পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayat election) আগেই অতিসক্রিয় হয়ে পড়েন রাজ্যপাল (governor)। সন্ত্রাসের বাতাবরণ নিয়ে বিস্তর অভিযোগ করেছিলেন রাজ্যপাল। পরিস্থিতি সামলাতে তিনি পিস রুম খুলেছিলেন রাজভবনে। নির্বাচন মিটতে তিনি নয়াদিল্লিতে যান। সেখানে যাওয়ার আগে বলে গেলেন মুক্ত বাতাস নিতে যাচ্ছেন। তাঁর এই ভূমিকাকে বিরোধীদের সঙ্গে তুলনা করে কটাক্ষ করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। গণনার পর পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফলাফলে বিপুল ভোটে জিতে গ্রামবাংলার দখল নিল তৃণমূল সানগ্রেস। এরপরেই টুইটবার্তায় তাঁর পদত্যাগ দাবি করলেন কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)।
আরও পড়ুন-রায়দিঘিতে খুন তৃণমৃল কংগ্রেস নেতা
তিনি টুইট করে লেখেন, ‘মানুষের এই রায় দেখার পর রাজ্যপালের আর পদে থাকা উচিত নয়। অবিলম্বে পদত্যাগ করে বাংলা ছেড়ে চলে যাওয়া উচিত। কারণ তিনি বিজেপির এজেন্ট হয়ে কাজ করেছেন। অনৈতিক পথে বিরোধীদের উস্কানি দিয়েছেন। বাংলাকে অপমান করেছেন। তাঁর কোনও অধিকার নেই রাজ্যপাল হিসাবে কাজ চালিয়ে যাওয়ার।’ আর শুভেন্দু অধিকারীকে নিশানা করে লেখেন, ‘লোডশেডিং বিধায়ক শুভেন্দু তো ‘ব্লক স্তরের নেতা’ হয়ে গেলেন! নন্দীগ্রাম সহ পূর্ব মেদিনীপুরে বেইমান বিধ্বস্ত। সুতরাং ১৯৫৬ ভোটে ভেসে ওঠা লোডশেডিং বিধায়ককে আবর্জনায় ফেলে দেওয়া উচিত।’
আরও পড়ুন-মাউন্ট এভারেস্টের কাছে পর্যটকদের কপ্টার ভেঙে মৃত ৬
প্রসঙ্গত পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রথম দিন থেকেই রাজ্যপালের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারা। এতকিছুর পরও গ্রামবাংলার মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের উপরই আস্থা রেখেছেন। উত্তরবঙ্গ থেকে জঙ্গলমহল—এবার ঘাসফুল ঝড় দেখা দিয়েছে। কিন্তু দেখা গেল নির্বাচন শেষ হতেই রিপোর্ট তৈরি করে নয়াদিল্লি পৌঁছে গেলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। এবার তাঁকে সরাসরি টুইট করে নিশানা করলেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ।