প্রতিবেদন : আই লিগ জয়ের স্বপ্ন অধরাই থাকল মহামেডানের (Gokulam Kerala-Mohammedan SC)। প্রিয় দলের প্রথমবার আই লিগ জয়ের স্বাদ নিতে যুবভারতী ভরিয়েছিলেন সাদা-কালো সমর্থকরা। প্রায় ৪০ হাজার দর্শককে হতাশ হয়েই ফিরতে হল। মহামেডানকে ২-১ গোলে হারিয়ে পরপর দু’বার আই লিগ জয়ের নতুন নজির গড়ল গোকুলাম কেরালা এফসি। গোকুলামের দুই গোলদাতা রিশদ এবং এমিল বেনি। মহামেডানের গোলদাতা আজহারউদ্দিন মল্লিক। ১৮ ম্যাচে ৪৩ পয়েন্ট নিয়ে চ্যাম্পিয়ন গোকুলাম। ৩৭ পয়েন্ট নিয়ে আই লিগ রানার্স ব্ল্যাক প্যান্থাররা। কয়েকদিন আগেই সন্তোষে কেরলের কাছে হেরে স্বপ্নভঙ্গ হয় বাংলার। এদিন বাংলার ক্লাবের সামনে ছিল কেরলের ক্লাব। কিন্তু এবারও চিত্রনাট্য বদলাল না।
ইতিহাসের সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে মহামেডানের সামনে জেতা ছাড়া কোনও রাস্তা ছিল না। রক্ষণ জমাট রেখেই ৫-৩-২ ফর্মেশনে দল সাজিয়েছিলেন মহামেডানের রুশ কোচ আন্দ্রে চেরনিশভ। লিগে ১৫ গোল করা মার্কাস জোশেফ এবং শেখ ফৈয়াজকে সামনে রেখে প্রতিআক্রমণ নির্ভর ফুটবলকেই অস্ত্র করেছিলেন মহামেডান কোচ। কিন্তু টিম গেম অস্ত্রেই বাজিমাত করে গোকুলাম। স্লোভানিয়ার স্ট্রাইকার লুকা মাজসেনের অনবদ্য ফুটবল মহামেডানের যাবতীয় প্রচেষ্টায় জল ঢেলে দেয়। তাঁর পাস থেকেই দু’টি গোল গোকুলামের।
আরও পড়ুন: ‘আইপিএলে এটাই শেষ’: রায়াডুর ‘অবসর’ ওড়াল সিএসকে
দ্বিতীয়ার্ধে মহামেডান রক্ষণের ভুলেই ৪৯ মিনিটে গোলের লকগেট খুলে ফেলে গোকুলাম (Gokulam Kerala-Mohammedan SC)। লুকার পাস থেকে গোল করে কেরলের দলটিকে এগিয়ে দেন রিশদ। তবে লিড বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেনি গোকুলাম। মহামেডান ম্যাচে সমতা ফেরায়। মার্কাসের ফ্রিকিক আজহারউদ্দিনের গায়ে লেগে গোলে ঢোকে। কিন্তু ফের রক্ষণের ভুলে গোল হজম মহামেডানের। ৬১ মিনিটে সেই লুকার থ্রু ধরেই গোল করে যান এমিল বেনি। এর পর গোল শোধের সহজ সুযোগ পেয়েও তা হাতছাড়া করেন মার্কাস, আজহাররা। এদিন, যুবভারতীতে এসে এএফসি কাপের আগে প্রতিপক্ষ গোকুলামের খেলা দেখে যান এটিকে মোহনবাগান ও বাংলাদেশের বসুন্ধরা কিংসের কোচ, ফুটবলাররা।