পুজোয় বাড়ে জিডিপি, উৎসব বদলে দিয়েছে বাংলার অর্থনীতি

Must read

পার্থ ঘোষ,চেয়ারম্যান, ফোরাম ফর দুর্গোৎসব
ধর্মের চেয়েও এখন দুর্গাপুজোর অর্থনৈতিক গুরুত্ব বেশি। গত বিশ বছরে দুর্গাপুজোর (durga puja) ব্যাপ্তি বেড়েছে আকাশছোঁয়া। পুজো মানেই এখন দেশি-বিদেশি কোম্পানির ব্র্যান্ডিং, হাজার হাজার কোটি টাকার ব্যবসা। প্রান্তিক মানুষের জন্যও বিরাট আয়ের সংস্থান। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে অন্য মাত্রা পেয়েছে দুর্গোৎসব। বিশ্বের দরবারে বিশেষ স্থান পেয়েছে বাংলার দুর্গাপুজো। পুজো কমিটিগুলিকে মোটা অঙ্কের অনুদান দেওয়া থেকে বিভিন্ন প্রয়োজনীয় খরচায় ছাড়, সমস্তরকম সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এ-প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীকে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে দুর্গাপুজোর অর্থনৈতিক উত্থান ব্যাখ্যা করলেন শহরের অন্যতম পুজো শিবমন্দির কমিটির সভাপতি তথা ফোরাম ফর দুর্গোৎসব-এর চেয়ারম্যান পার্থ ঘোষ। তাঁর কথায়, ধর্মের চেয়েও এখন দুর্গাপুজোর অর্থনৈতিক গুরুত্ব বেশি। পুজোয় (durga puja) ব্যবসা করে বাঙালিদের থেকেও অবাঙালিরা বেশি রোজগার করছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২০১১ সালের পর প্রচুর সুযোগ-সুবিধা করে দিয়েছেন। একটা সময় প্রশাসনিক চাপের জন্য পুজো করতে ভয় পেতাম। এখন চাপমুক্ত হয়ে পুজোর আয়োজন করি।

আরও পড়ুন-বাঙালি হেনস্থায় ক্ষুব্ধ অমর্ত্য সেন

পার্থবাবুর আরও সংযোজন, প্রায় বিশ বছর আগে ২০০৬ সালে সারা ভারতে দুর্গাপুজোর অর্থনীতি ছিল মাত্র ৩০ হাজার কোটি টাকা। তার মধ্যে বাংলার ভাগ ছিল দশ হাজার কোটি টাকা। আমার পুজোর কথাই যদি ধরি, ২০০৬ সালে বাজেট ছিল সাড়ে ৩ লক্ষ টাকা। ২০২৫ সালে সেই পুজোর বাজেট ৬০ লক্ষ টাকা। স্পষ্টতই, পুজোর অর্থনৈতিক গুরুত্ব বছরের পর বছর বেড়েই চলেছে। ভিনরাজ্যের বড় ব্যবসায়ীরাও এখন বাংলায় আসছেন শুধুমাত্র পুজোয় ব্র্যান্ডিং করার জন্য। ব্র্যান্ডিং থেকেই এখন লক্ষ টাকা ওঠে। বাংলা তথা দেশের বাজারে দুর্গাপুজোর অর্থনৈতিক গুরুত্ব ঠিক কতটা, একবছর পুজো কোনও কারণে বন্ধ হলেই সেটা স্পষ্ট হয়ে যাবে। অর্থনীতি ধাক্কা খাবে।

Latest article