প্রতিবেদন : কথা রাখলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বহু বছরের কেন্দ্রীয় বঞ্চনার পর এবার ‘ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান’ (Ghatal Master Plan) ও ‘গঙ্গাসাগর সেতু’ বাস্তবায়িত হতে চলেছে সম্পূর্ণ রাজ্য সরকারের খরচে। একদিকে, প্রথম কিস্তিতে ‘ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান’-এর জন্য রাজ্য বাজেটে বরাদ্দ করা হল ৫০০ কোটি টাকা। অন্যদিকে, মুড়িগঙ্গার উপরে গঙ্গাসাগর সেতু তৈরিতে বাজেটে বরাদ্দ হল আরও ৫০০ কোটি টাকা। বাকিটা পরবর্তী অর্থবর্ষের বাজেটে বরাদ্দ করা হবে। দুই প্রকল্পেই কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে বহু বছর ধরে আবেদন করা হলেও কেন্দ্র একপয়সাও দেয়নি। তাই এবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে রাজ্য সরকারই এই দুই প্রকল্পের রূপায়ণের চ্যালেঞ্জ নিয়েছে। বিশেষভাবে নদী পরিবেষ্টিত ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল বরাবরই বন্যা-পরিস্থিতির শিকার হয়। প্রতিবছর বর্ষার বৃষ্টি ও রাজ্যকে না জানিয়েই ডিভিসির ছাড়া জলে প্লাবিত হয় ঘাটাল। সমস্যার সমাধানে বহু বছর আগেই ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান তৈরি করে ফ্লাড ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড বর্ডার এরিয়া প্রোগ্রামের অধীনে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে পেশ করেছে রাজ্য। কিন্তু বছরের পর বছর কেটে গেলেও কেন্দ্রের তরফে কোনও সাড়া নেই। তাই এবার রাজ্য সরকারের টাকাতেই রূপায়িত হতে চলেছে ‘ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান’ (Ghatal Master Plan)। গোটা প্রকল্পের জন্য খরচ হবে মোট ১৫০০ কোটি টাকা। আগামী ২ বছরের মধ্যেই শেষ হবে এই কাজ।
আরও পড়ুন- রাজ্য বাজেট ২০২৫-২৬: আরও ১৬ লক্ষ পরিবার পাবে বাংলার বাড়ি
অন্যদিকে, গত অর্থবর্ষের বাজেটেই গঙ্গাসাগর সেতুর ঘোষণা করেছিল রাজ্য সরকার। এই প্রকল্পেও কেন্দ্রের কাছে দীর্ঘদিন ধরে আবেদন করেও বঞ্চনা ছাড়া আর কিছুই মেলেনি। তাই রাজ্য সরকারই গঙ্গাসাগরে যাওয়ার পথ আরও সুগম করতে উদ্যোগী হয়েছে। গত বাজেটেই মুড়িগঙ্গার উপর ৪.৭৫ কিলোমিটার দীর্ঘ ৪ লেনবিশিষ্ট গঙ্গাসাগর সেতুর নির্মাণে ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল। চলতি অর্থবর্ষের বাজেটে অতিরিক্ত ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দের ঘোষণা করেছেন রাজ্যের অর্থ প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। ইতিমধ্যেই এই প্রকল্পে ডিপিআর সম্পূর্ণ হয়েছে এবং টেন্ডার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।