সংবাদদাতা, হাওড়া : বয়স তাঁকে হার মানাতে পারেনি। ৯১ বছর বয়সেও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি একইরকম আনুগত্য তাঁর। এই বয়সেও দলীয় কর্মীদের সঙ্গে ২১ জুলাইয়ের শহিদ সমাবেশের প্রচারে দেওয়াল লিখছেন। মিছিল করছেন। প্রতি বছরের মতো এবারও ২১ জুলাইয়ের সমাবেশে যোগ দেবেন উত্তর হাওড়ার সালকিয়া বি রোডের বাসিন্দা ৯১ বছর বয়সি গীতা মজুমদার (Gita Majumdar)। এর জন্য এবছরও প্রস্তুতিতে কোনওরকম খামতি নেই তাঁর। প্রথম থেকেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে রয়েছেন তৃণমূল অন্ত প্রাণ গীতাদেবী। তৃণমূলে প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই দলের হয়ে সক্রিয়ভাবে কাজ করছেন তিনি। এই বয়সেও তাঁর ব্যতিক্রম হয়নি। দলের কর্মীদের নিয়ে নিয়ম করে দেওয়াল লিখছেন। প্রতি সপ্তাহে একদিন তৃণমূলের হাওড়া সদরের কার্যালয়ে গিয়ে মহিলা সংগঠনের নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলেন। দলের সাংগঠনিক বিষয়ে আলোচনা করেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেলমন্ত্রী থাকাকালীন গীতা মজুমদার (Gita Majumdar) তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন। মুখ্যমন্ত্রীর মাতৃবিয়োগের খবর পেয়েই তাঁর পাশে দাঁড়াতে ছুটে গিয়েছিলেন। এই বয়সেও দলের হয়ে সবসময় কাজে ব্যস্ত থাকেন। ২০২১-এর বিধানসভা ভোটে তৃণমূলের হয়ে জোরকদমে প্রচার করেছেন। উত্তর হাওড়ার বিধায়ক গৌতম চৌধুরী তাঁকে মায়ের মতো শ্রদ্ধা করেন। এলাকার বাসিন্দারা বলছেন, এখনও তৃণমূলের যেকোনও কর্মসূচিতে গীতা মজুমদারকে প্রথম সারিতে দেখতে পাওয়া যায়। দলের সমস্ত মিটিং-মিছিলে তাঁর উপস্থিতি থাকবেই। এর কোনও অন্যথা হয় না। শুক্রবার দলের কর্মীদের নিয়ে ২১ জুলাইয়ের শহিদ সমাবেশের প্রচারে দেওয়াল লিখেছেন। উত্তর হাওড়ার মাতঙ্গিনী হিসেবে তৃণমূল কর্মীদের কাছে পরিচিত গীতা মজুমদার বললেন, ‘‘তৃণমূলের জন্মলগ্ন থেকে দলের সঙ্গে আছি। দলের একজন কর্মী হিসেবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে থেকেছি। যতদিন থাকব মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একজন একনিষ্ঠ কর্মী হিসেবে কাজ করে যাব। এই কাজে বয়স কোনওদিন বাধা হবে না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদর্শে এইভাবেই কাজ করে যাব।’’ এই ৯১ বছরে বয়সেও দলের প্রতি তাঁর আনুগত্য দেখে কার্যত হতবাক অনেকেই। দলের কর্মীরা বলছেন, ৯১ বছরেও দলের প্রতি অবদান সত্যিই অনস্বীকার্য। দলের কর্মীদের কাছে এককথায় তিনি রোলমডেল।
আরও পড়ুন: বিজেপির নোংরা রাজনীতি