নবনীতা মন্ডল নয়াদিল্লি: পুজো মানেই কাশবনে ঢেউ তুলে মেঘের ভেলা, আগমনীর সুরে খুঁজে পাওয়া হারানো ছেলেবেলা। দুর্গাপুজোয় চারটে দিন বাঙালি মন ঘুরে বেড়ায় ঢাকের আওয়াজ, কাশবন আর শরতের আকাশের মধ্যে। আর সেই ভাবনা থেকেই উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদে দুর্গাপুজোর আয়োজনে উদ্যোক্তারা এবার তুলে এনেছেন এক টুকরো গ্রাম বাংলাকে। গাজিয়াবাদের বৈশালী এলাকায় প্রবাসী বাঙালিদের হাত ধরে শুরু হওয়া পুজো এবার ১৬ বছরে পা রাখল। পেশার তাগিদে বাংলা ছেড়ে বাইরে এলেও পুজোর ওই চারটে দিন বাঙালি মন ছটফট করে নিজের মাটির গন্ধ নেওয়ার জন্য। গাজিয়াবাদের বৈশালি সেক্টর ৩ রচনা পার্কে এবার তাই মাতৃ আরাধনা হচ্ছে সম্পূর্ণ গ্রাম্য পরিবেশে। বাংলা ছেড়ে ভিন রাজ্যে এসে বসবাস করলেও পরবর্তী প্রজন্মকে নিজের মাটির গন্ধ চেনানোর এ যেন এক আন্তরিক প্রয়াস।
আরও পড়ুন-মহাষ্টমীর সন্ধ্যায় এইমসে ভর্তি হলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং
এই থিম তুলে আনতে দীর্ঘদিনের প্রচেষ্টায় পার্কে লাগানো হয়েছে নিম, খেজুর, তাল এবং কলাগাছ। বাঁশ দিয়ে তৈরি হয়েছে ছোট্ট কুঁড়েঘর। মাতৃ আরাধনার এক নৈসর্গিক ছবি ফুটিয়ে তুলতে চেয়েছেন উদ্যোক্তারা। প্রতিমা এসেছে নিউ দিল্লি কালীবাড়ি থেকে। পুজোর অন্যতম উদ্যোক্তা ও কমিটির প্রেসিডেন্ট উত্তম সরকার জানালেন, করোনা বিধিকে মাথায় রেখেই এবারের পুজোর আয়োজন। প্যান্ডেলে ঢোকার মুখে থাকবে মাস্ক, স্যানিটাইজার, থার্মাল গান। পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে কাটছাঁট হয়েছে আয়োজনে, হবে না কোনও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও। পুজো কমিটির সম্পাদক কার্তিক দে জানালেন, উত্তরপ্রদেশ সরকার এবার পুজো মণ্ডপের আশপাশে কোনও খাবারের স্টল লাগানোর অনুমতি দেয়নি। তবে অন্যান্যবারের মত বিপুল সংখ্যক না হলেও এবারেও থাকছে দর্শনার্থীদের জন্য বাঙালি খাবারের আয়োজন।প্রথা মেনে হবে অঞ্জলিও। সুষ্ঠুভাবে পালন করা হবে পূজোর সমস্ত আচার-অনুষ্ঠান । তবে সবটাই সরকারি নির্দেশিকা মান্য করে।