্গগুলিকে ক্ষেপণাস্ত্র এবং গোলাবারুদ (Ammo-Missiles- Arunachal pradesh) মজুত করার কাজে ব্যবহারের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। আগামী দিনে কাশ্মীর, অরুণাচল প্রদেশে সীমান্ত সংলগ্ন এলাকায় যে সব সুড়ঙ্গ তৈরি হবে, সেখানে অস্ত্র ও গোলাবারুদ রাখার বিশেষ পরিকাঠামো গড়া তোলা হবে। এমনকী, মজুত রাখা হবে ক্ষেপণাস্ত্রও। এধরনের বিশেষ সুড়ঙ্গ তৈরির দায়িত্বে থাকবে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের নিয়ন্ত্রণাধীন সংস্থা বর্ডার রোডস অর্গানাইজেশন বা বিআরও। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, চিনের সাম্প্রতিক আগ্রাসনের কথা মাথায় রেখেই এই নতুন পরিকল্পনা।

আরও পড়ুন-বর্ষশেষের মুখে শৈত্যপ্রবাহের দাপট শুরু উত্তর ভারতে

প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের দাবি, যুদ্ধ পরিস্থিতিতে শত্রুপক্ষের বিমান এবং ক্ষেপণাস্ত্রের (Ammo-Missiles- Arunachal pradesh) হামলা থেকে সামরিক সরঞ্জাম রক্ষা করার লক্ষ্যেই এই পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। তাছাড়া হাতের কাছে অস্ত্রশস্ত্র মজুত রাখলে সহজেই শত্রুপক্ষকে উপযুক্ত জবাব দেওয়া যাবে। ২০২৩ সালে অরুণাচল প্রদেশের তাওয়াং এলাকার সেলা, নেচিফুর মতো কয়েকটি নির্মীয়মাণ সুড়ঙ্গ সাধারণের চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে। ওই সুড়ঙ্গগুলিতে এই অত্যাধুনিক ব্যবস্থা থাকবে। উল্লেখ্য, অধিকৃত তিব্বতের রাজধানী লাসার অদূরে ক্ষেপণাস্ত্র এবং গোলাবারুদ মজুতের জন্য বোমা প্রতিরোধী ভূগর্ভস্থ সুড়ঙ্গ বানিয়েছে লাল ফৌজ। লাদাখের ডেমচকের গার গুনসা ঘাঁটিতেও চিন একই ব্যবস্থা করেছে। এবার তারই পাল্টা ব্যবস্থা নিচ্ছে ভারত।

উল্লেখ্য, জরুরি পরিস্থিতিতে চিন ও পাকিস্তানের মোকাবিলা করতে কয়েক বছর আগেই উত্তর ভারতের বিভিন্ন এক্সপ্রেসওয়েতে রানওয়ে গড়া হয়েছে। ওই রানওয়েতে বায়ুসেনার ভারী সামরিক পরিবহণ বিমান সি-১৩০জে সুপার হারকিউলিস, যুদ্ধবিমান সুখোই-৩০ এমকেআই উড়ান একাধিকবার সফল মহড়াও দিয়েছে।

Latest article