প্রতিবেদন: এক কথায় নৃশংস, ন্যক্কারজনক ঘটনা। তবে পুলিশ এবং নির্যাতিতা উভয়েরই বয়ানে বেশ কিছুটা অসঙ্গতি প্রশ্ন উঠেছে বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়েও। ডবল ইঞ্জিনের রাজ্যে ফের নৃশংস নারী নির্যাতনের অভিযোগ। ২০ বছরের তরুণীকে ধর্ষণ করে যৌনাঙ্গে ব্লেড এবং পাথর ঢোকানো হয়েছিল বলে অভিযোগ। ভয়াবহ এই ঘটনা ঘটেছে মহারাষ্ট্রের গোরেগাঁওয়ের। ভাসাই বিচের মতো জায়গায় এক তরুণীর উপর নির্যাতন চলল, আর পুলিশ জানতে পারল না! ঘটনায় অভিযুক্ত অটোচালককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে, তদন্তে নেমে তাজ্জব পুলিশ। ধর্ষণের পরে নিজের গোপনাঙ্গে ওই সব জিনিস নাকি নিজের ঢুকিয়ে ছিলেন ওই তরুণী। অস্ত্রোপচারের পরে এখন স্থিতিশীল তাঁর পরিস্থিতি।
আরও পড়ুন-পুলিশি হেনস্থার প্রতিবাদে দলিতদের পদযাত্রা
পুলিশের দাবি, মহারাষ্ট্রের পালঘরের নালাসোপাড়া এলাকার বাসিন্দা ওই তরুণী ও অটোচালক পূর্ব পরিচিত। একসঙ্গে রাত কাটাবেন বলে মুম্বইয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু বৈধ পরিচয়পত্র না থাকায় হোটেলে রুম ভাড়া পাননি তাঁরা। ফলে ভাসাই বিচেই কাটান। অভিযোগ, সেখানেই তরুণীকে ধর্ষণ করেন ওই অটোচালক। এরপর সে পালিয়ে যায়। পরিবারের ভয়ে না কি নিজের গোপনাঙ্গে ব্লেড ও পাথর ঢুকিয়ে দেন নির্যাতিতা। তার ফলে প্রবল রক্তক্ষরণ শুরু হয়। কোনও রকমে ভাসাই বিচ থেকে গোরেগাঁওয়ের কাছে রাম মন্দির রেল স্টেশন পর্যন্ত এসে জ্ঞান হারান তিনি। সেখান থেকেই তাঁকে উদ্ধার করে পুলিশ। তরুণীর গোপনাঙ্গে ব্লেড এবং পাথর ঢোকানোর প্রমাণ মিলেছে। ইতিমধ্যেই অস্ত্রোপচার করে সেগুলি বের করেছেন চিকিৎসকরা। বর্তমানে নির্যাতিতার অবস্থা স্থিতিশীল।
আরও পড়ুন-আই লিগ টু-এ আজ অভিযান ডায়মন্ড হারবারের
তবে, এর পরেই সন্দেহ দানা বাঁধছে। কারণ, পুলিশের কাছে প্রথম নিজেকে অনাথ ও বারাণসীর বাসিন্দা বলে জানিয়েছিলেন ওই তরুণী। পরে তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে তাঁর বাড়ি পালঘরের নালাসোপাড়ায়। এর আগে ২০২৩ সালেও মুম্বইয়ের শিবাজিনগর এবং নির্মল নগরে দু’বার ধর্ষণের অভিযোগ তুলেছিলেন ওই তরুণী। বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ। তবে, মুম্বইয়ের মতো জায়গায় ভাসাই বিচের মতো জায়গায় এই তরুণী ধর্ষিতা হলেন, অথচ পুলিশ কেন দেখতে পেল না! কী ধরনের টহল চলে সেখানে! খোদ মুম্বইয়েই যদি পুলিশি নজরদারির এই হাল হয়, তাহলে মহারাষ্ট্রের বাকি অঞ্চলের কী পরিস্থিতি তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীরা।