প্রতিবেদন: গেরুয়া শিবিরের সঙ্গে হাত মেলানোর আসল উদ্দেশ্যটা এবারে আরও স্পষ্ট হল। প্রথমে স্বামী, পরে স্ত্রী, দুজনেই ‘দুর্নীতিমুক্ত’ হয়ে গেলেন বিজেপি ওয়াশিং মেশিনে। মহারাষ্ট্রের উপ-মুখ্যমন্ত্রী অজিত পাওয়ারের স্ত্রী সুনেত্রা পাওয়ারকে বুধবার ২৫,০০০ কোটি টাকার এমএসসিবি ব্যাঙ্ক কেলেঙ্কারির মামলায় মহারাষ্ট্র পুলিশের অর্থনৈতিক অপরাধ শাখা ক্লিন চিট দিয়েছে। এই ঘটনায় বিস্মিত রাজনৈতিক মহল এবং আমজনতা। এনসিপির (অজিত পাওয়ার) সুনেত্রা পাওয়ার এবারে মহারাষ্ট্রের বারামতি লোকসভা আসন থেকে তাঁর ননদ এবং শরদ পাওয়ারের মেয়ে সুপ্রিয়া সুলের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন৷ শিবসেনা (উদ্ধব) নেতা আনন্দ দুবে এই ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়ে মন্তব্য করেছেন, প্রধানমন্ত্রী মোদিই একসময় অভিযোগ করেছিলেন, পাওয়ার পরিবারটাই একটি দুর্নীতিগ্রস্ত পরিবার। কিন্তু অদ্ভুত কাণ্ড, আজ তাঁদেরই ক্লিন চিট দেওয়া হয়েছে। এভাবেই বিজেপিতে যোগ দেওয়া সমস্ত অভিযুক্ত নেতানেত্রীদেরই ঢালাও ক্লিন-চিট দেওয়া হচ্ছে। পুলিশের অর্থনৈতিক অপরাধ শাখা ক্লোজার রিপোর্টে বলেছে, তারা এই ক্ষেত্রে কোনও অপরাধমূলক কাজ দেখেনি। এটা কি কখনও সত্যি হতে পারে?
আরও পড়ুন-কর্নাটকে নিজেদের ঘরের লড়াইয়ে বিপর্যস্ত বিজেপি, জলসঙ্কটে জেরবার প্রার্থীরা
এতদিন মনে হয়েছিল শুধুমাত্র মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার লোভেই কাকা শারদ পাওয়ারকে ছেড়ে তাঁর দল ভাঙিয়ে বিজেপির হাত ধরেছিলেন অজিত পাওয়ার। মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার বাসনা পূর্ণ না হলেও উপমুখ্যমন্ত্রী হয়ে দুধের স্বাদ ঘোলে মিটিয়েছেন তিনি। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্নটা এখনও রয়ে গিয়েছে তাঁর। তবে মোদি-শাহের হাত ধরার নেপথ্যের আসল কারণ যে নিজেকে এবং পরিবারকে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ থেকে মুক্ত করা, তা পরিষ্কার হতে থাকে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে। সেই আসল উদ্দেশ্যটাই বেআব্রু হয়ে গেল এবার। কিন্তু একই সঙ্গে এই ক্লিনচিটকে কেন্দ্র করে যে ব্যাপক সমালোচনার ঝড় উঠল, সেটাও লোকসভা নির্বাচনের মুখে গভীর অস্বস্তিতে ফেলে দিল গেরুয়া শিবিরকে।