ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান : রূপনারায়ণে এবার হবে জরুরি সংস্কারের কাজ

দীর্ঘদিন পর ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যানের কাজ শুরু হয়েছে। তাতে বন্যার জল পাম্প করে শিলাবতী নদী দিয়ে রূপনারায়ণে ফেলা হবে।

Must read

প্রতিবেদন : দীর্ঘদিন পর ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যানের কাজ শুরু হয়েছে। তাতে বন্যার জল পাম্প করে শিলাবতী নদী দিয়ে রূপনারায়ণে ফেলা হবে। এদিকে দীর্ঘদিন সংস্কার না-হওয়ায় মজে গিয়েছে রূপনারায়ণ। তার বুকে তৈরি হয়েছে একাধিক চর। চরের কারণে বর্ষায় জোয়ার কিংবা ভরা কোটালের সময় রূপনারায়ণের বাঁধ উপচে প্লাবিত হয় বিস্তীর্ণ এলাকা। কোনও কোনও নদী বিশেষজ্ঞের দাবি, রূপনারায়ণ সংস্কার না-করে ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান রূপায়িত হলে পূর্ব মেদিনীপুর ও হাওড়ার বিস্তীর্ণ এলাকায় ভাঙন বাড়ার আশঙ্কা আছে। তাই রূপনারায়ণের সংস্কারের দাবিও ওঠায় এবার ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যানের অংশ হিসাবে রূপনারায়ণের সংস্কারকাজেও উদ্যোগী হল সেচ দফতর।

আরও পড়ুন-রুদ্ধশ্বাস জয়ে ভারতের ব্রোঞ্জ

দাসপুরের গুড়লিতে শিলাবতী থেকে একটি নতুন খাল কেটে চন্দ্রেশ্বর খালের সঙ্গে তাকে যুক্ত করা হবে। চন্দ্রেশ্বর খালটি গোপীগঞ্জে রূপনারায়ণে মিশেছে। ওই খাল দিয়েও শিলাবতীর জল রূপনারায়ণে পড়বে। ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান রূপায়ণে তাই রূপনারায়ণের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। বর্ষায় ঘাটাল-সহ বিস্তীর্ণ এলাকার জল রূপনারায়ণ হয়ে হলদি নদী পেরিয়ে বঙ্গোপসাগরে মেশে। সেচ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, হুগলির বন্দর এলাকা থেকে কোলাঘাটের দেনান পর্যন্ত রূপনারায়ণের সাড়ে ৩৮ কিলোমিটার অংশ ড্রেজিং করা হবে। বন্দর থেকে বাকসি পর্যন্ত ২০ কিলোমিটার ড্রেজিংয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে দফতরের পশ্চিম মেদিনীপুর ডিভিশনকে। আর বাকসি থেকে দেনান পর্যন্ত ড্রেজিং করবে পূর্ব মেদিনীপুর সেচ দফতর। নো কস্ট পদ্ধতিতে চলবে কাজ। অর্থাৎ নদ থেকে বালি তুলে তা বিক্রি করবে ঠিকাদার সংস্থা। বালি বিক্রির টাকার একটা অংশ রাজস্ব হিসেবে আদায় করবে সরকার। রূপনারায়ণ যেহেতু ভারতীয় অন্তর্দেশীয় জলপথ কর্তৃপক্ষের অধীন, তাই এর জন্য তাদের চিঠি পাঠালে ড্রেজিংয়ের ব্যাপারে সবুজ সঙ্কেত পেয়েছে রাজ্য। মেদিনীপুর ডিভিশনের এক সেচকর্তার কথায়, আশা করছি আগামী বর্ষার আগেই কাজ শুরু হয়ে যাবে। পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক ইউনুস রিসিন ইসমাইল বলেন, রূপনারায়ণে ডেজিংয়ের কাজের তদারকি করবে সেচ দফতর। জেলা প্রশাসন যা যা করণীয় করছে।

Latest article