রাজ্যের মুকুটে নয়া পালক। ২০২০ সালের পয়লা ডিসেম্বর শুরু হয়েছিল রাজ্য সরকারের ‘দুয়ারে সরকার’ প্রকল্প। নাগরিকদের দোরগোড়ায় সরকারি সুযোগ-সুবিধা পৌঁছে দিতে মুখ্যমন্ত্রীর মস্তিস্কপ্রসূত এই পরিষেবা চালু করা হয়েছিল। সেই কাজ ভালভাবে এগিয়ে যাওয়ার জন্য ‘দুয়ারে সরকার’ পোর্টাল চালু হয়েছে। তার ফলে বেশ কিছুটা সুবিধা হয়েছে কাজের।
আরও পড়ুন-মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে পুণ্যার্থীদের সুবিধায় বিশেষ পদক্ষেপ রাজ্যের, একশো টাকার এক টিকিটেই গঙ্গাসাগর
কেন্দ্রের তরফে এবার এই কাজের স্বীকৃতি পাওয়া গেল। তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রক দুয়ারে সরকার পোর্টালের কাজের প্রশংসা করেছে। তার জন্য ‘ডিজিটাল ইন্ডিয়া’ পুরস্কার দেওয়া হবে। আন্তর্জাতিক স্তরেও প্রশংসা পেয়েছে রাজ্যের এই প্রকল্প। ইউনিসেফের নজর কেড়েছে এই কর্মসূচি।
আরও পড়ুন-ভারতে খুলবে অক্সফোর্ড, স্ট্যানফোর্ডের ক্যাম্পাস
আজ সেই শুভদিনে রাষ্ট্রপতির হাত থেকে পুরস্কৃত হল ‘দুয়ারে সরকার’ প্রকল্প। টুইট বার্তায় জনসাধারণকে শুভেচ্ছা ও ধন্যবাদ জানিয়ে সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস লিখেছে,’ মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে এই সাফল্য। বাংলার পথ দেখায়! GoWB-এর কল্যাণমূলক উদ্যোগ ‘দুয়ারে সরকার’ আজ ডিজিটাল ইন্ডিয়া অ্যাওয়ার্ডস ২০২২-এ প্লাটিনাম পুরস্কারে ভূষিত হয়েছে। মাননীয় রাষ্ট্রপতি শ্রীমতি দ্রৌপদী মুর্মু রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভটাচার্যকে এই পুরস্কার প্রদান করেন’
Under the exemplary leadership of Hon’ble CM Smt @MamataOfficial, Bengal shows the way!
GoWB’s welfare initiative ‘Duare Sarkar’ was awarded the Platinum Award at Digital India Awards 2022 today.
Hon’ble President Smt Droupadi Murmu presented the award to MoS @Chandrimaaitc. pic.twitter.com/U26HhVOuJz
— All India Trinamool Congress (@AITCofficial) January 7, 2023
“পাবলিক ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মস-সেন্ট্রাল মিনিস্ট্রিজ, ডিপার্টমেন্টস অ্যান্ড স্টেটস” শীর্ষক এই বিভাগে গোটা দেশের মধ্যে দেওয়া হচ্ছে মাত্র দুটি পুরস্কার। দুয়ারে সরকারের ব্যাপক প্রভাবের জন্য প্ল্যাটিনাম পুরস্কার পাচ্ছে বাংলা। ই-সার্ভিসের জন্য গোল্ড সম্মান পাচ্ছে মণিপুর। গোটা অনুষ্ঠানের আয়োজক মোদি সরকারের তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রক।
জানা গিয়েছে, শুক্রবার মহড়াতেও অন্যান্য রাজ্যের প্রতিনিধিরা বাংলার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের ”দুয়ারে সরকার” প্রকল্প সম্পর্কে আগ্রহ প্রকাশ করেন। চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য তাঁদের জানিয়েছেন, কোভিড পর্বে ২০২০ সালে ডিসেম্বর মাসে শুরু হয়েছিল এই প্রকল্প। সেই থেকে এখনও পর্যন্ত পাঁচবার এই দুয়ারে সরকারের শিবির করা হয়েছে। যেখানে স্বাস্থ্যসাথী, খাদ্যসাথী, কন্যাশ্রী, কৃষকবন্ধু, লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের মতো রাজ্য সরকারের ২৭টি প্রকল্পের সুবিধা পেতে ৭ কোটি ৮০ লক্ষ আবেদন জমা পড়েছে। এখনও পর্যন্ত সুবিধা পেয়েছেন ৬ কোটি ৯০ লক্ষ মানুষ। সব সরকারি অনুদানই ডিজিটাল। আজ, তারই স্বীকৃতি পেল রাজ্য সরকার।