সুস্মিতা মণ্ডল, সাগর : সাগরদ্বীপের মন ভালো নেই। কালী পুজার রাতেই দুঃসংবাদ পাওয়ার পর থেকে চলছে স্মৃতিচারণা। ২০১১ থেকে ২০২১। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে টানা দশ বছর গঙ্গাসাগর মেলার পরিচালনার মূল দায়িত্বে ছিলেন মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়। পরিবর্তন হয়েছে তাঁর দফতরের। কিন্তু দায়িত্বের বদল হয়নি। সাগরমেলার পরতে পরতে জড়িয়ে তাঁর কর্মকাণ্ড।
আরও পড়ুন-বামেদের কাছ থেকেও আদায় করেছেন সন্মান
গঙ্গাসাগর মেলার পাশাপাশি সাগরদ্বীপের উন্নয়নের দিকে তিনি নজর দিয়েছিলেন। স্থানীয় গঙ্গাসাগর গ্রাম পঞ্চায়েতে ২০১৮ সালে শিশুদিবস উদযাপনের পাশাপাশি পঞ্চায়েতের বেশ কয়েকটি রাস্তার উদ্বোধন করেছিলেন। গঙ্গাসাগর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান হরিপদ মণ্ডল বলেন, দাদা আর আমাদের মধ্যে নেই ভাবতেও পারিনা। দাদার কাছে পঞ্চায়েতের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে যত বার ছুটে গেছি কোনদিন আমাকে ফিরিয়ে দেয়নি। প্রায় সব সমস্যাই দাদা দায়িত্ব নিয়ে সমাধান করে দিতেন।
আরও পড়ুন-দিলীপকে এবার “অর্ধশিক্ষিত” বলে তোপ দাগলেন তথাগত
এর পাশাপাশি তিনি সাগরের ধসপাড়া সুমতিনগর ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীন মহেন্দ্রগঞ্জ গ্রামে ভারত সেবাশ্রম সংঘ গ্রামীন বিকাশ কেন্দ্রের ২০১৫ সালের ১২ জানুয়ারি নতুন ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন। ওখানকার মহারাজ পছন্দের খেজুরের গুড় সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের হাতে তুলে দিয়েছিলেন। আর কয়েক মাস পর গঙ্গাসাগর মেলা। উনি থাকবেন না ভাবতেই পাচ্ছেন না সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিম হাজরা।
আরও পড়ুন-আজ যেতে হবে, ফিরব মমতার দলেই
তিনি বলেন, সদা হাস্যময় মানুষটিকে কেউ ভুলতে পারবে না। জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরের মন্ত্রী থাকাকালীন গঙ্গাসাগর মেলা মাঠের বিভিন্ন মাটির রাস্তা থেকে শুরু করে ফুলের বাগান নিজের হাতে সুন্দর করে সাজিয়েছিলেন। সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে কন্ঠরোধ হয়ে আসে তাঁর। এবারের ২০২২ এর গঙ্গাসাগর মেলায় সুব্রতদার জায়গায় হয়তো অন্য কেউ দায়িত্ব নেবেন।
আরও পড়ুন-তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীর বাবাকে অপহরণ, সন্ত্রাসের অভিযোগ বিজেপির বিরুদ্ধে
এমন হৃদয়বান মানুষকে বোধ হয় আর কোনদিন আমরা পাব না। গঙ্গাসাগর মেলা প্রাঙ্গণে তাকে চির স্মরণীয় করে রাখতে তাঁর আবক্ষ মূর্তি বসানো হবে। অনুমতি পেলেই এবছরের গঙ্গাসাগর মেলাতে ওনার আবক্ষ মূর্তি স্থাপন করব।