সেঞ্চুরি করেই মঞ্চে
আমেরিকার একটি রাজপ্রাসাদে সঙ্গীতানুষ্ঠান। বাজাবেন উস্তাদ আলি আকবর খান। তিনি সময়মতো পৌঁছে গিয়েছেন। দর্শকাসন কানায় কানায় পূর্ণ। কিন্তু তখনও দেখা নেই তবলা-শিল্পীর, যিনি সঙ্গত করবেন। সেই সময় মোবাইল ফোন ছিল না। লোক পাঠানো হল তবলা-শিল্পীর খোঁজে। একজন দেখে এসে জানালেন— তিনি এখন বন্ধুদের সঙ্গে ক্রিকেট খেলছেন! সবাই তাঁর অপেক্ষায় আছেন শুনে বলেছেন, সেঞ্চুরির মুখে আছি। পূর্ণ হয়ে গেলেই সময়মতো পৌঁছে যাব।
কিছুক্ষণের মধ্যেই ফিরলেন তবলা-শিল্পী। সেঞ্চুরি করে। ধুলোবালি মেখে। তারপর একটু ফ্রেশ হয়ে পাঞ্জাবি চাপিয়ে যখন মঞ্চে আলো ছড়িয়ে বসলেন, তখন তিনি এক অন্য মানুষ। মনে হল যেন ঈশ্বর বসে আছেন। তবলার সামনে। সাদা পাঞ্জাবি। মাথায় ঝাঁকড়া চুল। প্রায় ধ্যানমগ্ন। সেই তবলা-শিল্পী হলেন উস্তাদ জাকির হুসেন। তাঁর সেদিনের পরিবেশনা আলাদা মাত্রায় পৌঁছেছিল।
চঞ্চল হয়ে উঠত আঙুল
জন্মের মাত্র দু’দিন পর বাড়িতে আনা হয়েছিল ছোট্ট জাকির হুসেনকে। বাবা উস্তাদ আল্লারাখা ছেলের কানে ঢেলে দিয়েছিলেন সুর, তবলার বোল। জাকির হুসেনের মা ছিলেন রক্ষণশীল মুসলিম পরিবারের কন্যা। চাইতেন ছেলে উচ্চশিক্ষিত হবে। ভাল চাকরি করবে। মাস গেলে আনবে মোটা টাকা। কিন্তু জন্মমাত্র জাকির হুসেন পেয়েছিলেন সঙ্গীতের দেবীর আশীর্বাদ। পড়াশোনায় ফাঁকি দেননি ঠিকই, তবে খুব অল্প বয়সেই তাঁর প্রথম প্রেম হয়ে উঠেছিল তবলা। অনুসরণ করেছিলেন বাবার পথ। বাড়িতে পড়াশোনার পাশাপাশি বাবার তত্ত্বাবধানে তবলাচর্চা করতেন। ঘণ্টার পর ঘণ্টা। কঠোর অনুশীলন। স্কুলে গিয়ে ঘুমোতেন, নাহলে টেবিল বাজাতেন। আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে গিয়েও চঞ্চল হয়ে উঠত আঙুল। সতর্ক থাকতেন মা। চেপে ধরে রাখতেন ছেলের দুটো হাত। নাহলে যে লোকজনের সামনে সম্মান যাবে!
