ফের বিতর্কের কেন্দ্রে মোদি সরকার (Central Government)। প্রায় পাঁচ দশক পর নিভল অমর জওয়ান জ্যোতির অগ্নিশিখা। ‘ন্যাশনাল ওয়ার মেমোরিয়াল’ বা ‘জাতীয় যুদ্ধ স্মারক’-এর প্রজ্জ্বলিত শিখার সঙ্গেই বিলীন হল সেই আগুন। ইন্ডিয়া গেটে বসছে নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর গ্রানাইট পাথরের বিশালাকার মূর্তি। মোদি জমানায় হাজারও বদলের সাক্ষী থাকছে ভারতবাসী। এবার প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজের সমাপ্তি অনুষ্ঠান থেকে বাতিল করা হল মহাত্মা গান্ধীর পছন্দের খ্রিস্টান বন্দনা গান ‘অ্যাবাইড উইথ মি’। যা ঘিরে ইতিমধ্যেই বইতে শুরু করেছে নিন্দার ঝড়।
আরও পড়ুন – বঙ্গবিজেপিতে বিদ্রোহ, জয়প্রকাশ মজুমদার ও রীতেশ তিওয়ারিকে শোকজ রাজ্য বিজেপির
সাধারণতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠান শুরু হয় সেনার রণশিঙ্গা বাদকদের ‘ফানফেয়ার বাই বাগলার্স’-এর মাধ্যমে। এরপর ব্যাক পাইপার ও ড্রামস বাদকরা বাজান ‘বীর সৈনিক’গানটি। সাধারণতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে সেন্ট্রাল আর্মড পুলিশ ফোর্স ও আর্মি মিলিটারি ব্যান্ড বাজায় তিনটি দেশাত্মবোধক গানের সুর। অন্যদিকে চারটি সুর বাজিয়ে থাকে বায়ুসেনা ও নৌসেনার ব্যান্ড বাদকরা। এদিক শুক্রবারই অমর জওয়ান জ্যোতির অনির্বাণ শিখা নিকটস্থ ‘ন্যাশনাল ওয়ার মেমোরিয়াল’ বা ‘জাতীয় যুদ্ধ স্মারক’-এর প্রজ্বলিত অগ্নিশিখার সঙ্গে মিশিয়া দেওয়া হয়েছে। যার পর শুরু হয়েছে বিতর্ক।
অনির্বাণ শিখা নিভিয়ে দেওয়া নিয়ে কেন্দ্র (Central Government) যুক্তি দিয়েছে, দু’টি সৌধ রক্ষণাবেক্ষণে ক্রমে জটিলতা দেখা দিচ্ছিল। তাই খরচ ও লোকবল সংরক্ষণের জন্যই এহেন পদক্ষেপ নিয়েছে কেন্দ্র। যদিও অমর জওয়ান জ্যোতি নিভিয়ে দেওয়ার ঘটনার প্রতিবাদ করেছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। তিনি বলেন, “কিছু মানুষ কিছুতেই দেশপ্রেম ও দেশের জন্য বলিদান দেওয়ার বিষয়টা বুঝতে পারেন না। ঠিক আছে, আমরা আবার বীর সেনার স্মৃতিতে অমর জওয়ান জ্যোতি প্রজ্জলিত করব।”