প্রতিবেদন : সাজানো গোছানো ট্রাকের গায়ে এখনও জ্বলজ্বল করছে আইসক্রিম হাতে হাস্যোজ্জ্বল শিশুমুখের ছবি। সুদিনে দোকানে দোকানে আইসক্রিম পৌঁছে দিত প্যালেস্টাইনের এই আইসক্রিম ট্রাকগুলি। এখন সেগুলিই চলমান হিমঘর। যুদ্ধের জাঁতাকলে প্রতি দিন শ’য়ে শ’য়ে মানুষ মারা যাচ্ছেন গাজায় (Gaza)। হাসপাতালের মর্গে ঠাঁই নেই। তাই বিকল্প ব্যবস্থা হিসাবে আইসক্রিম ট্রাকগুলিকেই বানানো হয়েছে চলমান মর্গ।
প্যালেস্তিনীয় সশস্ত্র বাহিনী হামাসের সঙ্গে ইজরায়েলের যুদ্ধ শুরু হয়েছে গত ৭ অক্টোবর থেকে। হামাসকে কাবু করতে তাদের দখলে থাকা গাজায় পর পর হামলা চালাচ্ছে ইজরায়েলের সেনা। যার জেরে ইতিমধ্যেই মৃত্যু হয়েছে ২৬০০ প্যালেস্তিনীয়ের। জখম হয়েছেন সাড়ে সাত হাজারেরও বেশি মানুষ। এই পরিস্থিতিতে গাজার হাসপাতাল এবং কবরখানায় মৃতদেহ রাখার জায়গা না হওয়ায় আইসক্রিমের ট্রাক কিনেছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন- নিঠারিকাণ্ডে ফাঁসির সাজা রদ হল এলাহাবাদ হাইকোর্টে
সেদেশের হাসপাতাল সূত্রে জানানো হয়েছে, হাসপাতালের মর্গে কার্যত জায়গা নেই। বিকল্প ব্যবস্থা করতে আইসক্রিম ফ্যাক্টরি থেকে আইসক্রিমের ট্রাক কেনার ব্যবস্থা করি। ওতে মর্গের থেকে বেশি দেহ রাখার জায়গা রয়েছে। তবে এই অস্থায়ী ব্যবস্থা কতদিন চালিয়ে নিয়ে যাওয়া যাবে তা নিয়ে সন্দিহান চিকিৎসকরাও। তাঁরা বলেছেন, কিছু দেহ তাঁবু খাটিয়ে বরফ দিয়ে রাখা হয়েছে। তার সঙ্গে রয়েছে ওই ট্রাক। তবে এই দিয়েও কত দিন কাজ চলবে তা জানা নেই। ফলে পড়ে থাকতে থাকতে মৃতদেহে পচন ধরতে শুরু করেছে।
একই অবস্থা কবরস্থানেরও। মৃতদের সমাধিস্থ করার জায়গা পাচ্ছে না গাজা (Gaza) প্রশাসন। যে সমাধিক্ষেত্রটি ছিল সেখানে আর একটুও জায়গা নেই। গাজা প্রশাসন এখন গণকবরের প্রস্তুতি নিচ্ছে। ইতিমধ্যেই ১০০ জনকে সমাধিস্থ করার ব্যবস্থা হয়েছে। রাষ্ট্রসংঘের যে সদস্যরা গাজা ভূখণ্ডে কাজ করছেন, তাঁরা পরিস্থিতি সম্পর্কে জানিয়েছেন, এখন গাজার অবস্থা ভয়াবহ।