মুগ্ধ করেছিলেন শ্রোতাদের
যে ছেলের জন্য মান-সম্মান হারানোর ভয় পেতেন মা, সেই ছেলে, জাকির হুসেন, মা-বাবার মুখ উজ্জ্বল করেছিলেন। অল্প বয়সেই সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়েছিল তাঁর খ্যাতি। বাবা তবলা সঙ্গত করতেন পণ্ডিত রবিশঙ্করের সঙ্গে। কোনও কোনও সময় সঙ্গে থাকতেন জাকির হুসেন। একদিন বাবার অসুস্থতার কারণে জাকির হুসেনের সামনে সুযোগ এসে গেল পণ্ডিত রবিশঙ্করের সঙ্গে সঙ্গত করার। সেইদিন শ্রোতাদের মুগ্ধ করেছিলেন নবীন তবলা-শিল্পী। পেয়েছিলেন পণ্ডিত রবিশঙ্করের আশীর্বাদ।
মুড়ি-পেঁয়াজির টানে
উস্তাদ আল্লারাখার বন্ধু ছিলেন আচার্য জ্ঞানপ্রকাশ ঘোষ। একটা সময় জ্ঞানপ্রকাশ ঘোষ আমেরিকার একটি সঙ্গীত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকতা করতেন। সেই সময় তাঁদের বাড়ির কাছাকাছি থাকতেন জাকির হুসেন। জানালেন গুরু জ্ঞানপ্রকাশের পুত্র পণ্ডিত মল্লার ঘোষ। তিনি বললেন, ‘‘জাকিরজি মাঝেমধ্যেই আমাদের বাড়িতে আসতেন।
আরও পড়ুন-হোয়াটসঅ্যাপে আড়িপাতায় মার্কিন আদালতে দোষী পেগাসাসের নির্মাতা
মাকে বলতেন, মুড়ি-পেঁয়াজি খাব। বাবাকে হৃদয় থেকে শ্রদ্ধা করতেন। একবার একটি অনুষ্ঠান শুনতে গিয়েছিলেন বাবা। অনুষ্ঠান শুরুর মুখে সামনের সারিতে দর্শক আসনে বসেছেন। তখন হয়তো আলাপ শুরু করেছেন সঙ্গীতশিল্পী। জাকিরজি মঞ্চ থেকে নেমে বাবাকে প্রণাম করে গেলেন। এটা আমার নিজের চোখে দেখা। এই শ্রদ্ধা ছিল অন্তর থেকে। আইটিসি সঙ্গীত সম্মেলনে একদিন বাবার বক্তৃতা ছিল। গাড়ি পার্ক করার জায়গা পাচ্ছিলাম না। সেদিন আমাকে সহযোগিতা করেছিলেন জাকিরজি। উদ্যোগ নিয়ে আমার গাড়ি রাখার ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন। একেবারে ঘরের মানুষের মতো ছিলেন। দাদার মতো।’’
বড় মনের মানুষ
আরেকটা ঘটনার কথা জানালেন পণ্ডিত মল্লার ঘোষ। বললেন, ‘‘আমার তখন ১৪ বছর বয়স। আমেরিকায় বাবার একটি অনুষ্ঠান ছিল। সেদিন পরে জাকিরজিরও বাজানোর কথা। ইতিমধ্যেই বাবার নাম ঘোষণা হয়ে গেছে। বাবার হারমোনিয়াম, শাল, আমার তবলা মঞ্চে নিয়ে যেতে গিয়ে আমার ল্যাজেগোবরে অবস্থা। দূর থেকে সবটা লক্ষ করছিলেন জাকিরজি। তারপর এগিয়ে এসে আমাকে বললেন, তোমার তবলাটা দাও, আমি মঞ্চে পৌঁছে দিচ্ছি। করলেনও তাই। ওইরকম বিশাল মাপের একজন মানুষ যেভাবে সহযোগিতা করলেন, আমরা কল্পনাই করতে পারি না। বড় শিল্পী তো বটেই, বড় মনের মানুষও ছিলেন জাকিরজি। মঞ্চে নিজের তবলা নিজেই বয়ে নিয়ে যেতেন। বিজ্ঞাপনের মডেল হিসেবেও ছিলেন জনপ্রিয়। শ্যুটিং-শার্টিং এবং চায়ের বিজ্ঞাপনও করেছেন। আমার মনে হয় ওঁর মধ্যে ছিল পারফেক্ট শোম্যানশিপ। রাজ কাপুরের পরে গ্ল্যামার ওয়ার্ল্ডে আমি ওঁকেই স্থান দেব।’’
