তালিবানদের হাতে ক্ষমতা তুলে দিয়ে দেশ ছাড়লেন আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি। সোমবার সকালে ঘানি ওমানের মার্কিন বিমান ঘাঁটিতে পৌঁছেছেন। সেখান থেকেই তিনি আমেরিকায় চলে যাবেন। দেশ ছাড়ার আগে দেশবাসীর উদ্দেশ্যে একটি আবেগপূর্ণ চিঠি পোস্ট করেছেন ঘানি। সেখানে তিনি লিখেছেন, আমরা দীর্ঘ ২০ বছর ধরে তালিবানদের বিরুদ্ধে কঠিন লড়াই চালিয়েছি।
আরও পড়ুন- মুখ্যমন্ত্রীর সৌজন্যে মুগ্ধ শ্রাবন্তী, পোস্ট করলেন জন্মদিনের শুভেচ্ছা বার্তা
দেশকে রক্ষা করতে সব ধরনের চেষ্টা করেছি। কিন্তু, শেষ পর্যন্ত আমরা সফল হতে পারিনি। তালিবানরা আমাকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দিয়েছে। দেশে যাতে আরও বেশি রক্তক্ষয় না হয় সে কারণেই আমি ক্ষমতা হস্তান্তর করেছি। ঘানি আমেরিকায় চলে যাওয়ার ব্যাপারে মনস্থির করলেও তাঁর মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্য ভারতে রাজনৈতিক আশ্রয় খুঁজছেন। ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকজন মন্ত্রী ও সরকারের শীর্ষকর্তা ভারতে চলে এসেছেন বলে সূত্রের খবর।
আফগানিস্তান তালিবানদের হাতে চলে যেতেই তাঁরা ভিসা নিয়ে ভারতে চলে এসেছেন। ভারত ও আফগানিস্তানের সম্পর্ক যথেষ্টই ভাল। সেই সম্পর্কের কারণেই তাঁরা ভারতে রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়েছেন। আফগানদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য সীমান্ত খুলে দিয়েছে পাকিস্তানও। কিন্তু সে দেশে কেউই আশ্রয় নিতে আগ্রহী নয়। এরই মধ্যে কাবুল ছাড়তে ব্যস্ত হয়ে উঠেছেন মানুষ।
আরও পড়ুন- ‘খেলা হবে দিবস’ নিয়ে বাড়ছে উচ্ছাস, টুইট করে সন্তুষ্টি প্রকাশ করলেন কুণাল ঘোষ
তাই কাবুল বিমানবন্দরে উপচে পড়ছে ভিড়। বিপুল ভিড় পাসপোর্ট অফিসেও। একে অপরকে ঠেলে আগে বিমানের টিকিট পাওয়ার চেষ্টায় করছেন মানুষ। কাবুল বিমানবন্দর কার্যত জনসমুদ্রের চেহারা নিয়েছে। দেখা যাচ্ছে, একটি বিমান বিমানবন্দরের মাটি ছুঁতেই হাজার হাজার মানুষ সেখানে ঝাঁপিয়ে পড়ছে। সকলেই আগে বিমানে উঠতে চান। তালিবানরা সেদেশে নৃশংস দমন-পীড়ন চালচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ভারত-সহ পৃথিবীর ৬০টি দেশ এক যৌথ বিবৃতিতে জঙ্গিদের সাধারণ মানুষের প্রতি মানবিক আচরণ করতে অনুরোধ করেছে।