প্রতিবেদন : গড়িয়াহাটের কাঁকুলিয়া রোডের জোড়া খুনের তদন্তে নেমে বুধবার সকালে দু’জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ৷ ধৃত দু’জনের মধ্যে একজন মহিলা। দ্বিতীয় ব্যক্তি তারই পরিবারের সদস্য বলেই জানা গিয়েছে। তাদের নাম মিঠু হালদার এবং সুভাষ হালদার৷ তাদের ডায়মন্ড হারবার থেকে গ্রেফতার করা হয় বলে পুলিশ সুত্রে জানা গিয়েছে। ধৃত মহিলা মৃত সুবীর চাকীর কাঁকুলিয়া রোডের বাড়িতে অতীতে পরিচারিকার কাজ করত বলে জানা গিয়েছে। তার সঙ্গেই একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এদিন ডায়মন্ড হারবারের কপাটহাট এলাকা থেকে তাদের ধরা হয়। ধরার পর তাদের দু’জনকে স্থানীয় ডায়মন্ড হারবার থানাতেই প্রাথমিক ভাবে জেরা করা হয়।
আরও পড়ুন : আবহাওয়ায় উন্নতির সম্ভাবনা
সেই সঙ্গে তাদের পরিবারের আরও কয়েকজনকেও জেরা করে পুলিশ। তবে জোড়া খুনের সঙ্গে ধৃত ওই মহিলার কী যোগ আছে তা বিশদে জানা যায়নি। গত রবিবার গড়িয়াহাটের কাঁকুলিয়া রোডে নিজের বাড়িতেই খুন হন কর্পোরেট-কর্তা সুবীর চাকী এবং তাঁর গাড়ির চালক রবিন মণ্ডল৷ তদন্তে নামে কলকাতা পুলিশের হোমিসাইড শাখা৷ ডায়মন্ড হারবার থেকে দু’জনকে ধরার পাশাপাশি এদিন দুপুরে হোমিসাইড শাখার তদন্তকারীরা মোমিনপুরে গাড়িচালক রবীন মণ্ডলের বাড়িতেও যান। সেখানে মৃতের পরিবারের সঙ্গে তারা কথা বলেন। কথা বলেন, পাড়া প্রতিবেশীদের সঙ্গেও। পুলিশের অনুমান, খুনের পিছনে পরিচিত কেউ জড়িত৷ কাঁকুলিয়ায় জোড়া খুনের তদন্তে মঙ্গলবার ঘটনাস্থলে পুলিশকুকুর নিয়ে যান তদন্তকারীরা৷ বাড়ি থেকে বেরিয়ে বালিগঞ্জ স্টেশনে চলে গিয়েছিল পুলিশকুকুর৷ তার থেকেই গোয়েন্দাদের ধারণা, সম্ভবত ট্রেনে করেই ফিরে গিয়েছে আততায়ীরা৷ সেই সূত্রেই এ দিন ডায়মন্ড হারবারে পৌঁছয় গড়িয়াহাট থানার পুলিশ এবং তদন্তকারীরা৷