হায়দরাবাদে সরকারি ইঞ্জিনিয়ার গ্রেফতার, বিপুল পরিমান আয়-বহির্ভূত সম্পত্তি উদ্ধার

শ্রীধরের বিরুদ্ধে তল্লাশি অভিযানে নামে তারা। স্থাবর এবং অস্থাবর মিলিয়ে বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি ইতিমধ্যেই উদ্ধার হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

Must read

দুর্নীতি দমন শাখা (ACB) বুধবার তেলেঙ্গানায় কালেশ্বরম লিফট সেচ দফতরে (কেএলআইপি) কর্মরত একজন সিনিয়র আধিকারিকের বাসভবনে তল্লাশি চালিয়ে তাঁর আয়ের উৎসের তুলনায় প্রায় ৬০ কোটি বেশি টাকার সম্পদের সন্ধান পেয়েছে। আয়-বহির্ভূত সম্পত্তি থাকার অভিযোগে হায়দরাবাদে এদিন এই ইঞ্জিনিয়ারের বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালালেন দুর্নীতিদমন শাখার আধিকারিকেরা। অভিযুক্ত সেই সরকারি ইঞ্জিনিয়ার নুনে শ্রীধরের ১৩টি ঠিকানায় তল্লাশি অভিযান চালানোর পর তাঁর সম্পত্তির পরিমান দেখে রীতিমত স্তম্ভিত হয়ে যান দুর্নীতিদমন শাখার আধিকারিকেরা।

আরও পড়ুন-রাজ্যে তাপপ্রবাহ, দুদিন ছুটির ঘোষণা শিক্ষামন্ত্রীর

হায়দরাবাদের শ্রীধরের শেকপেটে একটি আবাসনে ৪৫০০ বর্গফুটের বিলাসবহুল ফ্ল্যাট রয়েছে। এছাড়াও করিমনগরে তাঁর আরও তিনটি ফ্ল্যাট আছে।প্রতিটিরই দাম কোটি টাকার উপরে। শ্রীধরের কয়েকটি বাংলোও রয়েছে। একটি হায়দরাবাদের তেল্লাপুরে রয়েছে। বাকিগুলির খোঁজ চালানো হচ্ছে। ওয়ারাঙ্গল, করিমনগর এবং হায়দরাবাদে তিনটি বাড়ি রয়েছে এই সরকারি কর্মীর। কিছুদিন আগেই থাইল্যান্ডে কয়েক কোটি টাকা খরচ করে ছেলের বিয়ে দিয়েছেন শ্রীধর। মাসকয়েক আগেই আয়-বহির্ভূত সম্পত্তির অভিযোগ উঠেছিল এই সরকারি আধিকারিকের বিরুদ্ধে। এরপরেই বিদেশে ছেলের বিয়ের ঘটনা এসিবির নজরে আসে। শ্রীধরের বিরুদ্ধে তল্লাশি অভিযানে নামে তারা। স্থাবর এবং অস্থাবর মিলিয়ে বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি ইতিমধ্যেই উদ্ধার হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

আরও পড়ুন-ফের দুর্ভোগ যাত্রীদের! শুক্র-রবি বাতিল ৪৬ লোকাল

শুধু বাড়িঘর নয়, করিমনগরে কয়েক কোটি টাকার বেশ কয়েকটি হোটেলও রয়েছে শ্রীধর নামের এই ব্যক্তির। বাড়ি, ফ্ল্যাট, বাংলো এবং হোটেল ছাড়াও রাজ্যের তিনটি শহরে ১৯টি বাস্তু জমি আছে ও রয়েছে ১৬ একর কৃষিজমি। বাড়ি থেকেও নগদ টাকা উদ্ধার হয়েছে। সেই টাকার পরিমাণ কত সেটা এখনো জানা যায় নি। শ্রীধরের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টেও বিপুল টাকার হদিস পাওয়া গিয়েছে। এছাড়া উদ্ধার হয়েছে প্রচুর গয়নাও। ইতিমধ্যেই আয়-বহির্ভূত সম্পত্তির অভিযোগে শ্রীধরের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। তাঁর আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত নথি, জমি, বাড়ি, ফ্ল্যাট এবং হোটেলের সব নথি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বেনামে আরও অনেক সম্পত্তি থাকতে পারে বলে মনে করছে তদন্তকারীরা। তাঁকে হেফাজতে নিয়ে সেগুলির সম্পর্ক জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলেই মনে করা হচ্ছে। এসিবি করিমনগর থেকে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে এবং তাঁকে হায়দ্রাবাদে নিয়ে আসে। যেখানে তার বিরুদ্ধে ডিএ মামলা দায়ের করা হয়।

Latest article