প্রতিবেদন : সাহায্যের নাম করে এক কিশোরীকে গোপন ডেরায় নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করে ৫০ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেওয়ার ঘটনা ঘটল বিহারের মধুবনী জেলার জয়নগরে। এ ঘটনায় জড়িত তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় জড়িত স্থানীয় থানার গাড়ির ড্রাইভার ও এক চৌকিদার পলাতক।
আরও পড়ুন-ফেলে দেওয়া লোহালক্কড়ে গড়ে উঠল দুর্গাপ্রতিমা
পুলিশ জানিয়েছে, মাসখানেক আগে উত্তরপ্রদেশের মউ শহরের ওই কিশোরী রাগ করে বাড়ি থেকে পালিয়ে মধুবনীর জয়নগরে চলে এসেছিল। অশোক মার্কেটের কাছে ঘুরছিল সে। সেখানে ওই কিশোরী মার্কেটের নৈশরক্ষী অরুণ যাদবের কাছে সাহায্য চায়। সুযোগ বুঝে ওই নৈশরক্ষী কিশোরীকে একটি গোপন ডেরায় নিয়ে গিয়ে তোলে। সেখানে সজন কুমার, রামজীবন পাসোয়ান ও আচার্য নামে আরও কয়েকজনকে ডেকে আনে। তারপর চারজন মিলে ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করে। এরপর ওই কিশোরীকে একটি ঘরে তালাবন্ধ করে রেখে কয়েকদিন লাগাতার ধর্ষণ করে চার অভিযুক্ত। কিছুদিন পর সোনি দেবী নামে এক মহিলার কাছে ওই কিশোরীকে ৫০ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেয়। বাড়ি থেকে নিখোঁজ হওয়ার পরেই কিশোরীর পরিবারের পক্ষ থেকে মউ থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। ওই অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত শুরু করে পুলিশ জানতে পারে, মধুবনীর জয়নগরে সোনি দেবীর হেফাজতে রয়েছে নিখোঁজ কিশোরী।