প্রতিবেদন : একটা সময় ছিল যখন মায়ের বিদায়বেলায় উড়িয়ে দেওয়া হত নীলকণ্ঠ পাখি। রাজপরিবারের বিশ্বাস, সেই পাখি উড়ে গিয়ে কৈলাসে অধীর আগ্রহে অপেক্ষারত মহাদেবকে খবর দেবে, মা রওনা হয়ে গিয়েছেন। শোনা যায়, আন্দুল রাজবাড়ি-সহ বেশ কিছু বনেদি বাড়ির পুজোয় বিজয়াদশমীতে সাড়ম্বরে পালিত হত এই প্রথা। তারপরে প্রতিমা নিরঞ্জনের পালা। আজ অবশ্য সেই নীলকণ্ঠ পাখি সত্যিই বিরল। তবে বিভিন্ন রাজবাড়ি এবং বনেদি বাড়িতে আজও মানা হয় নিজস্ব প্রথা এবং রীতি। কোথাও বিদায়বেলায় মা দুর্গাকে (Goddess Durga) খাওয়ানো হয় পান্তা-ইলিশ, কোথাও বা দশমীতে পুজো হয় অপরাজিতার। জলপাইগুড়ির নিয়োগী বাড়িতে বুধবার দশমীর দিন প্রথমে সিঁদুর পরিয়ে মিষ্টিমুখ করানো হল মাকে। তারপরে পান্তাভাত খেয়ে বিদায় নিলেন উমা (Goddess Durga)। জলপাইগুড়ির বৈকুণ্ঠপুর রাজবাড়িতে পান্তাভাত, ইলিশ, পুঁটি-সহ ৫ রকমের মাছ আর শাপলা দিয়ে মাকে ভোগ নিবেদন করা হল দশমীতে। বীরভূমের সুরুল জমিদার বাড়িতে সিঁদুরখেলার রেওয়াজ নেই দশমীতে। তার বদলে এবারেও পুজো করা হল অপরাজিতাকে। তারপরে দীর্ঘায়ু কামনা করে পরিবারের সদস্যদের হাতে বেঁধে দেওয়া হল অপরাজিতা লতা। এখানেই শেষ নয়, এখানে এসে বেলপাতার উপরে দুর্গানাম লিখলেন পাড়াপ্রতিবেশীরা। কোচ রাজবংশের ৫১২ বছরের বড়দেবীর বিসর্জনের আগেও প্রায় একই প্রথা। অপরাজিতা পুজোর পরেই নিরঞ্জনের পালা।
আরও পড়ুন-দুই বাংলা মিলেমিশে একাকার