মেঝেতে শুয়ে ট্রেনে ভ্রমণ
শুরুর বছরগুলিতে জাকির হুসেন প্রায়শই ট্রেনে ভ্রমণ করতেন। যখন বসার জায়গা পেতেন না, মেঝেতে শুতেন। বিছানা হিসাবে ব্যবহার করতেন সংবাদপত্র। সবসময় তবলাকে নিজের কোলে রাখতেন। যাতে কোনওভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। যন্ত্রের প্রতি ছিল তাঁর এতটাই শ্রদ্ধা, ভালবাসা। পণ্ডিত কুমার বসু ছিলেন পুরনো বন্ধু। কথা হল তাঁর সঙ্গে। তিনি বললেন, ‘‘কিছু মানুষ পৃথিবীতে আসে বহু কাজ করে যাবার জন্য। জাকির সেটাই করে গেছে। ছোটবেলা থেকেই কিংবদন্তি শিল্পীদের সান্নিধ্য পেয়েছে। যেমন পণ্ডিত রবিশঙ্কর, উস্তাদ আলি আকবর খান, জর্জ হ্যারিসন প্রমুখ। যার ফলে পশ্চিমি দুনিয়ায় কাজ করতে ওর সুবিধা হয়েছিল।’’
আরও পড়ুন-এবার নিউ আলিপুরে ঝুপড়িতে আগুন, ঘটনাস্থলে একাধিক দমকলের ইঞ্জিন
সুযোগের সদ্ব্যবহার
পণ্ডিত কুমার বসু আরও যোগ করেন, ‘‘জীবনে অনেকেই সুযোগ-সুবিধা পেয়ে থাকে। কিন্তু সবাই সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে পারে না। জাকির কিন্তু সুযোগের সদ্ব্যবহার করেছিল। আমরা একটা সময় একসঙ্গে ওঠাবসা করেছি। কিন্তু নিজের কর্মফলে ও আমাদের ছাড়িয়ে অনেক দূর চলে গিয়েছিল। তাই ওকে বন্ধু বলতেও দ্বিধাবোধ হত। চিনতাম-জানতাম বলতে পারি। কিছুটা ঘনিষ্ঠতা ছিল। সেই সুবাদে শরীরের প্রতি যত্নশীল হওয়ার পরামর্শ দিতাম। ট্যুর কমাতে বলতাম। কিন্তু শোনেনি। শরীরের প্রতি মোটেই সচেতন ছিল না। প্রেসার নিয়ে কাজ করত। প্রচুর কাজ করে গেছে। সম্মানও পেয়েছে।’’
আইকনিক মিউজিশিয়ান
জাকির হুসেনের প্রথম উপার্জন ছিল মাত্র পাঁচ টাকা। ১২ বছর বয়সে। তবলা বাজিয়ে পেয়েছিলেন। জীবনে অর্থের পিছনে ছোটেননি। অর্থ এসেছে স্বাভাবিক ছন্দেই। মানুষ হিসেবে ছিলেন অতি ভদ্র। বিনয়ী। সৎ। আন্তর্জাতিক তালবাদ্য শিল্পী। প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটির ওল্ড ডোমিনিয়ন ফেলো এবং পূর্ণ সঙ্গীত বিভাগের অধ্যাপক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটিতে ভিজিটিং প্রফেসর হিসেবেও কাজ করেছেন। পণ্ডিত তন্ময় বসুর সঙ্গে কথা হল। তিনি জানালেন, যাঁরাই গানবাজনা করবেন, তাঁদের