হিমালয়ের ভবিষ্যৎ নিয়ে বিশ্ব-জলবায়ু আলোচনা কাঠমান্ডুতে

‍‘সাগরমাথা সংলাপ ২০২৫’, নামে এই আন্তর্জাতিক আলোচনাচক্রে জলবায়ু পরিবর্তন, পর্বত ও মানবতার ভবিষ্যৎ নিয়ে মত বিনিময় হচ্ছে

Must read

আশিস গুপ্ত, কাঠমান্ডু: আগামী দিনে হিমালয়ের ভবিষ্যৎ কী? নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুতে শুরু হয়েছে বিশ্ব-জলবায়ু সংক্রান্ত আলোচনা। ‍‘সাগরমাথা সংলাপ ২০২৫’, নামে এই আন্তর্জাতিক আলোচনাচক্রে জলবায়ু পরিবর্তন, পর্বত ও মানবতার ভবিষ্যৎ নিয়ে মত বিনিময় হচ্ছে। আন্তর্জাতিক আলোচনা মঞ্চে ১৮ মে পর্যন্ত চলা সংলাপে ৫০টিরও বেশি দেশ থেকে প্রায় ১৭৫ জন প্রতিনিধি অংশ নিয়েছেন। এরমধ্যে রয়েছেন মন্ত্রী, বিজ্ঞানী, পরিবেশবিদ, যুব ও নারী নেতৃবৃন্দ।

আরও পড়ুন-ইমরানের মুক্তি চেয়ে ট্রাম্পের হস্তক্ষেপ চাইলেন দুই পুত্র

সংলাপের উদ্বোধনী ভাষণে নেপালের প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা ওলি বলেন, সাগরমাথার কোল থেকে আমরা এই বার্তা দিচ্ছি—পর্বত রক্ষা মানেই পৃথিবী রক্ষা, সমুদ্র রক্ষা এবং মানবতা রক্ষা। এই সংলাপ হোক আমাদের সম্মিলিত অঙ্গীকারের প্রতিফলন। ভারতের পরিবেশমন্ত্রী ভূপেন্দ্র যাদব হিমালয়ের হিমবাহ দ্রুত গলে যাওয়ার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, হিমালয় আমাদের জন্য সতর্ক সংকেত দিচ্ছে। এই সংকট মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক সহযোগিতা জরুরি। রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস ভিডিও বার্তায় নেপালের জলবায়ু নেতৃত্বের প্রশংসা করে বলেন, বিশ্বের অনেক কিছু শেখার আছে নেপালের কাছ থেকে। স্থানীয় অভিযোজন পরিকল্পনা থেকে শুরু করে অরণ্যায়ন ও ২০৪৫ সালের মধ্যে জলবায়ু লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের প্রচেষ্টাই লক্ষ্য। সম্মেলনে নেপালের বিদেশমন্ত্রী অর্জু রানা দেউবা ভারতের মন্ত্রী ভূপেন্দ্র যাদবের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় জলবায়ু কর্মসূচি ও পরিবেশ রক্ষা নিয়ে সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা করেন। এই সংলাপের মূল লক্ষ্য হিমালয় ও অন্যান্য পর্বত অঞ্চলে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব নিয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করা এবং ‍‘কাঠমান্ডু ঘোষণা’র মাধ্যমে বৈশ্বিক জলবায়ু কর্মপরিকল্পনা গঠন করা। সাগরমাথা সংলাপ ২০২৫ জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে, যা পর্বত অঞ্চলের সুরক্ষা ও মানবতার ভবিষ্যৎ নির্ধারণে আন্তর্জাতিক সহযোগিতার নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে।

Latest article