প্রতিবেদন : পাহাড়ি লঙ্কা ডল্লে খুরসানির ঝাঁঝ ইতিমধ্যেই পৌঁছে গিয়েছে বিদেশে। ঝালের দিক থেকে সেরার তকমাও পেয়েছে। এবার রসগোল্লা, জয়নগরের মোয়ার মতো মিষ্টির পাশেও স্থান করে নিল এই ঝাঁঝালো লঙ্কা। কেন্দ্রীয় সরকার এবারে জিওগ্রাফিক ইন্ডিকেশন বা জিআই ট্যাগ দিল ডল্লে খুরসানিকে। দার্জিলিংয়ের চা অনেক আগেই জিআই ট্যাগ পেয়েছে। এখানকার কমলালেবুও বিশ্বপ্রসিদ্ধ। এবার ডল্লে খুরসানিও জিআই ট্যাগ পাওয়ায় দার্জিলিংয়ের নামে নতুন পালক যুক্ত হল। জানা গিয়েছে, কালিম্পং এক নম্বর ব্লকের চাষিদের ফলানো ডল্লে খোরসানি গত ২২ অগাস্টে প্রথম বিদেশে রফতানি করা হয়।
আরও পড়ুন-গবেষণার মানোন্নয়নে বিশ্বভারতী গ্রন্থাগারের নয়া উদ্যোগ
বাগডোগরা থেকে দিল্লি হয়ে ডল্লে পৌঁছয় আরব। এই মস্তিষ্ক বিভ্রাট ঘটানোর মতো ঝাল লঙ্কার স্থানীয় নাম ডল্লে খোারসানি। চলতি কথায় বলে শুধুই ডল্লে। ইংরেজিতে বলে রাউন্ড চিলি। তবে অন্য জায়গার রাউন্ড চিল্লির থেকে এর পার্থক্য আছে ঝালে। একটা গোটা লঙ্কা তো দূর, এক কামড় খাওয়াও অসম্ভব হয়ে পড়ে। এই লঙ্কার জনপ্রিয়তা প্রচুর। তাই কালিম্পঙের পাশাপাশি পাহাড়ের অনকে জায়গাতেই এই লঙ্কার চাষ হয়। কার্সিয়াংয়ের মকাইবাড়ি এলাকায় প্রায় ১০০ পরিবারকে ইতিমধ্যেই ডল্লে খুরসানির চাষে নিযুক্ত করা হয়েছে। ফলন হওয়ার পর তা মকাইবাড়ি ব্র্যান্ড নাম দিয়েও বাজারে ছাড়া হতে পারে বলে ওই চা -বাগানের ম্যানেজার তথা নয়া প্রকল্পের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্তা সঞ্জয় দাস জানিয়েছেন। দার্জিলিং, কালিম্পং, তাগদা, বিজনবাড়ি, মংপু, কার্সিয়াংয়ের কিছু এলাকা এবং মিরিকেও ডল্লে খুরসানির চাষ হয়। কৃষিদফতর জানিয়েছে, কৃষকরাই শুধু নন, সাধারণ মানুষও নিজের সংসারের প্রয়োজনে কিছুটা জমিতে অথবা কার্নিশ, ছাদের টবে ডল্লে খুরসানির চাষ করেন। পাহাড়ের যে কোনও হাটে–বাজারে গেলেই এই লঙ্কার দেখা মিলবে। পাহাড়ি বাজারে ৪০০-৪৫০ টাকা কেজি দরে এই লঙ্কা বিক্রি হয়।