কাছে উস্তাদ জাকির হুসেন একটা ড্রাইভিং ফোর্স। আইকনিক একজন মিউজিশিয়ান। তাঁর দ্বারা অনুপ্রাণিত হননি, পরবর্তী প্রজন্মে এমন শিল্পী কেউই নেই। আমরা প্রত্যেকে ওঁর দ্বারা অনুপ্রাণিত। সারা জীবন ওঁর থেকে কিছু না কিছু শিখেছি। অনেক ছোট থেকে ওঁকে দেখেছি। ওঁর হাজার হাজার কনসার্ট শুনেছি। আমি ওঁকে একজন মসিহার মতো দেখি। উনি এলেন। সঙ্গীত জগতে একটা নতুন ধারার সূচনা করলেন। কীভাবে স্টেজে আসতে হবে, বসতে হবে, কীভাবে সঙ্গত করতে হবে— সমস্ত কিছু নতুন ভাবে দেখালেন। তাঁর দ্বারা অনুপ্রাণিত হলেন প্রত্যেকে।’’
আরও পড়ুন-দমদম থেকে ছাড়বে না আর কোনও মেট্রো
শ্রদ্ধাশীল ছিলেন পরম্পরার প্রতি
পণ্ডিত তন্ময় বসু আরও বলেন, ‘‘কয়েক হাজার বছরে এইরকম একজন মানুষই হয়তো আসেন, যাঁরা ধারাটাকে বদলে দেন। গুরুর প্রতি ছিলেন অসম্ভব শ্রদ্ধাশীল। শ্রদ্ধাশীল ছিলেন পরম্পরার প্রতিও। বলতেন, কোনও গানবাজনাই খারাপ নয়। আমরা যে পরম্পরায় এগিয়ে চলেছি, সেটা কয়েক হাজার বছরের পুরনো। এই পরম্পরাকে বাঁচিয়ে রাখতে গেলে ২৪ ঘণ্টা সঙ্গীতসাধনায় ডুবে থাকতে হবে। উনি তাই-ই থেকেছেন।’’
অভিনেতা এবং সঙ্গীত পরিচালক
বিশ্বের খ্যাতনামা সঙ্গীত কিংবদন্তিদের সঙ্গে তবলা সঙ্গত করেছেন জাকির হুসেন। বিট জেনারেশনের কবি অ্যালেন গিন্সবার্গ, জর্জ হ্যারিসন, জন হ্যান্ডি এবং স্যার জর্জ ইভান মরিসনের মতো আইকনদের সঙ্গে কাজ করেছিলেন। চলচ্চিত্রেও মেলে ধরেছিলেন নিজেকে। অভিনেতা এবং সঙ্গীত পরিচালক হিসেবে। ফিউশন ব্যান্ড ‘শক্তি’র মাধ্যমেও নিজেকে উজাড় করে দিয়েছিলেন। ব্যান্ডের প্রথম অ্যালবাম প্রকাশিত হয় ১৯৭৬ সালে। একমাত্র ভারতীয় হিসেবে চারবার পেয়েছেন গ্র্যামি পুরস্কার। এছাড়াও পেয়েছেন পদ্মশ্রী, পদ্মভূষণ, পদ্মবিভূষণ, সঙ্গীত নাটক অ্যাকাডেমি পুরস্কার। তাঁর অনুসারী পণ্ডিত বিক্রম ঘোষের সঙ্গে কথা হল। তিনি জানালেন, ‘‘সোম হল যে কোনও সাইকেলের প্রথম বিট। এবং যে কোনও তালেরই কেন্দ্রে আছে সোম। যাকে ঘিরে তালের ব্রহ্মাণ্ডটা ঘোরে। জাকিরজি ছিলেন সেই সোম। তাঁকে ঘিরে তালের ব্রহ্মাণ্ডটা ঘুরত। আমাদের সকলের জীবনেই তিনি ছিলেন একটা কেন্দ্রের মতো।’’
চলার রাস্তা দেখিয়েছেন
