ন্যক্কারজনক ঘটনা গেরুয়া রাজ্যে। অসমের গুয়াহাটির (Guwahati) বোরাগাওঁ এলাকায় নভেম্বর মাসে রাস মহোৎসব চলছিল। উৎসব চলাকালীন দুর্গামন্দিরের ভিতরে এক কিশোরীকে গণধর্ষণ করা হয়। সূত্রের খবর, ন’জন এই ঘৃণ্য কাজের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ঘটনার প্রায় তিন সপ্তাহ পরে একটি ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হয়। তার ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। আট জনকে গ্রেফতার করলেও এক অভিযুক্তকে পুলিশ খুঁজে পায়নি। সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া ভিডিয়ো দেখে বিজেপির পুলিশ মাঠে নামলেও প্রকাশ পেয়েছে ব্যর্থতা। বহু ঘন্টা কেটে যাওয়ার পরেও কিশোরীর খোঁজ পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন-শিক্ষাব্যবস্থার মুকুটে আরও এক পালক! NAAC-এর সেরা তকমা রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়কে, গর্বিত মুখ্যমন্ত্রী
গত ১৭ নভেম্বর বোরাগাওঁয়ের রাস উৎসবে দুর্গামন্দিরে যান সেই কিশোরী। সেই সময় তাঁকে গণধর্ষণ করা হয়। অভিযুক্তদের প্রত্যেকের বয়স আনুমানিক ১৮ থেকে ২৩ বছরের মধ্যে। ধর্ষণ করেই ক্ষান্ত হন নি তারা। গণধর্ষণের ভিডিয়ো রেকর্ড করেন। এরপর সেটা ছড়িয়ে দেওয়া হয় একাধিক সমাজমাধ্যমে। তবে ধর্ষিতা কিশোরীর খোঁজ এখনও পাওয়া যায়নি। এক অভিযুক্ত এখনও পলাতক। তাঁর খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।
আরও পড়ুন-সিআইডি-পুলিশ-সিবিআই খারাপ, আদালতকেও অবিশ্বাস: বিচারের নামে ধান্দাবাজরা আবার নেমে পড়ল ময়দানে
পুলিশ সূত্রে খবর, শুক্রবার রাত আড়াইটে নাগাদ গোরচুক থানার ওসি ধর্মেন্দ্র কালিতার মোবাইলে ভাইরাল একটি ভিডিয়োটি আসে। এরপর তদন্ত শুরু করা হয়। প্রথমে যে তিন জনকে আটক করা হয়েছিল, তাঁরাই বাকিদের নাম জানায়। দেখা গিয়েছে ঘটনার সময়ে অভিযুক্তেরা সকলে মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন। এরপরেই অসমে বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন বিরোধীরা। বাংলায় শাসকদল এই নিন্দনীয় ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছে। মহিলাদের বিরুদ্ধে অপরাধের তালিকায় গত পাঁচ বছর ধরে টানা এক নম্বরে রয়েছে অসম। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নিজেও স্বীকার করেছেন সেই কথা। তিনি নিজেও জানেন তাঁর রাজ্যে মহিলারা একেবারেই নিরাপদ নয়।