সংবাদদাতা, শিলিগুড়ি ও কলকাতা : সিকিমের (Sikkim Avalanche) নাথু-লা পাস এবং সংমো লেক অ়ঞ্চলে বেড়াতে গিয়ে তুষারধসে মৃত্যু হয় সাতজনের। তার মধ্যে দুজন এই রাজ্যের। একজন শিলিগুড়ির ও একজন কলকাতার। বেশ কিছুদিন ধরেই ছাঙ্গুতে ব্যাপক তুষারপাত হচ্ছে। তাই সিকিম সরকার সেখানে পর্যটকদের যাওয়ায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। মঙ্গলবার শিলিগুড়ির সৌরভ রায়চৌধুরি (২৮), কলকাতার প্রীতম মাইতিরা (৩৮) সেখানে গিয়ে তুষারধসে (Sikkim Avalanche) চাপা পড়েন। উনিশ মাইল এলাকায় পর্যটকদের যাওয়ায় নিষেধাজ্ঞা ছিল। ১৩ মাইল এলাকা পর্যন্ত যাওয়ার অনুমতি ছিল। কিন্তু গাড়িচালককে ম্যানেজ করে ১৫ মাইল পর্যন্ত যান সৌরভরা। সেখানে এক ঝরনায় ১৯ মাইল থেকে বরফগলা জল নামে। তা দেখতেই ওঁরা ওপরে গিয়েছিলেন। হঠাৎ ঝরনার জলের সঙ্গে তুষারধস নামে। তাতেই চাপা পড়েন বহু পর্যটক। যার মধ্যে ছিলেন শিলিগুড়ি শক্তিগড়ের সৌরভ। বাবা-মায়ের একমাত্র ছেলে। ছেলের মৃত্যুর ঘটনায় ভেঙে পড়েছেন দুজনেই। সৌরভের দুই বন্ধু গুরুতর আহত। বুধবার সকাল থেকে দীর্ঘক্ষণ ধস সরিয়ে খোঁজার পরেও আর দেহ মেলেনি। এদিন সিকিম প্রশাসন উত্তর ও পূর্ব সিকিমে পর্যটকদের প্রবেশ বন্ধ করে দিয়েছে। খবর পেয়েই মৃত সৌরভের বাড়িতে যান শিলিগুড়ির মহানাগরিক গৌতম দেব। পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন। সৌরভের দেহ ফিরিয়ে আনতে কাকা ও মামা সিকিম গিয়েছেন। প্রীতমের বাড়ি পূর্ব মেদিনীপুরের রামনগরে। কাজের সূত্রে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে কলকাতার মানিকতলায় ফ্ল্যাটে থাকতেন। বিদ্যুৎ দফতরের চুক্তিভিত্তিক এক বেসরকারি সংস্থার কর্মী। সহকর্মীদের সঙ্গেই বেড়াতে গিয়েছিেলন। ওঁর চিকিৎসক-বোন দুঃসংবাদটি জানলেও এখনও বাবা-মাকে জানাননি। দাবি, বাবা-মা এই আঘাত সহ্য করতে পারবেন না। বোনই লুকিয়ে দেহ আনার ব্যবস্থা করছেন। এই ঘটনায় মুখমন্ত্রী গভীর শোকপ্রকাশ করেছেন।