মুল্লানপুর, ৩০ মে : টুর্নামেন্টে ভাল শুরু করেও অষ্টাদশ আইপিএলের এলিমিনেটর হেরে বিদায় নিল শুভমন গিলের গুজরাট টাইটান্স। উল্টোদিকে শুরুটা হতাশার হলেও ঘুরে দাঁড়িয়ে প্লে-অফে জায়গা করে নেওয়া হার্দিক পান্ডিয়ার মুম্বই ইন্ডিয়ান্স এলিমিনেটরে গুজরাটকে ২০ রানে হারিয়ে কোয়ালিফায়ার টু-এ পাঞ্জাব কিংসের মুখোমুখি। রবিবার সেই ম্যাচ কার্যত দ্বিতীয় সেমিফাইনাল। রোহিত শর্মার দাপটে মুম্বই জিতলেও তাঁর জোড়া ক্যাচ মিসের মাশুল দিতে হল গুজরাটকে। মুম্বইয়ের ২২৮ রানের জবাবে গুজরাট লড়াই করেও থামল ২০৮-এ।
আরও পড়ুন-প্রধানমন্ত্রীর কুৎসাকে নস্যাৎ করে উন্নয়নের তথ্য দিয়ে জবাব মুখ্যমন্ত্রীর
বড় মঞ্চে সবসময় জ্বলে ওঠেন তিনি। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনাল হোক বা আইপিএলের নক আউট পর্ব। মরণ-বাঁচন ম্যাচে ফের ঝলসে উঠল রোহিতের ব্যাট। এলিমিনেটরে রো-হিটে নতুন রেকর্ড। আইপিএলে ৭০০০ রান ও ৩০০ ছক্কার নজির হিটম্যানের। গুজরাটের বিরুদ্ধে রোহিতের ব্যাটিং বিক্রমেই ৩০০-র কাছাকাছি রান তোলে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স।
টসে জিতে নতুন চণ্ডীগড়ের স্টেডিয়ামে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন মুম্বই অধিনায়ক হার্দিক। রিকেলটন দেশে ফিরে যাওয়ায় নতুন রিক্রুট অভিজ্ঞ ইংলিশ ব্যাটার জনি বেয়ারস্টো ওপেনিংয়ে রোহিতের সঙ্গে জুটি বেঁধে দাপুটে ব্যাটিং করেন। ইংরেজ ব্যাটার ২২ বলে ৪৭ রান করেন। কিন্তু রোহিতকে থামাতে পারছিল না গুজরাটের বোলাররা। তার মধ্যে দু’বার জীবন ফিরে পান। রোহিতের ক্যাচ ফেলার মাশুল দিতে হল গুজরাটকে। ৫০ বলে ৮১ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলে যান চারটি ছক্কা ও ন’টি বাউন্ডারির সাহায্যে। শেষ পর্যন্ত রোহিতকে ফেরান প্রসিধ কৃষ্ণ। সূর্যকুমার যাদব (২০ বলে ৩৩) এই ম্যাচেও রান করেন। শেষ বেলায় ৯ বলে ২২ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলে মুম্বইয়ের স্কোর ২২৮-এ পৌঁছে দেন ক্যাপ্টেন হার্দিক। গুজরাটের হয়ে প্রসিধ ও সাই কিশোর ২টি করে উইকেট পান।
আরও পড়ুন-দিনের কবিতা
২২৯ রানের বড় টার্গেটের সামনে শুরুটা ভাল হয়নি গুজরাটের। প্রথম ওভারেই অধিনায়ক শুভমনকে (১) আউট করেন ট্রেন্ট বোল্ট। এরপর বাটলারহীন টপ অর্ডারে আশা জাগিয়েও ভরসা দিতে পারেননি লঙ্কা ব্যাটার কুশল মেন্ডিস। এক প্রান্ত থেকে গুজরাটকে লড়াইয়ে রাখেন চলতি আইপিএলে কমলা টুপির মালিক সাই সুদর্শন। তাঁর সঙ্গে ওয়াশিংটন সুন্দরের তৃতীয় উইকেট জুটিতে ওঠে ৮৪ রান। শিশিরের কারণে স্ট্রোক প্লে’র সুবিধা হয়। এই সময় চাপে পড়ে যাওয়া মুম্বইকে জাগিয়ে তোলেন সেই জসপ্রীত বুমরা। সুন্দরকে (২৪ বলে ৪৮) বোল্ড করেন ভারতীয় স্পিডস্টার। দু’ওভারের মধ্যে সুদর্শনকে (৪৯ বলে ৮০) ফিরিয়ে দেন উইল জ্যাকসের পরিবর্ত রিচার্ড গ্লিসন। মুম্বই জয়ের রাস্তা তখন অনেকটাই পরিষ্কার হয়ে যায়। এরপর শেরফানে রাদারফোর্ড (২৪), রাহুল তেওয়াটিয়া (১৩ নট আউট) ও শাহরুখ খান (১৩) চেষ্টা করলেও মুম্বইয়ের বড় স্কোর থেকে ২০ রান দূরে থেমে যায় গুজরাট।