অসমে ছাত্রীকে গণধর্ষণ, পুলিশ হেফাজতে অভিযুক্তের রহস্যমৃত্যু 

এবার বিচার চাইবেন না!

Must read

প্রতিবেদন : অসমে ছাত্রীকে গণধর্ষণে মূল অভিযুক্তের রহস্যমৃত্যু হল পুলিশি হেফাজতেই। পুকুর থেকে তার মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পুলিশ হেফাজতে থাকা ধর্ষণের মতো গুরুতর অপরাধের আসামি কীভাবে পুলিশের হাত থেকে পালিয়ে যায়, এরপর আচমকা জলে ডুবে তার মৃত্যু হয়! গোটা ঘটনাই রহস্যে মোড়া। প্রশ্ন উঠেছে, কাদের বাঁচাতে মরতে হল ওই অভিযুক্তকে? কলকাতায় আরজি করে ধর্ষণের শিকার ডাক্তারি পড়ুয়ার বিচারের দাবিতে যেখানে মূল অভিযুক্ত গ্রেফতার হওয়ার পরেও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ নিয়ে রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরির চেষ্টা চালাচ্ছে বিরোধীরা, সেখানে পুলিশি নিষ্ক্রিয়তায় কেন অসমের মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করা হবে না, প্রশ্ন তুলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। বড় মাথাদের আড়াল করতেই কি মরতে হল মূল অভিযুক্তকে? এই গোটা ঘটনার পিছনে কারা জড়িত তাদের খুঁজে বের করে অবিলম্বে শাস্তির দাবিতে উত্তাল হয়েছে অসম। এই ঘটনায় চুপ কেন বিজেপির মাতব্বররা। নওদায় নাবালিকার গণধর্ষণের ঘটনায় অসমে সাধারণ মানুষের প্রতিবাদ মাথাচাড়া দিতেই এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করে অসম প্রশাসন। রহস্যজনকভাবে শুক্রবার মধ্যরাতে ৩.৩০ নাগাদ অভিযুক্ত তাফাজুল ইসলামকে ঘটনার পুনর্নির্মাণের জন্য নিয়ে যায় ঘটনাস্থলে। সেখানে পুলিশের হাত ছাড়িয়ে পুকুরে ঝাঁপ দেয় অভিযুক্ত। সেখানে হাতে হাতকড়া থাকায় সাঁতার না কাটতে পেরে ডুবে মৃত্যু হয় তার, দাবি পুলিশের। মধ্যরাতে পুনর্নির্মাণের জন্য ঘটনাস্থলে নিয়ে যাওয়া অভিযুক্তের মৃত্যু কীভাবে হয় এই প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিতে পারছে না পুলিশ। ওপরের মাথাদের পরিচয় গোপনের জন্যই এই মৃত্যু, অভিযোগ তৃণমূলের। প্রাক্তন সাংসদ কুণাল ঘোষের দাবি, দুষ্কৃতীদের রাজনৈতিক মদতের অভিযোগ। একজন গ্রেফতার। তারপর তাকে পুলিশ ঘটনাস্থলে তদন্তে নিয়ে যাওয়ার সময় পুকুরে পড়ে তার মৃত্যু। অভিযোগ, বাকি নাম আর ওপরের মাথাদের পরিচয় গোপন রাখার অপারেশন। সেই সঙ্গে কুণাল আশঙ্কা প্রকাশ করেন, সব অভিযোগের তদন্ত, ন্যায়বিচার হবে তো? নাকি পুলিশ হেফাজতে মৃত্যুতেই শেষ? আরজি করের ঘটনায় বিচার চেয়ে রাজনৈতিক বিক্ষোভের প্রসঙ্গ তুলে অসমের মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন কুণাল। তাঁর কথায়, সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি লেখেন, ছাত্রীকে গণধর্ষণ। অভিযুক্তের পুলিশ হেফাজতে রহস্যমৃত্যু। বাকি নাম ধামাচাপার চেষ্টা? তদন্ত হবে না? অসমের রাত দখল, অসমের জন্য কলকাতায় রাত দখল, প্রবাসী অসমবাসীর বিক্ষোভ, অসমের বিজেপি মুখ্যমন্ত্রীর ইস্তফা দাবি, হবে না? আরজি করের বিচার আমরাও চাই। কিন্তু সর্বত্র এক প্রতিবাদ হবে না কেন?

আরও পড়ুন- লাগাতার বৃষ্টি, পুনেতে ৪ জনকে নিয়ে ভেঙে পড়ল হেলিকপ্টার

Latest article