ব্যুরো রিপোর্ট : মহাত্মা গান্ধীর ১৫৩তম জন্মদিনে ব্যারাকপুর গান্ধীঘাটে মহাত্মা গান্ধীর স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করলেন সস্ত্রীক রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর। সংক্ষিপ্ত অনুষ্ঠানে দেশাত্মবোধক গান ও সূত্রযজ্ঞে অংশ নিলেন দুজনে। মহাত্মার জন্মদিনে তাঁর প্রতিকৃতিতে মালা ও ফুল দেওয়ার পর ঝাড়ু হাতে বড়নগর পুরসভার ৯ ও ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে স্বচ্ছ ভারত অভিযানে সামিল হন সাংসদ সৌগত রায়। সঙ্গে ছিলেন স্থানীয় ওয়ার্ড কো-অর্ডিনেটর রামকৃষ্ণ পাল, সরমা পাল। সৌগত রায় বলেন, গান্ধীজি বলতেন পরিচ্ছন্নতা ভগবানের আশীর্বাদ। বরানগর ওয়ার্ড কমিটির উদ্যোগে এই স্বচ্ছ ভারত অভিযানেই গান্ধীজীর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করলাম। বসিরহাটে নিজের কেন্দ্রে গান্ধীমূর্তিতে মালা দিয়ে শ্রদ্ধা জানান সাংসদ অভিনেত্রী নুসরত জাহান। বাঁকুড়া জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সংখ্যালঘু সেলের উদ্যোগে ১২ নং ওয়ার্ডে গান্ধীজয়ন্তী পালন করেন সংগঠনের জেলা সভাপতি সৈয়দ হাবিবুর রহমান, শহর সভাপতি শেখ বান্টি, প্রাক্তন ভাইস চেয়ারম্যান দিলীপ আগরওয়াল, শহর তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি সিন্টু রজক।
আরও পড়ুন-আজ গণনা ঘিরে জঙ্গিপুর সামশেরগঞ্জে আগ্রহ তুঙ্গে
রাজগঞ্জে গান্ধীজয়ন্তীতে বিডিও পঙ্কজ কোনারের উদ্যোগে বিডিও অফিসে হল রক্তদান শিবির। ছিলেন বিধায়ক তথা জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের চেয়ারম্যান খগেশ্বর রায়। জলপাইগুড়ি পুরসভার পক্ষে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হল মহাত্মার জন্মদিন। শিলিগুড়ি পুর কর্পোরেশনের উদ্যোগে হেড পোস্ট অফিসের সামনে গান্ধীমূর্তির পাদদেশে পালিত হয় গান্ধী জন্মজয়ন্তী। কর্পোরেশনের প্রশাসনিক বোর্ডের চেয়ারম্যান গৌতম দেব গান্ধীমূর্তিতে মালা ও পুষ্প অর্পণ করেন।
আরও পড়ুন-কেন্দ্রীয় দল কত জল ছাড়ল, প্লাবন দেখে গিয়েছিল অপরূপা
অন্যদিকে গান্ধীজির জন্মদিনে মুখ পুড়ল বিজেপির। স্বচ্ছ ভারত মিশনের কথা উল্লেখ করে বারাসতের হৃদয়পুরে নেতাজিমূর্তিতে মালা পরিয়ে প্রবল সমালোচনার মুখে পড়লেন বিজেপি নেতা রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রসঙ্গত, মহাত্মা গান্ধীর সঙ্গে লালবাহাদুর শাস্ত্রীর জন্মদিনও ছিল শনিবার। দেশ জুড়ে স্বচ্ছ ভারত মিশন কর্মসূচিতে মূর্তি-সহ বিভিন্ন জায়গা পরিষ্কারের কথা থাকলেও নেতাজির জন্মদিন ছিল না। কিন্তু হৃদয়পুরে সুভাষচন্দ্র বসুর মূর্তিতে মালা পরিয়ে রাজুর দাবি, সব মনীষীর মূর্তিতেই মালা দেবেন তাঁরা। কিন্তু কার্যত বারাসতে একাধিক গান্ধীমূর্তি থাকলেও সেখানে দেখা যায়নি তাঁকে। এমনকি গান্ধীজির ছবিতেও মালা দিতে দেখা যায়নি। তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি অশনি মুখোপাধ্যায় বলেন, গান্ধীজির ঘাতকের উত্তরসূরিরা বাঙালির ভাবাবেগকে আঘাত করছে। বাংলার সংস্কৃতিই বোঝে না ওরা। ফরোয়ার্ড ব্লক নেতা সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়ও বিজেপির সমালোচনা করে বলেন, ওরা এভাবেই গান্ধীজির পাশাপাশি নেতাজি-সহ অন্য মনীষীদের অপমান করছে।