গেরুয়া রাজ্যে পরীক্ষা শিঁকেয় তুলে পড়ুয়াকে মুরগি কাটার নির্দেশ দিয়েছিলেন সরকারি শিক্ষক। রাজস্থানের (Rajasthan) উদয়পুর জেলাতে একটি স্কুলে পরীক্ষার মাঝপথেই হঠাৎ ওই পড়ুয়াকে মুরগি কাটার জন্য চাপ দিয়েছিলেন ওই শিক্ষক। আপাতত এই অভিযোগ প্রকাশ্যে আসার পর সাসপেন্ড করা হয়েছে ওই শিক্ষককে। নবম শ্রেণির ওই পড়ুয়াকে মুরগি কেটে পরিষ্কার করার জন্য নির্দেশ দিয়েছিলেন একটি সরকারি স্কুলের শিক্ষক। মোহনলাল ডোডা নামের এই শিক্ষক ওই মুরগি বাড়িতে নিয়ে যাবেন বলে পরীক্ষা চলাকালীন এমন এক নির্দেশ দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ জানানো হয়েছে। জানা গিয়েছে, স্কুলের পরীক্ষা চলাকালীন মোহনলাল ডোডা, নবম শ্রেণির পড়ুয়া রাহুল কুমার পারগিকে মুরগি কেটে , পরিষ্কার করার কথা বলেন।
আরও পড়ুন-সোমবার বিকেলের পর স্বস্তির বৃষ্টি দক্ষিণবঙ্গে
ঘটনা জানাজানি হতেই রীতিমত ক্ষুব্ধ হন বাকি অভিভাবকেরা ও উদয়পুরের কোটাডার বাসিন্দারা। রাজ্যের মন্ত্রী বাবুলাল খারারির কাছে অভিযোগ জানালে তিনি মহকুমা শাসক হাসমুখ কুমারকে বিষয়টি নিয়ে তদন্তভার দেন। সূত্রের খবর, ওই স্কুলের পড়ুয়ারাও একাধিক অভিযোগ জানিয়েছে মোহনলাল ডোডার বিরুদ্ধে। এই শিক্ষক স্কুলের রাঁধুনিকে মাস খানেক আগে ছাড়িয়ে দিয়েছেন তাই তারা স্কুলে এসে খাবার পায় না। এই বিষয়টি নিয়ে বেশ ক্ষুব্ধ পড়ুয়াদের বাড়ির লোকেরা।
গেরুয়া রাজ্যে সরকারি স্কুলগুলির যে কী করুণ অবস্থা সেটা বার বার প্রকট হয়ে উঠছে। তবে এটাই প্রথম নয়, আগেও মধ্যপ্রদেশের এক স্কুলে পড়ুয়াদের মদ্যপান করানো অভিযোগ ওঠার পরে সাসপেন্ড করা হয় এক শিক্ষককে। পড়ুয়াদের মদ্যপান করাচ্ছেন ওই শিক্ষক, এই রকম ভিডিয়ো ভাইরাল হয় নেটমাধ্যমে। গত বছর জয়পুরের একটি স্কুলের এক শিক্ষিকা ক্লাসে পড়ুয়াদের দিয়ে পা টেপানোর ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই নিন্দার ঝড় ওঠে।