সংবাদদাতা, হাওড়া : রাজ্যের পর্যটন মানচিত্রে অন্যতম হাওড়ার গাদিয়াড়া। শহর কলকাতা থেকে ৯০ কিমি দূরে অবস্থিত এই পর্যটন কেন্দ্রে সারাবছরই পর্যটকদের আনাগোনা লেগেই থাকে। বিশেষ করে উইক এন্ডে দু-একদিনের ছুটি কাটাতে নদী তীরবর্তী এই পর্যটন কেন্দ্রে পর্যটকদের ভিড় উপচে পড়ে।
আরও পড়ুন-গঙ্গাতীরে প্রজ্বলিত দীপশিখায় বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠান, মহানগরীর নবতম আকর্ষণ দেব-দীপাবলি
এছাড়াও শীতকালে প্রতিদিনই বহু মানুষ গাদিয়াড়ায় পিকনিক করতেও আসেন। ভাগীরথী, রূপনারায়ণ ও হলদি নদীর সংযোগস্থলে অবস্থিত এই পর্যটন কেন্দ্রকে পর্যটকদের কাছে আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে প্রশাসন। হোমস্টে চালু করা হয়েছে। এছাড়াও পর্যটকদের থাকার জন্য সরকারি হোটেলের পাশাপাশি একাধিক বিভিন্ন দামের বেসরকারি হোটেলও চালু করা হয়েছে। পর্যটকদের স্বাগত জানাতে ঝাঁ চকচকে রাস্তাঘাট বানানো হয়েছে। থাকার পাশাপাশি পর্যটকদের মনের মতো রান্না করা খাবার চেখে দেখারও ব্যবস্থা আছে এখানে। চাইলে নদীর মাছের স্বাদও নিতে পারেন পর্যটকরা।
আরও পড়ুন-অবৈধভাবে বালিপাচার, তৎপর হল প্রশাসন
দক্ষিণ-পূর্ব রেলের হাওড়া-খড়্গপুর শাখার বাগনান স্টেশনে নেমে অথবা মুম্বই রোড (১৬ নম্বর জাতীয় সড়ক) ধরে বাগনান বা উলুবেড়িয়া হয়ে সোজা গাদিয়াড়া পৌঁছনো যায়। এছাড়াও ধর্মতলা কিংবা বারাসত ও বসিরহাট থেকে সরাসারি গাদিয়াড়া যাওয়ার বাসও আছে। গাদিয়াড়া পৌঁছে নদীর বাঁধ বরাবর হেঁটে ঘোরাঘুরি করে সেখানকার নয়নাভিরাম দৃশ্য চাক্ষুষ করার মাঝে নদীর ধারে বসে বিশ্রাম নেওয়ার জায়গাও আছে। এরই সঙ্গে গাদিয়াড়া থেকে লঞ্চে চড়ে দক্ষিণ ২৪ পরগনার নুরপূর বা পূর্ব মেদিনীপুরের গেঁওখালিও ঘুরে আসার ব্যবস্থা রয়েছে। এরই সঙ্গে গাড়িয়াড়াকে পর্যটকদের কাছে আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে নদীর পাড়ে ‘সেলফি জোন’ করা হয়েছে। সৌন্দর্যায়ন করা হয়েছে নদীর পাড়ের।
আরও পড়ুন-যুবভারতীতে এএফসি কাপে সামনে ওড়িশা এফসি, চোটই আজ কাঁটা মোহনবাগানের
এছাড়াও এখানে পর্যটকদের জন্য শৌচালয় পার্ক, ক্যাফেটেরিয়াও চালু করা হচ্ছে। পর্যটকদের আনাগোড়া বেড়ে যাওয়ায় এখানে স্থানীয় অনেকের কর্মসংস্থানও হয়েছে। সব মিলিয়ে গাদিয়াড়াকে পর্যটকদের কাছে আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে প্রশাসন। তাহলে আর দেরি কেন। হাতে যদি দু-একদিনের ছুটি থাকে সপরিবারে ঘুরে আসুন গাদিয়াড়া।