প্রতিবেদন : কোটি কোটি টাকার নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত বিজেপি মন্ত্রিসভার সদস্য। শুধু মন্ত্রী (Goa Minister) নন, এক আইএএস ও এক সরকারি কর্মকর্তাও জড়িত এই চাকরি-দুর্নীতিতে। চাকরি দেওয়ার নাম করে নগদ টাকা তোলা হয়েছে কোটি কোটি। অভিযোগ সামনে আসার পর গোয়া পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। অভিযোগ, বিভিন্ন সরকারি দফতরে চাকরি দেওয়ার লোভ দেখিয়ে বিপুল পরিমাণ অর্থ আদায় করা হয়েছিল। ২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে পুলিশি তদন্তে এই কেলেঙ্কারি প্রথম প্রকাশ্যে আসে।
একজন অভিযোগকারী দাবি করেন, তিনি চাকরির জন্য লক্ষ লক্ষ টাকা দিয়েছেন অভিযুক্তকে। এরপর এমন অভিযোগের স্তূপ জমতে শুরু করে। গত ডিসেম্বর পর্যন্ত পুলিশ অন্তত ৩৩টি এফআইআর নথিভুক্ত করে এবং বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করে। এই মামলায় গ্রেফতার হওয়া বর্তমানে জামিনে মুক্ত মূল অভিযুক্তদের একজন পূজা নায়েক সম্প্রতি জানান, গোয়ার বিজেপি মন্ত্রিসভার একজন মন্ত্রী, একজন ঊর্ধ্বতন আইএএস অফিসার এবং একটি সরকারি দফতরের একজন প্রকৌশলীর নির্দেশে বহু ভুক্তভোগীর কাছ থেকে তিনি টাকা সংগ্রহ করেছেন। মঙ্গলবার ক্রাইম ব্রাঞ্চ তিন ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করে পূজা নায়েককে। জিজ্ঞাসাবাদের সময় তিনি কিছু নাম উল্লেখ করেছেন। সেই মোতাবেক আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে পুলিশ। বিরোধী দলগুলো অবিলম্বে বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি জানিয়েছে। বিরোধী দলনেতা ইউরি আলেমাও বলেছেন, আমরা পুলিশকে বিশ্বাস করতে পারি না। কারণ এই কেলেঙ্কারিতে মন্ত্রী-আমলারা জড়িত। নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করতেই বিচার বিভাগীয় তদন্ত দরকার। বিজেপি সরকার চাকরি বিক্রি করছে। যুবকদের ভবিষ্যৎ নষ্ট করছে।
আরও পড়ুন-মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে কুৎসিত মন্তব্য শান্তনু ঠাকুরের ইস্তফা চায় তৃণমূল

