মশাল নিভিয়ে চ্যাম্পিয়ন সেই গোয়া

গোয়া ০ (৬) ইস্টবেঙ্গল ০ (৫) (টাইব্রেকারে জয়ী গোয়া)

Must read

প্রতিবেদন: ফুটবল বড়ই নিষ্ঠুর। দুর্দান্ত খেলেও গোলের সুযোগ নষ্টের খেসারত দিতে হল ইস্টবেঙ্গলকে (East bengal)। মাণ্ডবীর জলে নিভল মশাল। রবিবার ফতোরদা স্টেডিয়ামে ১২০ মিনিটের রুদ্ধশ্বাস লড়াই গোলশূন্য থাকার পর টাইব্রেকারে এফসি গোয়ার কাছে ৫-৬ গোলে হেরে গেল ইস্টবেঙ্গল। গতবারের চ্যাম্পিয়ন গোয়া এবারও সুপার কাপ জিতে আরও একবার এশীয় মঞ্চে খেলার সুযোগ পেল। দু’বছরের ব্যবধানে দু’বার সুপার কাপ জয়ের স্বপ্ন অধরাই থেকে গেল মশালবাহিনীর।
সেমিফাইনালে লাল কার্ড দেখায় ডাগ আউটে ছিলেন না কোচ অস্কার ব্রুজো। গ্যালারি থেকেই দুরন্ত লড়াই শেষে দলের হার দেখলেন তিনি। শিল্ডের পর সুপার কাপেও সেই টাইব্রেকারে স্বপ্নভঙ্গ। টাইব্রেকারে রশিদ গোল করতে না পারায় ৪-৪ ফলে ম্যাচ সাডেন ডেথে যায়। সেখানে বিষ্ণু পেনাল্টি মিস করার পর গোয়ার সাহিল তামোরা গোল করে গোয়াকে জিতিয়ে দেন। পেনাল্টি মিস করে ম্যাচের পর কান্নায় ভেঙে পড়েন রশিদ। হতাশ বিষ্ণুও।
ফাইনালে আনফিট হামিদকে বেঞ্চে রেখেই প্রথম একাদশ সাজিয়েছিলেন ইস্টবেঙ্গল (East bengal) কোচ। প্রথম ১৫ মিনিট আক্রমণে ঝড় তুলে ইস্টবেঙ্গল রক্ষণে চাপ বাড়িয়েছিল মানোলোর গোয়া। কিন্তু দ্রুত নিজেদের গুছিয়ে নিয়ে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেয় ইস্টবেঙ্গল। ১২ মিনিটে সহজতম সুযোগ নষ্ট করেন মিগুয়েল। গোয়ার গোলকিপার হৃত্বিক তিওয়ারিকে একা পেয়েও বল জালে জড়াতে পারেননি লাল-হলুদের ব্রাজিলীয় মিডফিল্ডার। ২০ মিনিটে বাঁ-দিক থেকে বিপিনের থ্রু পাস ঠিকমতো নিয়ন্ত্রণে আনতে পারলে গোল করে ইস্টবেঙ্গলকে এগিয়ে দিতে পারতেন মহেশ। বোরহার নেতৃত্বে গোয়া পাল্টা প্রতিআক্রমণে ওঠে। কিন্তু আনোয়ার, সিবিল্লেরা লাল-হলুদ রক্ষণ জমাট রাখায় বিপদ বাড়েনি।
প্রথমার্ধ জুড়ে তুল্যমূল্য লড়াই হলেও ইস্টবেঙ্গল একাধিকবার গোলমুখ খুলতে সক্ষম হয়। মহেশ, মিগুয়েলরা ফাইনাল থার্ডে ব্যস্ত রাখেন গোয়া রক্ষণকে। গোয়ার গোলকিপার হৃত্বিক বার দুয়েক ত্রাতা হয়ে ওঠেন।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকে মাঝমাঠের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দাপটে শুরু করে গোয়া। দেজান ড্রাজিক, ডেভিড তিমোর, ব্রাইসনদের একের পর এক আক্রমণ আছড়ে পড়ে লাল হলুদ রক্ষণে। কিন্তু আনোয়ার, সিবিল্লেদের পরাস্ত করতে পারেননি দেজান, ব্রাইসনরা। গোলে প্রভসুখনও ছিলেন দুর্ভেদ্য। গোয়ার দুটো শট পোস্টে প্রতিহত হয়। ৬৩ মিনিটে ম্যাচের সহজতম সুযোগটি পায় ইস্টবেঙ্গল। ডানদিক থেকে বিপিনের গোলের ঠিকানা লেখা সেন্টার আনমার্কড হিরোশির কাছে যায়। কিন্তু জাপানি স্ট্রাইকারের নির্বিষ হেড সরাসরি গোয়ার গোলকিপারের হাতে চলে যায়। ৭৪ মিনিটে মিগুয়েলের একটি চিপ ফাইনাল থার্ডে পেয়ে যান পরিবর্ত বিষ্ণু। বিপক্ষের দুই ডিফেন্ডারকে ঘাড়ে নিয়ে গোলে শট নেন তিনি। কিন্তু গোয়ার গোলকিপার হৃত্বিক ঠিকমতো সেভ না করায় বল গোলে যাচ্ছিল। কিন্তু দুর্দান্তভাবেই গোললাইন থেকে বল ক্লিয়ার করেন গোয়ার কিপার। এই গোল নিয়ে অবশ্য বিতর্ক নেই।
নুঙ্গা ও হিরোশির পরিবর্ত হিসেবে ৮৩ মিনিটে জয় গুপ্তা ও ডেভিডকে নামান বিনো। তুল্যমূল্য লড়াই হয়। দ্রাজিক একা ইস্টবেঙ্গল গোলকিপারকে পেয়েও গোল করতে পারেননি। ম্যাচ অতিরিক্ত সময়ে যায়। সেখানেও ফলাফল অমীমাংসিত থাকে। অতিরিক্ত সময়ের দ্বিতীয়ার্ধে সুবর্ণ সুযোগ পেয়েছিল গোয়া। ইস্টবেঙ্গল গোলকিপার গিলের হাতে বল তুলে দেন সিভেরিও। শেষ পর্যন্ত টাইব্রেকারে ফয়সালা হয়।

আরও পড়ুন-৫ বছরে বন্ধ হয়েছে ২ লক্ষের বেশি বেসরকারি সংস্থা

Latest article