পণ্ডিত বিক্রম ঘোষ আরও বললেন, ‘‘আমার কাছে বড় দাদার থেকে কিছু কম ছিলেন না। ছোটবেলায় একই বাড়িতে থাকতাম। আমেরিকায়। বাবা, মা এবং আমি উপরতলায়। জাকিরজি আর কত্থক মায়েস্ত্রো পণ্ডিত চিত্রেশ দাস নিচে। জাকিরজির তখন ১৮-১৯ বছর বয়স। বাবা-মা অনেক সময়েই ওঁর কাছে আমাকে রেখে যেতেন। আমার তখন ৩-৪ বছর বয়স। স্নেহ করতেন। ওঁর প্রতি আমার শ্রদ্ধা তো ছিলই। ভালবাসাও যে ছিল, সেটা দেখা হলেই বোঝা যেত। আমরা দু’জনেই অনুভব করতাম। দেখা হলেই আদর করতেন। আমার গাল টিপে দিতেন। গালে চুমু খেতেন। মাথার চুল নাড়িয়ে দিতেন। আমাকে নানাভাবে চলার রাস্তা দেখিয়েছেন। ভারত কেন, পৃথিবীর বুকে এরকম একজন শিল্পী কল্পনা করাই যায় না।’’
বর্ধমূল ধারণাকে নির্মূল করেছিলেন
তবলা মায়েস্ত্রো উস্তাদ জাকির হুসেনের জন্ম ১৯৫১-র ১৫ মার্চ। চলে গেলেন ২০২৪-এর ১৫ ডিসেম্বর। ৭৩ বছর বয়সে। বলতেন, আমার ধর্ম সঙ্গীত। সরস্বতীর বরপুত্র ছিলেন। শিব, গণেশ, কৃষ্ণের প্রতিও ছিল অগাধ ভক্তি। একটা সময় তবলা-শিল্পীদের দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক মনে করা হত। বদ্ধমূল সেই ধারণাকে তিনি নির্মূল করেছিলেন। বিশ্বের দরবারে প্রতিষ্ঠা দিয়েছিলেন তবলাকে। তাঁর স্নেহ পেয়েছেন তবলা-শিল্পী রিম্পা শিবা। স্মৃতিচারণায় বললেন, ‘‘তখন আমি ১৫-১৬ বছরের কিশোরী। কলকাতার নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামে একটা অনুষ্ঠানে বাজাতে এসেছিলেন জাকিরজি। সেখানেই ওঁর সঙ্গে আমার প্রথম সাক্ষাৎ। যদিও তার আগেই তিনি শুনেছেন আমার বাজনার ক্যাসেট। প্রচুর স্মৃতি। আর একবার কলকাতার পাঁচতারা হোটেলে দেখা করতে গিয়েছিলেন। বাবার সঙ্গে। ব্রেকফাস্ট টেবিলে ওঁর সঙ্গে অনেক কথা হয়েছিল। আমাকে খাবারের চার্ট বানিয়ে দিয়েছিলেন। ফ্রান্স থেকে আমাকে নিয়ে তৈরি হয়েছিল একটি তথ্যচিত্র। সেটার পিছনেও ছিল ওঁর ভূমিকা। নানাভাবে গাইড করেছেন। শেষবার দেখা কলকাতা বিমানবন্দরে। তখন তো জানতাম না, আর কোনওদিন দেখা হবে না। তবলা জগতের সবচেয়ে বড় তারকা ছিলেন। একজন অতি সাধারণ মানুষও চিনতেন। ওঁর প্রয়াণ ভারতীয় সঙ্গীত জগতে বিরাট প্রভাব ফেলেছে।’’
আরও পড়ুন-গুগলে চাকরি যাচ্ছে ১০ হাজারের!
অনেকেই অভিভাবকহীন
উস্তাদ জাকির হুসেন ছিলেন শিল্পীদের মাথার উপর ছাতা। পরবর্তী প্রজন্মকে পরম স্নেহ দিয়ে আগলে রাখতেন। ফলে অনেকেই আজ অভিভাবকহীন। ওঁর মতো শিল্পী এই সময়ে সত্যিই বিরল। ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীত জগতের কিংবদন্তি শিল্পী— আশ্চর্য ক্ষমতায় হয়ে উঠেছিলেন সর্বজনীন। রোগভোগের পর চলে গেলেন। তবে অসামান্য কাজ এবং দর্শনের মধ্যে দিয়ে তিনি থেকে যাবেন পৃথিবীর অগণিত সঙ্গীতপ্রেমীর হৃদয়ে।