সংবাদদাতা, বারাকপুর : তীব্র দাবদাহে জেরবার রাজ্যবাসী। বেলা বাড়লেই সূর্যের তাপে টেকাই দায় হয়ে পড়ছে। কিন্তু তার মধ্যেই বাংলার প্রতি কেন্দ্রের বঞ্চনা, ভ্রান্ত কৃষক নীতি, রেলের উদাসীনতা-সহ একাধিক ইস্যুতে প্রচারে একের পর এক অভিনবত্ব দেখাচ্ছে তৃণমূল প্রার্থীরা। উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বনগাঁ ও বারাকপুর দুই কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থীদের প্রচারে তেমনই ভিন্ন ছবি ধরা পড়ল। শনিবার সকালে নৈহাটি স্টেশনে ট্রেন ঢোকার আগে পর্যন্ত স্টেশন চত্বরেই কখনও চায়ের দোকানে চা খেয়ে, আবার কখনও পথচলতিদের সঙ্গে করমর্দন করে জনসংযোগ করেন বারাকপুরের তৃণমূল প্রার্থী মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক। এরপর ১০টা ৪৭ মিনিটের নৈহাটি লোকালে উঠে আচমকা সাধারণ মানুষের মতোই সবার মাঝে বসে পড়েন তিনি। তাঁকে সামনে পেয়ে সাধারণ মানুষও তাঁদের অভাব-অভিযোগের কথা জানান। পার্থর সঙ্গে ছিলেন জগদ্দলের বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম, তৃণমূল ছাত্র পরিষদের রাজ্য সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য-সহ অন্যরা। পার্থ বলেন, সকাল থেকেই পাড়ায় পাড়ায় অলিগলিতে প্রচার করছি। কিন্তু সরকারি চাকরিজীবী মানুষ, স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রী ও নিত্যযাত্রীদের সঙ্গে দেখা করে তাঁদের অভাব-অভিযোগের কথা শুনতেই ট্রেনে উঠে প্রচার চালালাম।
আরও পড়ুন-মুখ ফিরিয়েছে বৃষ্টি, জেলায় জেলায় তাপপ্রবাহের সতর্কতা
অন্যদিকে বনগাঁর প্রার্থী বিশ্বজিৎ দাস কেন্দ্রের কৃষিনীতির প্রতিবাদে কৃষকদের মতো টোকা মাথায় দিয়ে গরুর গাড়ি চড়ে প্রচার সারেন। বারাকপুরের প্রার্থী মন্ত্রী পার্থ ভৌমিকের ট্রেনে চড়ে যাত্রীদের সঙ্গে জনসংযোগের মতোই শনিবার মাথায় টোকা পরে ও গরুর গাড়ি নিয়ে বাগদা কৃষক বাজারে সকাল সকাল অভিনব কায়দায় প্রচার সারেন বিশ্বজিৎ। অভিযোগের সুর চড়ান পেট্রোল-ডিজেল ও সারের দামবৃদ্ধি নিয়ে। কথা বলেন কৃষকদের সঙ্গেও।