সংবাদদাতা, দিঘা: ঘূর্ণিঝড় গুলাব চলে গেলেও, বঙ্গোপসাগরে চোখ রাঙাচ্ছে ঘূর্ণাবর্ত। দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে নিম্নচাপের ভারী বর্ষণ ও ঝড়ো হাওয়ার শঙ্কা। মোকাবিলায় দিঘা-সহ উপকূল এলাকায় নামল এনডিআরএফ টিম। মঙ্গলবার সকাল থেকেই সৈকতে টহল শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যেই দিঘা, শংকরপুর, তাজপুর ও মন্দারমণি পর্যটকশূন্য। হোটেল ফাঁকা। স্থানীয় বাসিন্দা ও ব্যবসায়ীদেরও এদিন সৈকত থেকে সরিয়ে দেয় টহলদারি দল। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বৃষ্টিও বাড়তে থাকে। আকাশে ছিল ঘন মেঘ। পুলিশ দিঘার বিভিন্ন ঘাটে নামার মুখগুলো দড়ি দিয়ে আটকে দেয়।
আরও পড়ুন : এক মাসে এক লাখ জাতিগত শংসাপত্র তৈরি ও বিলির নজির
মৎস্যজীবীদের মাছ ধরতে যাওয়ায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে প্রশাসন। সমুদ্রবাঁধের দুর্বল জায়গাগুলোর উপর বিশেষ নজর রাখা হচ্ছে। বহুমুখী ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র, আয়লা সেন্টার, সাইক্লোন সেন্টার, সেল্টার হাউস, অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র, প্রাথমিক ও উচ্চ প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলিকে ত্রাণশিবির হিসেবে ব্যবহার করার জন্য ব্লক ও মহকুমা প্রশাসন সমস্ত প্রস্তুতি নিয়েছে। পর্যাপ্ত আলো, পানীয় জল, শুকনো খাবার মজুত করা হয়েছে । নিমতৌড়িতে জেলাশাসকের দপ্তরে, প্রতিটি ব্লকে ও পঞ্চায়েত দপ্তরেও খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। পটাশপুর ১ ব্লকের তালছিটকিনিতে কেলেঘাই নদীর বাঁধ ভেঙেছিল গত ১৬ সেপ্টেম্বর গভীর রাতে। সেই বাঁধ মেরামতের কাজ শুরু করেছে সেচ যুদ্ধকালীন তৎপরতায়।