আঁধার আছে, আলোও আছে

চোখে পড়ছে মেধা, শিক্ষা, রুচি, সুস্থ সংস্কৃতির অভাব। মূলত বিনোদন জগতে। বেশ কয়েকজন কনটেন্ট ক্রিয়েটারের ভাবনাচিন্তার দীনতা প্রকট হয়ে উঠেছে। চটজলদি ভিডিও বানিয়ে ছেড়ে দিচ্ছেন। সেই কারণেই ঘটছে বিপত্তি। তবে ইউটিউবের পুরোটাই কিন্তু হতাশাজনক নয়। আশার আলো দেখাচ্ছেন কয়েকজন শিক্ষিত, মার্জিত কনটেন্ট ক্রিয়েটার। তুলে ধরছেন ইন্টারেস্টিং বিষয়। মনন এবং মেধার প্রয়োগ ঘটিয়ে পাচ্ছেন সাফল্য। লিখলেন অংশুমান চক্রবর্তী

Must read

গা ভাসাচ্ছেন

যা কিছু তরল, তা-ই জনপ্রিয়। অনেকেই বিশ্বাস করেন কথাটা। উল্টোটাও ভাবেন কেউ কেউ। অর্থাৎ, যা জনপ্রিয়, তা-ই তরল। বক্তব্য দুটি নিয়ে বিতর্কের অবকাশ রয়েছে। তবে কোনওভাবেই ফেলে দেওয়া যায় না। কারণ, এখন গভীরতা থেকে দূরে সরে গিয়ে সরল এবং তরল বিষয়কে হাতিয়ার করে বহু মানুষ জনপ্রিয়তা পেতে চাইছেন। চলচ্চিত্র এবং ধারাবাহিক দেখে সেটা বেশ বোঝা যায়। তবে এই দুই মাধ্যমকে ছাপিয়ে গেছে সোশ্যাল মিডিয়া। এখন খুব সহজেই নিজেকে, নিজের মতকে জনসমক্ষে প্রকাশ করা যাচ্ছে। কোনওরকম ছাঁকনি ছাড়াই। রেকর্ডিং করা অনুষ্ঠানের পাশাপাশি হচ্ছে প্রচুর লাইভ। সেখানে নেই কোনও ছাঁকনির বালাই। ফলে যে কেউ খুব সহজেই আলটপকা মন্তব্য করার সুযোগ পাচ্ছে। সাধারণ মানুষ থেকে সেলিব্রেটি— গা ভাসাচ্ছেন সবাই। বিজ্ঞান আশীর্বাদ ঠিকই, তবে সেটা যে অভিশাপও— বোঝা যাচ্ছে মাঝেমধ্যেই।
ভিডিও ডিলিট
কেন এই গৌরচন্দ্রিকা? ঘটনা হল, সম্প্রতি রণবীর নামের একজন ইউটিউবারের একটি অশালীন মন্তব্য বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। তাঁর প্রচুর ফ্যান, ফলোয়ার। গভীরতার পথে না গিয়ে তিনি বেছে নিয়েছেন সরল এবং তরল পথ। সময় রায়নার একটি পরিচিত শোয়ের বিচারকের আসনে বসে হঠাৎ তিনি অত্যন্ত অশালীন মন্তব্য করেছেন। সময় রায়নার ইন্ডিয়াস গট লেটেন্টে শোয়ের সেই পর্বে রণবীর ছাড়াও ছিলেন আশিস চঞ্চলানি, যশপ্রীত সিং, অপূর্ব মুখিজা। পুলিশের কাছে জমা পড়েছে একাধিক অভিযোগ। তদন্ত শুরু হয়েছে। ডাক পাঠানো হয়েছে মহিলা কমিশন থেকেও। অভিনেতা বিশ্বনাথ বসু বলেছেন, ‘‘আমি আগে এই রণবীরের নামই জানতাম না। একটি মন্তব্য নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে দেনেছি। তবে আমি মন্তব্যটি শুনতেও চাই না। এগুলোকে গুরুত্ব না দিয়ে এড়িয়ে গেলেই ভাল হয়।’’ অভিনেতা নাইজেল আকারা বলেছেন, ‘‘রেকর্ডিং করা ভিডিওর থেকে লাইভ অনুষ্ঠান বেশি বিপজ্জনক। কোনও সেন্সরশিপ নেই। সোশ্যাল মিডিয়ার খোলা মঞ্চে যে কেউ যখন তখন যা খুশি বলে দিতে পারেন। এটা নিয়ে ভাবার সময় এসেছে।’’
বিষয় হল— মেধা, শিক্ষা, রুচি, সুস্থ সংস্কৃতির অভাব প্রকট হয়ে উঠছে চারদিকে। মূলত বিনোদন জগতে। কনটেন্ট ক্রিয়েটাররা ভাবনাচিন্তা করার মতো অবস্থায় নেই। কিছু বলার আগেও বিশেষ ভাবেন না। বোঝেন না— বলার আগে দশবার ভাবতে হবে। ফলে চটজলদি কিছু একটা বানিয়ে ছেড়ে দিচ্ছেন। ভিউ, লাইক, কমেন্টের লোভে। সেই কারণেই ঘটে চলেছে একের পর এক বিপত্তি। ফুলঝুরি উঠছে চরম অশালীন কথার। জল গড়িয়েছে অনেক দূর। ঝড় উঠেছে প্রতিবাদের। তবে ইউটিউবের পুরোটাই কিন্তু হতাশাজনক নয়। অন্ধকারে আশার আলো দেখাচ্ছেন কয়েকজন শিক্ষিত ও মার্জিত কনটেন্ট ক্রিয়েটার। তুলে ধরছেন ইন্টারেস্টিং টপিক। মনন এবং মেধার প্রয়োগ ঘটিয়ে পাচ্ছেন আশ্চর্য সাফল্য। কয়েকজনের কথা বলা যাক।

আরও পড়ুন-অবৈধ অভিবাসীদের ফেরত পাঠানোর নির্দিষ্ট সময়সীমা নির্ধারণ সম্ভব নয়

গৌরব চৌধুরি
ইউটিউবে ‘টেকনিক্যাল গুরুজি’ নামে বিখ্যাত ইউটিউব চ্যানেলটি গৌরব চৌধুরির। রাজস্থানের আজমেরে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি একটি স্থানীয় স্কুলে পড়াশোনা করেছেন। ২০১২ দুবাই ক্যাম্পাসে মাইক্রোইলেক্ট্রনিক্সে ডিগ্রি অর্জনের জন্য দুবাই চলে যান। দুবাই পুলিশের কাছ থেকে নিরাপত্তা ব্যবস্থার সঙ্গে কাজ করার জন্য একটি শংসাপত্র পান। তারপর শুরু করেন ইউটিউব চ্যানেল। ২০১৫ সালের অক্টোবরে তাঁর টেকনিক্যাল গুরুজি চ্যানেল চালু করেন, প্রাথমিকভাবে পরামর্শ এবং নানা বিষয়ের পর্যালোচনা পোস্ট করেন। চ্যানেলটি দ্রুত বৃদ্ধি পায়। বর্তমানে তাঁর চ্যানেলে ২ কোটির বেশি সাবস্ক্রাইবার রয়েছে। গৌরব চৌধুরি নামেও তাঁর একটি ইউটিউব চ্যানেল রয়েছে, যার ৫০ লাখ সাবস্ক্রাইবার রয়েছে। ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে তাঁর মাসিক আয় দেড় থেকে দু’কোটি টাকা। গৌরব চৌধুরির মোট সম্পত্তির পরিমাণ প্রায় ৩২৬ কোটি টাকা। তিনি ২০১৫ সালের অক্টোবর থেকে ইউটিউব চ্যানেল শুরু করেন।
ভুবন বাম
ভারতীয় কমিক ইউটিউবারদের মধ্যে প্রথম সারির ভুবন বাম। ১৯৯৪ সালের ২২ জানুয়ারি গুজরাতের বরোদা শহরে জন্মগ্রহণ করেন। পরে তাঁর পরিবার দিল্লিতে চলে যায়। তিনি দিল্লির গ্রিন ফিল্ডস স্কুলে পড়াশোনা করেন এবং শহিদ ভগৎ সিং কলেজ থেকে ইতিহাসে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। ২০১৫ সালে ‘বিবি কি ভাইনস’ নামে নিজের চ্যানেল শুরু করেন। এছাড়া টিভিতেও তাঁকে দেখা গেছে একাধিকবার। তাঁর যে কোনও পোস্ট ঝড়ের গতিতে ভাইরাল হয়। কনটেন্ট ক্রিয়েটার হিসেবে তাঁর উপার্জন ঈর্ষণীয়।
সন্দীপ মাহেশ্বরী
ভারতের অন্যতম জনপ্রিয় ইউটিউবার সন্দীপ মাহেশ্বরী। ভার্চুয়ালি তাঁর ক্লায়েন্টের সংখ্যা ২৮.৫ মিলিয়ন। উদ্যোগপতিদের জন্যও বিশেষ ভিডিও তৈরি করেন তিনি। ১৯ বছর বয়সে মডেলিংয়ের জগতের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে ম্যাশ অডিও ভিজ্যুয়াল প্রাইভেট লিমিটেড নামে একটি প্রতিষ্ঠানের জন্ম দেন। তারপরে ২০০২ সালে তাঁর তিন বন্ধুর সঙ্গে একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন।২০০৩ সালে মাত্র ১০ ঘণ্টা এবং ৪৫ মিনিটের মধ্যে ১২২ জন মডেলের ১০,০০০ এরও বেশি ছবি তোলার পর তিনি লিমকা বুক অব রেকর্ডস-এ নাম লেখান। ২০০৬ সালে ২৬ বছর বয়সে ইমেজসবাজার প্রতিষ্ঠা করেন। ইমেজসবাজার এখন বিশ্বের ৪৫টি দেশে ভারতীয় ছবির সর্বশ্রেষ্ঠ সংগ্রহে পরিণত হয়েছে৷ তিনি সবসময় জীবনে অসফল মানুষদের অনুপ্রেরণা দিতেন। ২০১২ সালে নিজের ইউটিউব চ্যানেল খোলেন। তাঁর ইউটিউব চ্যানেলে ২৮.৪ মিলিয়ন সাবস্ক্রাইবার রয়েছে, যেখানে তিনি নিয়মিত অনুপ্রেরণামূলক ভিডিও আপলোড করেন। তাঁর ইউটিউব চ্যানেল পৃথিবীর সবচেয়ে বড় নন-প্রফিট ইউটিউব চ্যানেল। তিনি ভারতের ১ নম্বর এবং বিশ্বের সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরণাদায়ী বক্তাদের মধ্যে একজন হিসেবে বিবেচিত হন। পেয়েছেন বেশকিছু পুরস্কার ও সম্মাননা। ২০১৩ সালে উদ্যোক্তা ইন্ডিয়া সামিট তাঁকে বছরের সবচেয়ে উদ্ভাবনী ব্যবসায়ী হিসেবে মনোনীত করে।

আরও পড়ুন-ধামাচাপার চেষ্টা! রাজস্থানে বিষাক্ত গ্যাসে গুরুতর অসুস্থ ২৫ পড়ুয়া

অমিত ভাদানা
ইউটিউবে খুব জনপ্রিয় নাম অমিত ভাদানা। তিনি আইন নিয়ে পড়াশোনা করেছেন। শুরুতে এক বন্ধুর সঙ্গে ভিডিও তৈরি করে আপলোড করতেন। ভিডিও ভাইরাল হতেই তিনি তা নিয়েই পড়ে থাকেন। তিনি নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেল ২০১২-র ২৪ অক্টোবর শুরু করেন এবং ২০১৭-র ১ মার্চ থেকে সম্পূর্ণ ভিডিও প্রকাশ করা শুরু করেন। ইউটিউবে তিনি মূলত শিক্ষামূলক ভিডিও আপলোড করেন। বর্তমানে তাঁর ইউটিউব চ্যানেলে প্রায় ২.৪ মিলিয়ন সাবস্ক্রাইবার রয়েছে। ২০২১ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, তাঁর মোট সম্পতি প্রায় ৪৭ কোটি টাকা।
নিশা মধুলিকা
মূলত ইউপির বাসিন্দা নিশা মধুলিকা। তিনি শেফ। রেস্তোরাঁর পরামর্শদাতা এবং ইউটিউবার৷ জন্ম উত্তরপ্রদেশে। স্কুল ও কলেজ কেটেছে নিজ শহরেই। তিনি ছোটবেলা থেকেই রান্না শুরু করেন। দিল্লিতে থাকাকালীন স্বামীকে নানাভাবে সহায়তা করতেন। নিশা এম্পটি নেস্ট সিন্ড্রোমের সঙ্গে লড়েছেন। ২০০৭ সালে তিনি ব্লগে ভারতীয় নিরামিষ খাবারে রন্ধনপ্রণালী সম্পর্কে লেখা শুরু করেন, যা তাঁকে জনপ্রিয়তা এনে দেয়। ২০১১ সালে তিনি নিজের ইউটিউব চ্যানেল চালু করেন, যে চ্যানেলের ভিডিওগুলো প্রতিমাসে গড়ে ১ কোটি আশি লাখেরও বেশিবার দেখা হয়ে থাকে। ২০১৪ সালে তিনি ছিলেন ইউটিউবের শীর্ষ রন্ধনশিল্পী। ২০১৬ সালে ইউটিউবের একটি কর্মসূচির অংশ হিসেবে লোকসভা টিভিতে সাক্ষাৎকার দেন। ওই বছরই দ্য ইকোনমিক টাইমস তাঁকে ‘ভারতের শীর্ষ দশ ইউটিউব সুপারস্টারদের একজন’ বলে ঘোষণা করে এবং ভোডাফোন তাঁকে উইম্যান অব পিউর ওয়ান্ডার বইয়ে অন্তর্ভুক্ত করেছিল। ২০১৭ সালের নভেম্বরে তিনি সোশ্যাল মিডিয়া সামিট অ্যান্ড অ্যাওয়ার্ডস-এ টপ ইউটিউব কুকিং কনটেন্ট ক্রিয়েটার হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেন। বর্তমানে ইউটিউব চ্যানেলে ১.২৫ কোটি সাবস্ক্রাইবার রয়েছে। তাঁর মোট সম্পত্তির পরিমাণ ৩৩ কোটি টাকা।
ফয়জল খান
সোশ্যাল মিডিয়ায় পরিচিত খান স্যার হিসেবে। আসল নাম ফয়জল খান। ১৯৯৩ সালে উত্তরপ্রদেশের একটি মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্ম। শিক্ষক এবং ইউটিউবার। বিভিন্ন ধরনের প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছেন, এমন শিক্ষার্থীদের জন্য একটি কোচিং সেন্টার চালান। ছাত্র হিসেবে ছিলেন মেধাবী। স্কুলজীবন শেষ করার পর এলাহাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ে বিজ্ঞানে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। তারপরে বিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। পরবর্তী সময়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন ভূগোলেও। করোনা আছড়ে পড়ার কারণে পাটনায় তাঁর কোচিং সেন্টারটি বন্ধ হয়ে যায়। সেই সময় তিনি খান জিএস রিসার্চ সেন্টার নামে ইউটিউব চ্যানেল শুরু করেন এবং অনলাইনে পড়ানো শুরু করেন। ২০২১ সালে একটি অ্যাপও চালু করেন এবং অফলাইনে পড়াশোনা করতে শহরে আসতে না পারা শিক্ষার্থীদের জন্য অনলাইন কোর্স চালু করেন। ২০২১-র ২৪ এপ্রিল ফ্রান্স-পাকিস্তান সম্পর্কের উপর একটি ভিডিও শেয়ার করে তিনি ভাইরাল হয়ে যান। রেলওয়ে নিয়োগ বোর্ডের এনটিপিসি পরীক্ষার বিরুদ্ধে সহিংস বিক্ষোভের ঘটনায় ২০২২-এর ২৭ জানুয়ারি কয়েকজন শিক্ষকের পাশাপাশি তাঁর বিরুদ্ধেও একটি এফআইআর দায়ের করা হয়। রাজেন্দ্রনগর টার্মিনালে সহিংস বিক্ষোভের সময় পুলিশ কর্তৃক আটক কিছু বিক্ষোভকারীর বক্তব্যের ভিত্তিতে এই এফআইআর দায়ের করা হয়। ২০২৪-এর ডিসেম্বরে বিপিএসসি প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় পরিবর্তনের বিরুদ্ধে তিনি একটি জোরালো প্রতিবাদে অংশ নেন। তাঁকে গ্রেফতারও করা হয়। তাঁর পাশে ছিলেন অগণিত ছাত্রছাত্রী। এই ঘটনায় তাঁর জনপ্রিয়তা বহুগুণ বেড়ে যায়। বেড়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়ায় ফলোয়ারের সংখ্যা।

আরও পড়ুন-হাসিবুলকে দেখতে হাসপাতালে অভিষেক

আশার আলো
আছেন আরও অনেকেই। তাঁদের মধ্যে অন্যতম দিলরাজ সিং রাওয়াত। প্রযুক্তি নিয়ে যেসব ইউটিউবার কথা বলেন তাঁদের মধ্যে অন্যতম। ১৯৯৬ সালে আজমেরে জন্ম। ভিডিও তৈরিতে তাঁর জুড়ি মেলা ভার। আরও একবার ফরিদাবাদের বাসিন্দা অজেয় নগরে। ক্যারিমিনাটি নামে একটি ইউটিউব চ্যানেল রয়েছে। তাঁর চ্যানেলে সাবস্ক্রাইবার রয়েছে সাড়ে তিন কোটি। মাত্র ২২ বছর বয়সে অজয়ের প্রায় ৩০ কোটি টাকার সম্পত্তি রয়েছে। কৌতুক অভিনেতা, র‍্যাপার এবং গেমার অজেয় নগর ইউটিউবে ব্যঙ্গাত্মক প্যারোডি এবং লাইভ গেমিংয়ের ভিডিও তুলে ধরেন। আশিস চঞ্চলানি ভারতের প্রথম ১০ ইউটিউবারের অন্যতম। নেটওয়ার্কে প্রায় ৩০ মিলিয়ন সাবস্ক্রাইবার রয়েছে তাঁর। মজার ভিডিওর জন্য সবচেয়ে বেশি খ্যাত তিনি। ফলে রণবীর-সময়দের কাণ্ডকারখানা দেখে হতাশ হওয়ার কিছু নেই। আশার আলো দেখাচ্ছেন কয়েকজন ইউটিউবার, কনটেন্ট ক্রিয়েটার। তাঁদের নিয়েই চর্চা হোক বেশি। এঁদের কাজ দেখলে মনের মধ্যে উঠবে খুশির তুফান, মস্তিষ্ক থাকবে সচল।

Latest article